রীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ব্য দশ আন শ্রীমনোরঞ্ন বন্যোপাধ্যায় হিতবাদী লাইব্রেরী ৭০) কলুটোলা স্্রীট, কলিকাতা কান্তিক প্রেস ২০, কর্ণওয়ালিস স্ত্রী, কলিকাতা শ্রীহরিচরণ মান্না দারা মুদ্রিত। ২৯ ৯/| 'লীলাবত ও ১১ ১৪ ১৬ ১৮ ১৯ ৫ ২৮ ৩১ ৩৫ ৪৫ ৪৮ ৫৩ ৫৩৬ ভারতীয় বিছধী না রামমণি মাধবী আনন্দময়ী গঙ্গামণি প্রিয়ংবদা ইনুমুখী, মাধুরী, গো, রচ্ময়ী "** ৫৬ ৬৪ ৭৯ ৮৪ ৮৫ ৮৭ ৯২ ৯৩ ৯৪ ৯৬ ৯৯ ১১২ ১১৯ ১২৪ ১৩২ ১৪১ ১৪৩ ভূমিক! “্তারতীয়বিদ্বী” প্রকাশিত হইতে চলিল। আমাদের শিক্ষিত সমীজের অনেকেই কোনে! না কোনো ভারতীয় বিছ্ষী সম্বন্ধে কিছু ন! কিছু জানেনা -স্্ই সমস্ত চ্লারতীয় বিদুষীর আখ্যায়িকা একত্র -গুছাইয়া প্রকাশ করা হুইল। আমাদের প্রাচীন ভারতে ইতিহাস রচনার পদ্ধতি,ছিল না) কোনে! কাহিনীর মুধ্যে প্রসঙ্গক্রমে যে-সকল অসাধারণ ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায় সেই তুচ্ছ উপাদৃ নি» প্রাচীন ইতিহাঁস উদ্ধারের প্রধান উপজীব্য । ভারতীয় বিদুষীর পরিচয় কত ফাব্য পুরাণ ও ইতিকথার মধ্যে বিক্ষিপ্ত %/5 আছে; তাহার সকলগুলিই যে এই সংগৃহীত হইয়াছে এমন কেহ মনে [বেন না। এই বিক্ষিপ্ত অপ্রচুদ উপাদান তে আহরণ করিয়া কতিপয় ভারতীয় বিছুধীর পরিচয় একত্র করা গেল। কিন্তু এই সঞ্চয়ের মধ্যে অতি প্রাচীন বৈদিক যুগ হইতে প্রাচীন ভারতের শেষ যুগ পর্যস্ত দীর্ঘকালের মধ্যে প্রাদুভূতি বিছ্ুষীগণের একটি সুশৃঙ্খল বর্ণন! দিবার চেষ্টা হইয়াছে। এই স্বপ্পসংখাক বিছুধীর -না পাঠ করি- লেই প্রত্যেক সহদয় বরকত বুঝিতে পারিবেন ভারতীয় নারীসমাজ চিরদিন এমনই উপেক্ষিত, অবরোধের মধ্যে বহির্জগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন ও অজ্ঞ হইয়া ছিলেন না। তাহারাঁও বিদ্যায়, জ্ঞানে, কর্ধে পুরুষের সমকক্ষতা করিতেন এবং তাহাদের সেই প্রচেষ্টা ধৃষ্টাশ বলিয়া ধিকত হইত না। যতদিন ভারতবর্ষ জ্ঞান- গরিষ্ঠ বলিয়া পূজিত ততদিন পর্যন্ত দেখা যার ৩৪ ভারতীয় নারীসমাজও সেই অর্ধ্যের লইয়াছেন। এবং যখনই নারীসমাঁজ উপেক্ষিত ও শিক্ষাহীন তখনই ভারতও হইয়া! শুধু প্রাচীন কালের দোহাই কোনোমতে টি"কিয়া থাঁকিবার চেষ্। করিতেছে। ভারতীয় বিদুষধীর বিষয় আলোচনা করিলে আমরা জানিতে পারি রমণীর অতীত কি উজ্জল, কেমন স্ুপ্রতিষ্ঠ। যাহার অতীত উজ্জল ছিল শ্মাহার ভবিষ্যৎংও অন্ধকার নয়। ভারতের সকল নারী এই সত্য একদিন গুভাবে হৃদয়ঙ্গম করিবেন। এইরূপ নানা উপলক্ষ ধরিয়৷ আমাদের সমস্ত অবনত সমাজ আত্মশক্তিতে বিশ্বীসবান হইয়! উন্নত হইয়া উঠিবেই__"এ নহে কাহিনী, এ নহে স্বপন অআন্সিন সেদিন আদিবে।” শ্রীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ১৫ই আধা, ১৩১৬ ভারতীয় বিদষী ভারতের রমণীগণ যে শুধুই সতীত্বে, পাতিব্রত্যে ও দাম্পত্যে অভ্ুলনীয়৷ ও চির- শ্ররণীয়া তাহ! নহে, বিষ্ভাবত্তাতেও তাহার! অমখ কান্তি নাত করিয়! গিরাছেন। বৈদিক কাল হইতে আরম্ত করিয়া সকল বুগেই ইহার পরিচয়,পাওয়া যায়।* এখন আমর! শুনিতে পাই যে বেদপাঠ বা বেদআবণে রমণীগণের অধিকার নাই কিন্তু এই রমণীগণই এককালে বেদের অনেক নন্ত্ রচনা করিয়া গিয়াছেন। তখন শুধু বেদপাঠ কর! কেন তাহাদের বেদ রচনা করিবারও অধিকার ছিল; সে সময়ে র্মণীর স্বাধীনতা পুরুষের সমক্ষে হীন বা খর্ব হইয়া পড়ে নাই। পু . সভযশর আদিম যুগে শাস্তিশ্রীস্পন্ন পর্ণকুটিরপ্রাঙ্গগে অথবা হিংস্রপশুসমাকুল ভারতীয় বিদুষী 'বরণ্যমধ্যে বৃক্ষতলে শুদ্ধাত্মা মহধিগণ হোমানল প্র লিত করিয়া ঘৃতাহুতির সঙ্গে সঙ্গে জলদ- গম্ভীর স্বরে যে মন্ত্র উচ্চারণ করিতেন সে মন্ত্রের সৃষ্টিকর্তা শুধু যে খধিগণ হিলেন তাহা! নহে, তাহাদের কন্ত। জায়! ভগ্নীরাও তাহাদের পাশ্বে বসিয়৷ তাহাদের সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রের পর মন্ত্র রচনা করিতেন। পুরুষেরা সেকালে যেমন উচ্চ জ্ঞান ও বিষ্াবুদ্ধি লইয়| জগতের মঙ্গলের জন্য জ্ঞানবাক্যের স্থষ্টি করিতেন রমণীরাও তেমনি জ্ঞান ও বিগ্বাবুদ্ধি লইয়া দৈনন্দিন সাংসারিক কাজের সহিত, স্বামী পুত্রের সেবার সহিত, অণ্নবসনের পরিচধ্যার সহিত হিতবাক্য প্রণয়ন করিতেন । তাহারা স্বামী পুত্রের জন্ত যেমন শয্যা রচনা করিতেন তেমনি আবার বেদের মন্ত্র রচনাও করিতেন। প্রাচীন ভারতে ইতিহাস বা জীবনচরিত রচনার পদ্ধতি ছিল না। এ্ুতরাং সে সময্বের রমণীসমাজের প্রকৃত অবস্থা আমাদের খ্‌ ভারতীয় বিদ্ধ জানিবাঁর একমাত্র উপায় প্রাচীন গ্রন্থসক। এই বিষয়ের প্রাদঙ্গিক উল্লেখ মাত্র। * এই সামান্ত সত্র অবলম্বন করিয়া ও আমাদের সামান্ত চেঁটায় কতগুলি বিদুধীর পরিচয় এস্থলে উদ্ধীত হইল, না জানি কতশত বিদুষী গ্রাটীন ভারতসমাজকে সমলঙ্কত করিয়া বিদ্যমান ছিলেন এবং হয়ত অনেকের বিবরণ থাকা সন্্েও এখনো তাহা আমাদের নয়ন- গোচর হয় নাই। * - যে সকল বিদুবী ভাঁংকালিক সমাঞ্জ আপনাদের বিশ্যত্বহেতু অত্যধিক গ্রতিষ্া লাঁভ করিয়াছিলেন কেরেল তাহাদেরই উল্লেখ প্রমস্ক্রমে হওয়া সম্ভব। আমাদের দেশের অসম্পূর্ণ ইতিহামে যদি এতগুলি অসাধারণ 'বিদ্ষীর উল্লেখ পাওয়া যায় তবে তাহা প্রাচীন ভারতীয় রমণীর সার্বজনীন বিদ্বাধিকারই প্রতিপন্ন করিতেছে। ভারতীয় বিদুষী বিশ্ববার। প্রথমে বিশ্ববারার কথা ৰলি। ইনি অত্রিমুনির গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। খণ্ধেদ সংহিতার পঞ্চম মণ্ডলের দ্বিতীর অনুবাকের অষ্টাবিংশ সক্ত ইহার রচিত! এই শুক্তে ছয়টি খক্‌ আছে-খক্‌ গুলি এক একটি মাণিক ; ভাষার মাধুয্যে ও ভাবসম্পদে অতুল- নীয়। খকৃগুলির ভাবার্থ এইরূপ £-- (১) গ্রজলিত অগ্নি এজবিস্তার করিয়া উষার দিকে দীপ্তি গাইতে হন", দেবার্চনারত| দ্ৃতপাত্রসংযুক্তা বিশ্ববারা তাহার দিকে বাইতেছেন। (২) হে অগ্নি! তুমি প্রজ্লিত হণ, অমৃতের উপর আধিপত্য বিস্তার কর, এবং হব্যদাতার মঙ্গলবিধানের জন্য তাহার নিকট প্রকাশিত হও । ভারতীক্স বিছুষী, (৩) হে অগ্নি! তুমি শক্রকে শাসন ₹র, তাঁহার তেজ দমন কর এবং দম্পতীর ম্বন্ধ নিবিড়তর করিয়া তোল ! (৪) হে দীপ্তিশালি! তোমার দীপ্তিকে মামি বন্দনা! করি; তুমি যজ্ঞে প্রজ্বলিত হও । (৫) হে উজ্জল্যশীলি ! ভক্তগণ তোমাকে আহ্বান করিতেছেন ; যজ্ঞক্ষেত্রে দেবসকলকে তুমি আরাধনা কর ।7”- (৬) যজ্জে হব্যবাহক অগ্নিতে হোম কর, অগ্রির সেবা কত্র এবং দেবগণের নিকট ভব্য বহনার্থ তারক বসণ কর। ভারতীয় বিছ্ী ইন্দ্রমাতৃগণ খণ্বেদ সংহিতাঁর দশম মৃ্গুলের ১৫৩ সক্তের পাঁচটি খক্‌ ইন্দ্রমাতৃগণ দ্বারা প্রণীত। ইন্র্খষির পিতা ব্ছুবিবাহ করেন ; তীহাঁর বে- গত্রীগণ একত্রে মিলিয়া এ খকৃগুলি রুচন!| করিয়াছিলেন তাহারা ইন্দ্রমাতৃগণ নামে প্রসিদ্ধ ;_ ইহার! কথুপ খধির ওরসে এবং অদিতি দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ ধরেন; ইহাদের একজনের নাম দেবজামি। সপত্রীরা পরস্পর ঈর্ষা * দ্বেব নি একমন হইয়! একসঙ্গে মন্ত্র রচনা ' কর্সিতেছেন; সপত্ীর এই মিলন আমাদের চক্ষে বড় মধুর বলিয়া বোঁধ হয়। ইন্দ্রমাতৃগণ ইন্দ্রদেবতাকে উদ্দেশ করিয়া বলিতেছেন__“হে ইন্দ! যে তেজে শত্রকে জয় কর! বায় সেই তেজ তোমাতে আছে বলিয়া তোমাকে জামর! পূজা করি'। তুমি বৃত্রকে বধ করিয়াছ, আকাশকে বিস্তর তাঁরতীয় ব্দ্ধ করিগাছ, নিজ ক্ষমতাবলে স্বর্গকে মমুনত করিয়া দিয়াই, কূরধা তোমার সহচর, তুমি তাহাকে বাহুপাশে আবদ্ধ করি! আছ।” এই বাক্াগুলি বৈদিক বুগে মহা আগ্রহ ও শ্রদ্ধার মহিত কঠে কণে গীত হইত। বাক্‌ অস্তণ খষির বন্তাঁ বাক ধেদ সংহিতার দশম নগুলের ১২৫ সৃক্তের আটটি মন্ত্র রনা করেন-এই " মন্ত্রগুলি দেবীনৃভ নাথে প্রচলিত। গ্ৰাাদের দেশে বে চণ্ডী পাঠ হই! থাকে তাহার পূর্বে এই দেবীসৃত্ত গাঠের বিধি আছে। মারের পুরাণের চত্তীমাহাত্্য- প্রকরণ বাকৃ-প্রণীত এ আটটি মনের তাৰ লইয়া বিস্তততাবে লেখা হইয়াছে। চ্ডী- 'মাহায্যের সঙ্গে সর্গে বাকৃদেবীর মাহীত্ম, সমগ্র তারতবর্ধে আজ পর্যান্ত ঘোষিত ভারতীয় বি্রষী হইতেছে। শঙ্করাচার্ধ্য অদৈতবাদের প্রবর্তক বলিয়া জগতে খ্যাতিলাস্ত করিয়াছেন, কিন্ত তাহার বহ পূর্বে বাকৃদেবী এ অদ্বৈতবাদের সূল সত্রটি প্রচার করিয়া গিয়াছেন। যে মতের উপর নির্ভর করিয়া শঙ্করাচার্যয বিশ্ব- ব্যাপী বৌদ্ধধর্মের কবল হইতে ত্রাহ্মণ্যধর্থের উদ্ধারসাঁধন করিয়াছিলেন সে মত তাহার নিজম্ব বলা যায় না, বাকৃদেবীই তাহার স্ট্টকত্রী। শঙ্গরাচার্যের নহত্বের জন্য অমরা তাহাকে যে গৌরব প্রদান করিয়া থাঁকি তাহার অধিকাংশ।বাকৃদেবীর প্রাপ্য । বাক্‌ তাঁহার স্বরাচত মরে লুলিতেছেন-- “আমি রুদ্র, বস্থ এই সকলের আত্মার স্বরূপে বিচরণ করি। আমিই উদ্ভয় মিত্র ও বরুণ, ইন্দ্র ও অগ্নি এবং আশ্বদ্বয়কে ধারণ করি! আমি সমস্ত জগতের ঈশ্বরী, আঁমাতে ভূরি ভুরি গ্রাণী প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছে । জীব যে দর্শন করে, প্রাণধারণ করে, অন্াহার করে ৮ ভারতীয় বিদুষ্ী তাহা আমাদারাই সম্পাদিত হইয়া থকে। আঁমিই দেবগণ ও মনুষ্তগণ কর্তৃক সেবিত। আমিই সমস্ত কামনা করিয়া থাকি। আমি লোককে অষ্টা, খষি বাঁ বুদ্ধিশালী করিতে পারি । স্তোত্রদ্থে্টা ও হিংসকের বধের জন্য আঁমি রূদ্রের ধন্্ুতে জ্যা সংযোগ করিয়া- ছিলাম। আঁমিই ভক্তজনের উপকারার্থ বিপক্ষ গক্ষের সহিত সংগ্রাম করিয়াছি। আমি স্বর্গে ও পুথিবীতে প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছি। এই ভূলোকের উপরিস্থিতি আকাশকে আমি উৎপাদন করি। বায়ু যেরূপ স্বেচ্ছা- ক্রমে সারিত হদ্ সেইরূপ সমস্ত ভুবনের প্রসবকত্রী আমি স্বয়ং নিজ ইচ্ছানুসারে সকল কার্ধ্য করি। আমার স্থীয় মাহাত্ম্যবলে সমস্ত উৎপর হইয়াছে” দ্বারতীয় বিদুষী অপাঁলা অপালাও বিশ্ববারার ন্যায়” 'অত্রিবংশে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার জীবন বড় ছুঃখময়। ইনি ত্বকরোগে আক্রান্ত হন, সেইজন্য স্বামী ইহীকে পরিত্যাগ করেন। স্বামী-পরিত্যন্ক1 হইয়। ইনি অনুষস্থজীবন পিততপোবনে ঈশ্বর আরাধনায় কাটাইয়াছিলেন। কথিত আছে, অপালার পিতার শস্তাক্ষেত্র তেমন শুফলা প্রন ছিলন1, অপালা, ইন্ত্রদেবের আরাধন! করিয়া বরলাভ দ্বার! পিতার 'নুর্কার ক্ষেত্র শস্তশালী করিয়! দিয়াছিলেন,- শস্তাভাবে পিতার যে কষ্ট ছিল তাহ! অপালার দ্বারাই দূরীভূত হয়। ইনি বড়ই পিতৃতন্ত ছিলেন। খণেদের অ্ুম মণ্ডলের ৯১ নুক্তের আটটি খক্‌ অপাঁলা রচনা করিয়াছিরেন। ভারতীয় বিদুহী অদিতি খণেদ* সংহিতাঁর চতুর্থমগ্ডলের অষ্টাদশ সুক্তের পঞ্চম, বষ্ট ও সপ্তম খু অণিতি বিরচিত। অদিতি ইন্দ্রদেবের মাতা! বলিয়া গুসিদ্ধ। খষি বাঁমদেব একসময়ে নিজ মাতাঁকে ক্রেশ প্রদনি করিয়াছিলেন বাঁমদেবজননী পৃত্রকর্তক উৎপীড়িত্ হইয়া অদিতি ও ইন্দ্রদদেবের শরণাপন্ন হন। কথিত আছে অদিতি দেবী,কয়েকটি মন্ত্র রচনা করিয়া বাঁমদেবের অবাধ্যতা দমন করেন। অদিতি একটি শ্লোক বঁনিতেছেন__এজলবতী নদীগণ অ-ল-লা এইরূপ হর্ষস্ুচক শব্দ করিয়া গমন করিতেছে, হে খধি! তুমি উহাদিগকে জিজ্ঞাসা কর বে উহাঁরা কি বলিতেছে।” কথাগুলি বর্ত কবিত্বময় । পুরাণে কধিত আছে, অদিতি, ভগবান ক্ষম্তপের পত্রী ও ইন্ত্রাদি দেবগণের মাতা । ১১ ভারতীয় বিছুষী উহা১ সপর়ী দিতির বংশধর দৈত্যগণ, কোন সময়ে অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠে। তাহাদের মধ্যে গ্রহলাদের পৌল্র বিরচননন্দন বলি বিশ্বজিৎ নামক হন্ত সমাপন করিয়া স্বর্গরাজ্য অধিকার করেন। দেবগণ স্বর্গ হইতে বিতাড়িত হইয়া নিতান্ত ছুর্দশাঁপর হন। ইহাতে দেবমাতা অদিতি অত্যন্ত ফাঁতর হইয়া প্রতীকর মানসে স্বামীর শরণাপন্ন হন। ভগ্রবান কগ্তপ ভীহাকে" কঠোর পয়োব্রত উদ্যাপন করিয়া বিঝুর আরাধনা করিতে বলেন। তদনুসাঁওর অদিতি একাগ্রচিত্তে রত সম্পন্ন করিলে বিষণ গঁসন ইইরা তাহার গভে বামন রূপে জন্মগ্রহণ করেন। উপনয়ন সময়ে ' বামনরূপী ভগবান ব্রতভিক্ষার জন্ত বলির নিকট গমন করেন । বলি তাহার প্রার্থনা কি জানিতে চাহিলে, বামন ত্রিপাদ ভুমি মাত্র বাঞ্ছ। করেন। দাতা তাহার এই সানান্ত প্রার্থনা পূরণ করিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলে ভগবানু ১২ তারতীয় বিদী স্বীর খর্মদেহ বিশালরূপে বন্ধিত করিযি্ন। তাহার তিনটি চরণ। একপদে পৃথিবী, দ্বিতীয় পদে স্বর্গ ও শরীর দ্বারায় চন্য তারাগণসহ আকাঁশ আবৃত হইল। তৃতীয় পদের জন্য কোন স্থানই অবশিষ্ট রহিল না। বাল তখন মুদ্ধিলে গড়িলেন, স্বর্গ মর্ত্য সব বাঁমন অধিকার করিয়া লইয়াছেন, তিনি ব্রিপাঁদ ভূমি দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কিন্ত মাত্র ছুই পদের ভূমি দান করিয়াছেন এখনো! তৃতীয় গর বাঁকি আর তো কিছু অবশিষ্ট নাই এ তৃতীয় গদ রাখিবার ঠাই দিবেন কোথায়? বুঝিলেন ভগবান ছলনা করিতেছেন, নিজের মাথা নত করিয়া দিয়া বলিলেন--গ্প্রতু আমার মাথা আছে আপনার এ চরণটি আমার মাথায় স্বাগন করুন।” বলি স্ব মরত্য দান করিয়াছেন, এই ছুই স্থানে তাহার থাকিবার অধিকার লাই, তাহাকে পাতালে প্রবেশ করিতে হইল। দেবতার! স্বর্গরাজ্য লাভ করিলেন। ক্লারতীয় বিদুষী যমী ইনি খগেদমংহিতার দশম মণ্ডলের দশম সৃক্তের প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম ও একাদশ খক্গুলি এবং ১৫৪ স্ুক্তের পাঁচটি খু প্রণয়ন করেন। এই খকে তিনি যম রাজ।কে গাঁপীর দণ্ডবিধাত| বলিগ্ ঘোষণ| করেন নাই, বরঞ্চ বলিয়াছেন যম স্বর্গ নু খদাতা। ১৫৪ হুক্তের খকৃগুলি এইরূপ £-__ | «কোন ক্লোন প্রেতের অন্ত মোম রস ক্ষরিত হয়, কেহ কেহ দ্রত সেবন করে, যে সকল গ্রেতের জন্ত মধুর আোত বহিয়৷ থাকে হে প্রেত! তুমি তাহাদের নিকট গমন কর। খ্বীহার। তপশ্তাবলে র্য হইয়াছেন, বাহারা তপন্তাবলে স্বর্গে , গিয়াছেন, বাহারা অতি কঠোর তগন্ত। করিয়াছেন, হে প্রেত, তুমি তাহাদের নিকট গমন কর। ১৪ ভারতীয় বিদুষী “যাহারা যুদ্ধস্থলে যুদ্ধ করেন, যে সন্দ্ল বীর শরীরের মায় ত্যাগ করিয়াছেন কিংবা ধাহারা সহ দক্ষিণা দান করেন, হে প্রেত! তুমি তাহা্জের নিকট গমন কর। খ্যে সকল পূর্বতন ব্যক্তি পুণ্য কর্মের অনুষ্ঠানপূর্বক পুণ্যবান হইয়াছেন পুণ্যের কত বৃদ্ধি করিয়াছেন, ধাহারা তগস্তা করিয়াছেন, হে বম! এই প্রেত তাহাদিগের নিকটেই গমন করুক। “যে সকল বুদ্ধিমান ব্যক্তি সহঅগ্রকার সৎকর্ম্ের পদ্ধতি প্রদর্শন করিয়াছেন ধাহারা কুর্যকে রক্ষা করেন, ধাহারা তপস্তা হইতে উৎপন্ন হইয়া তপস্তাই করিয়াছেন, হে যম! এই প্রেত এই সকল খধিদের নিকট গমন করুক ।” ভারতীয় বিছ্ধী লোপাধুদ্রা বিদর্ত রাজার কন্। লোপাছুদ্রা অগন্তা মুনির পত্রী ছিলেন। অগন্ত্যমুনি পিতৃগণের দ্বারা আদিষ্ট হইয়া বংশরক্ষার জন্য লোপা- মুদ্রার পাঁণিগ্রহণ করেন। বিধ্যাচল নখন আকাশম্পশী দেহবিস্তার দ্বারা হুর্য/দেবের পথরোধ করিয়া ত্ীহ্বার রথ অচল করিয়া দরবার উপক্রম করিতেছিলেন সেই সময্ন এই অগন্ত্য খবি এক কৌশলে তাহা নিবারণ করেন। দেবগণেব দ্বারা অনুরুদ্ধ হইয়া সুনিপ্রবর বিন্ব্যাচলসকাশে একদিন উপস্থিত হইলেন। বিন্ধ্যাচল, খষিকে অতিথি দেখিয়। সসন্ত্রমে নিজের উন্নত মন্তক তাহার পদতলে লু্ঠিত করিলেন, খবি তাঁহাকে আনীর্ব্ধাদ করিয়া আজ্ঞা করিলেন_-্বংদ! যে পর্যন্ত না আমি আবার ফিরিয়া আসি তুমি ১৬ ভারতীয় বিদ্ধ আর মাথা তুলিও না” অগন্ত্য খষি গেলেন কিন্তু আর ফিরিলেন না; বিদ্যা খাষির কথা অমান্য করির| মন্তক উত্তোলন করিতে পারি”লন না । সেই হইতে আমাদের দেশে “অগস্ত্যঘাত্রা বলিয়া একটা কথা চলিত হইয়। গিয়াছে! মাসের প্রথম দিন কোথাও যাইলে অগন্ত্য খাঁত্রা হয়--সে দিন যাত্রা করিলে অগন্ত্যের মত আর ফিরিয়া আস! হয় না। । লোপামুদ্রার চরিত্রটি বড় সুন্দর। একদিকে বিদ্যার গৌরবে যেমন তিনি মহীয়সী অপর দিকে তেমনি পাতিক্রত্যের আধর্শ স্থানীয় । তিনি ছারার গ্ায় স্বামীর অন্থগাঁমিনী ছিলেন। স্বামী আহার করিলে তিনি আহার করিতেন; স্বামী নিদ্রা গেলে তিনি [নদ্রা যাইতেন 'এবং স্বামীর গাত্রোখানের পূর্বেই তিনি গাত্রোখীন করিতেন। পতিকে [তিনি একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞানের বিষয় করিয়া- ১৭ ভারতীয় বিদুধী ফিলেন। অগন্তা যদি কোন কারণে তাহার প্রতি বিরক্ত হইতেন লোপাদুদ্রা তাহাতে অসন্তোষ প্রকাশ করিতেন না, স্বামীর মনোরগ্রনের জগ্ত সঙ্গাই উদ্প্রীৰ থাকিতেন__স্বাণীর আজ্ঞা ব্যতিরেকে তিনি কোন কর্ধই করিতেন না । দেবতা, অতিথি ও গো-সেবায় তিনি কখন পরাম্থুখ ছিণেন না। লোপামুদ্রা খণ্বেদেন্ধ প্রথম মলের ১৭৯ স্ক্তের গ্রথম ও দ্বিতীয় খকু সংকলন করেন। রোমশা ইনি ভাঁবয়ব্য নামে এক রাজার মহিবী ছিলেন। ইনি খগ্রেদ সংহিতাঁর প্রথম মণ্ডলের ১২৬ শুক্তের ৭ম খকৃটি প্রণয়ন করেন। ইহার পুত্রের নাম ছিল স্বনয়; স্বনয় একজন বিখ্যাত দাতা ছিলেন । ১৮ ভারতীয় বিদ্ষী ৷ উর্বশী উব্বথা, অগ্মরা কন্তা। ইনি থণ্েদ সংহিতার দশম মণ্ডলের ৯৫ সক্ের সাতট খক্‌ প্রণয়ন করেন। এ সুক্তে উর্বশা ও পুরুরবার উপাখ্যান বর্ণিত হইয়াছে। পুরুরবা ও অপ্রা উর্বণা একত্রে কিছুকাণ বাস করিবার পর যখন পরম্পরের বিচ্ছেদ হইতেছে দেই সমরকাঁর” কথা ইহাতে বিবৃত হইয়াছে । পুরুরবা বলিতেছেন_পষ্কি! তুমি বড় নিব! এত *শাপ্ব*আমীকে ত্যাগ করিয়া যাইও ন1, তোমার সহিত প্রেমালাপ করিবার একটু অবসর দাঁও, মনের কথা যদি এখন স্ব্নতে না পারি “তবে চিরদিন অন্তাঁপ ভোগ করিতে হইবে।” - উর্বশী উত্তর দিতেছেন--“পুরুরঝ ! আপন গৃহে ফিরিয়া যাও, আমি উষার মত ১৯ ভারতীয় বিছুষী উমার কাছে আসিয়াছিলাম ; বাযুকে যেমন ধরা যায় না আমাকেও মনি ধাঁরতে পারিবে না--আমার সহিত গেনালাপ করিয় কি হইবে?” পুরুরবা ।-ণতোমার বিরে আমার ওণীর হইতে বাণ বাহির হয় না, যুদ জয় করিয়| গাভী আনিতে পারি না, রে আমার খাঁর নাই, রাজ্যের শোভা গিরাছে, আমার সৈশ্তগণ আর ভঙ্ার দিয়া উঠে না ।” পুরুরবার অসংখ্য কাঁতিরোক্তিতে উর্বশী যখন কর্ণপাঞ্ত করিলেন না তখন প্ুরুরবা বলিতেছেন__খ্তবে পুর্রবা* আজ পতিত হউক সে যেন আর কখন ন! উঠে_সে রন বহুদূরে দূর হইয়! যায়, সে যেন নিঃখতির অস্কে শয়ন করে, বলবান,বৃকগণ তাক যেন ভক্ষণ করে|”: উর্বশী ।_“হে পুরুরব1! এরপে স্্য কামন। করিও না, উচ্ছিন্ন যাইও না, ছুর্দীস্ত ও ভারতীয় বিদ্ষী, বৃকেণ তোমাকে যেন ভক্ষণ ন! করে। রমঠির প্রণয় স্থায়ী হয় না। নারীর হৃদয় আর বুকের হৃদয় ছুইই একপ্রকার হে ইলাপুত্র পুরুরবা দেবতাঁদকল তোমাকে আশীর্বাদ করিতেছেন তুমি মৃদ্তযুজরী হও ।” পুরুরবা! ও উর্বশী মনবদ্ধে একটি পৌরাণিক শপ চলিত আছে । স্বর্ণের অগ্মরা উর্বশী বরদ্দশাপে মানবী হইয়া জন্মগ্রহণ 'করৈন এবং কালক্রমে পুরুরবার পত্রীত্ব স্বীকার করেন। পুরুরবা চন্দ্রতনঘ্ বুধের পুত্র। ইনি যেমন প্রিয়দর্শন, তেমনি শিদ্ধান্‌ ও ধার্শিক ছিলেন। তাহার ন্যায় ক্ষমাশীল ও সত্যপরায়ণ লোকও তৎকালে পৃথিবীতে কেহ ছিল না। বেদবিহিত ক্রিয়া- ক্লাণ্ডের অনুষ্ঠান দ্বার তিনি বিপুল যশোলাভ করিয়াছিলেন। উর্বশী পুরুরবার রূপগুণে মুগ্ধ হইয়। তাহাকে পতিত্বে বরণ করেন। কিন্তু বিবাহকালে পুরুরবাকে এইরূপ গ্রতিজ্ঞা- , ভারতীয় বিছ্বী ক] হইতে হয় যে, কদীচ তিনি বিবন্ত্রভাৰে তাহাকে দেখা দিবেন না--আত্মসংযম বিষয়েও তাহাকে বিশেষ কঠোরতা অবলম্বন করিতে হইবে__পড়ীর শম্যাপার্খে সর্বদা দুইটি মেষ বদ্ধ থাকিবে, আর দিবসে একবার মাত্র ঘুত পান করিয়া তাঁহাকে জীবনধারণ করিতে হইবে। এই নিয়মের কোনোরূপ ব্যতিক্রম হইলেই উর্ণা তীহাকে পরিতাগ করিয়া গন্ধর্বলোকে প্রস্থান কারধেন। বলা বাভল্য, মহামতি পুরুরবা এই সকল কঠোর ব্রত পালন করিয়! উনষাট বৎসর কাল, সেই বিদ্ষী পরীর চহিত একান্ত সংঘমে বাঁস করিয়াছিলেন । এদিকে গন্ধরবশেষ্ট বিশ্বাবন্ধধ উর্ধশীকে শাপমুত্ত করিবার জন্য কৃতসংকল্প হইলেন। একদা রাত্রিকালে তিনি এ৯১ বমণীর শব্যাপার্খ হইতে মেষমুগলকে অপহরণ করেন। পত্রীর অনুরোধে পূরুরবা শব্যাত্যাগ, করিয়া বিবস্ত্র ভবস্থাতেই তাহাদের উদ্ধার- ২২ ভারতীয় বিদুষী, সাধনে ধাবিত হন। এমন সময়, গন্র্র্পিণ কর্তৃক উৎপাদিত বিদ্যুতের আলোকে উর্বশী স্বামীকে ,বিব্সন অবস্থাপ্স দেখিতে পাইয়া মুহ্র্তমধোই তিরোহিত হন পুরুরবা পত্রীশোকে একান্ত কাতর হইয়া বনুস্থানে তাহার অন্সদ্ধান করেন। পরিশেষে কুরু- ক্ষত্রের প্রক্ষতীর্থে উভরের দেখা হয়। উর্ধণী, পুরুরবাকে প্রয়াগ তীর্থে যাইরা একটি যজ্ঞের অনুষ্ঠান ' করিতে বলেন, এবং সম্বংঘর পরে আর একদিনের মিলন হইবে, তাহাও বলেন। পুরুরবা াহার উপদেশ মতে যজ্ঞের *অনুষ্ঠণন ফরেন এবং ফলস্বরূপ 'গদ্ধর্বলৌক গমনের অধিকার প্রাপ্ত হন। কথিত আছে, পুরুরবা প্রয়াগতীর্থঘে সপ্রতিষ্ঠানপুরীতে রাজ্ঞাস্কাপন করিয়াছিলেন এবং উর্ধশীর গে.তাহার ছয়টি পত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। ২৩ ভাঁরতীয় বিদুষী প্রবহমান কালমোতের সহিত ভারতে হিন্দুসভ্যতার উন্নতির গতি বেগবতী হইয়া উঠিয়াছিল। যে স্রোতের প্রারস্তে আমর! রমণীকে বিছ্বী দেখিয়াছি, সেই আত যখন উচ্ছসময়ী, তরঙ্ময়ী তখনও সেই রমণী জ্ঞানে বুদ্ধিতে গরীয়দী হইয়া আমাদের সম্মুখীন হইতেছেন। ভারতবর্ষে হিন্দুরা যখন দার্শনিক পণ্ডিত হইয়া উঠিতেছিলেন, সেই পর্য্যায়ে আদরা জনকয়েক রমণীরও সন্ধান পাই! শক্তিমান পুরুব, অবলা শ্বীজাতিকে শিক্ষাসন্বদ্ধে এখানেও পরার্ত করিয়া উদ্ধাসন গ্রহ্থ্ণ করিতে পারেন নাই-__রমণীও পমাঁন আগ্রহে, সান উৎসাহে, সমভাবে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রসর হইতেছিলেন।, ৪ ভারতীয় বিদ্ধ মৈত্রেয়ী প্রথমে মৈত্রেয়ীর কথা বলি। মৈত্রেয়ী একজন বিখ্যাত বিছুধী ছিলেন । বুহদারণ্যক উপনিষদে উহার বিগ্াবার কথা জানিতে পারা যায়। ইনি মিত্রের কন্ঠা ছিলেন। মিত্র একজন পঙ্ডিত ছিলেন । অতি শৈশব হইতেই আপনার কন্ঠাটিকে তিনি শিক্ষিতা কারয়া তুঁলিরাছিলেন ; এবং মুনিশ্রেষ্ঠ যাজ্ঞবর্থের সহিত তাহার বিবাহ দেন। বৃহদারণ্যকের অন্যকে পৃষ্ঠা মৈত্রেয়ীর জ্ঞানজ্যোতিতে উজ্জল হইয়া আছে। মহ্ধি 'যাজ্ঞবন্ধ্ের সহিত একএকটা৷ জটিল তত্ব লইয়া তিনি যেরূপ পারদর্শিতার সহিভ তক -করিরাছিলেন তাহ! পাঠ করিলে বিশ্ময়ান্থিত হইতে হয়। মহধি যাজ্ঞবন্ধ্য সংসান্নাশ্রম ত্যাগ করিয়া ' বানপ্রস্থ-অবলন্বনের জন্ত যখন চেষ্টা করিতে- ২৫ _ ভারতীয় বিদুষী ছিইসন, সেই সময় মৈত্রেয়ীর সহিত তাহার একট! তর্ক হয়। যাঁজ্ঞবন্ধ্যের ছুই স্ত্রী ছিলেন, তাহার যাহ| কিছু সম্পত্তি ছিল, হাহ! এই সময়ে তিনি তাহার ছুই পত্রীকে বিভাগ করিয়া লইতে বলেন । এই কথা হইতেই তকের উৎপত্তি হয়। তর্কে বিষয়সম্পতির অদারতার কথা মৈত্রেয়ী এমম সুন্দরভাবে ও সুযুক্ডির দ্বারা প্রকিত করেন যে, তা! পাঠ করিলে আজকালকার সভযজগতের শ্রে্ট দাশীনক পণ্ডিতকেও সন্ত্রমে মস্তক অবনত করিতে হয়। *এই ধরণী যদি ধনদ্বারা পরিপূর্ণ হইয়! আমার আয়ত্ত হস তাঁছাতেই কি আমি নির্ধাণ পদ লাভ করিব?” মৈত্রেঘীর এই" অমূল্য বাঁকা শাস্ত্রে অমর হইরা আছে। বলিলেন “না তাহা হইন্ছে না 1” মৈত্রেয়ী * তখন বলিয়া উঠিলেন প্থেনাহং নামৃতাস্তাম্‌ কিমহং তেন কুর্য্যাম্‌।” যাহা লইয়া .আমি ০ ভারতীয় বিদ্ষী অমৃতা না হইব তাহা লইয়। আমি কি করিপু? কি গম্ভীর অমৃতমররী বাণী নারীকে উদ্বোধিত, হইয়াছিল! তার পর সে ব্রচ্গ- বাঁদিনী করজোড়ে উদ্ধমুখে এই শেষ্ঠ প্রার্থনা উচ্চারণ করিয়াছিলেন--“অসতোমা সদ্গমর, তমপোমা জ্যোতির্ময়, মুত্োোর্মামৃতং গময়, উাবরাবীম্মএধি, রুদ যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিতাম্‌।” হে সত্যর্ূপ তুমি আমকে সকল অসত্য হইতে "মুক্তি দিয়া তৌঁমার সত্যন্থরাপে লইয়া যাঁও, হে জান্ময় মোহ- অন্ধকার হইতে মাকে জ্ঞানের আলোকে লইম্বা বাও, নে আনন্দরূপ মুত হইতে আমাকে অমূতে লইয়া াঁও, হে স্বপ্রকাশ তুমি আমার নিকট প্রকাশিত হও, হে দুঃখরূপ তোমার “খে প্রসন্ন কল্যাণ তাহাদ্বারা সর্বস্থানে সর্বর- কালে আমাকে রক্ষা কর1--এই চিরন্তন নরচিত্তের ব্যাকুল প্রার্থনা রমণীর কগেই রমণীয়,বাণীলাভ করিয়াছিল, তাহ! যুগে যুগে ২৭ ভারতীয় বিদুষী যখন কেহুই উঠিলেন ন! তখন মহর্ষি বাজ্ঞবন্ক্য ধঁ সহস্র গাভী গ্রহণ করিতে উদ্ভত হইলেন। জ্ঞানে বিদ্যায় তিনি যে সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন, তাহ! সকসেই স্বীকার করিতেন, যাঁজ্ঞবন্ধ্য নিজেও সেজন/। বড়ই অভিমানী ছিলেন। খাজ্ববন্য্যের স্পদ্ধী৷ দেখিঝ় জনমণ্ডলী চঞ্চণ হইয়া উঠিলেনু, কিন্তু সাই কষিয়া কেহ কৌন আপনি উত্মাপন করিতে পারিলেন না। সেই সভার এক কোণে এক রমণা বসিয়া ছিলেন, যাজ্ঞবক্যের বুষ্টতা তাহার পক্ষে অসন্ধ বোধ হইল। আসন শরিক্যাগ কুরিয। তিনি উঠিয়! দাড়াইলেন, সকলের দৃষ্টি তাহার উপর, পড়িল, তিনি গাগা । যাজ্ঞবন্থ্যের দিকে চাহি সেই রমণী তেজোগর্বব ভাষার জিজ্ঞাসা করিলেন_প্্রাঙ্গণ ৃ , তুমিই কি এই জনারণোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা ্রহ্ধজ্ঞ ?” থাজ্ঞব্ধ্য দস্বরে উত্তর করিলেন 0০ ভারতীয় বিদুধী “ই 1” গা্গী বলিলেন, "আচ্ছা, শুধু কথায় হইবে না, তাহার পরিচয় চাই 1” তখন এক মহাতিকের ুচনা হইল, গার্গা যাঙ্ঞবন্কাকে *« পরীক্ষা করিতে লাগিলেন, ব্রহ্গস্বন্ধে কত শাস্ত্রার প্রশ্ন উত্থাপিত হইল। বাঙ্ষণকুমারী গার্গীর প্রশ্রবাণে বাজ্ঞব্ধ্যমুনি খুব্দ্ধ হইতে লাগিলেন । সভার পণ্ডিতমণ্ডলী সে তর্ক বিস্ময়ের সহিত শুনিতে লাগিণেন এবং মনে মনে গাগীর পাগ্ডত্যের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া ধগ্ত ধন্য রবে তাহার গৌরব ঘোষণ! করিতে লাগিলেন। দেবহুতি আর একজন রমণীর নাম দেবহুতি। ইনি রাঁজা স্বায়ন্তুব মন্ুর কন্তা ছিলেন, ইহার মৃতার নাম ছিল" শতরূপা। প্রিয়ব্ুত ও উত্বানপাদ নামে ছুই প্রসিদ্ধ রাজা দেবহুতির ৩১ ভারতীয় বিদুষী ভ্রাতা ছিলেন। কর্দম নামে এক খঁ। ছিলেন, তিনি জ্ঞানে বিষ্তায় বুদ্ধিতে বিখ্যাত ছিলেন । দেবহুতি তীহাকে স্বামিত্বে বরণ করিতে অভিলাধিণী হন। জ্ঞান ও বিদ্যান্বা করিবার আকাঙ্জায় দেবহুতি রাজ্জকন্া হঃয়াও এই দরি্ খধিকে বরণ করিতে চাহিয়া হলেন,-- শিক্ষার প্রতি ত্বাহার অনুরাগ এনই গ্রবুঙ ছিল। রাজা সবায়ন্তব বিবঠু গ্স্তাব লই কদিমের নিকট উপস্থিত হইলেন, কর্দম তন ব্রন্চর্য সমাপন করিয়া গৃহীশ্রমে প্রবেশের উদ্যোগ করিতেছেন, দেব্তির মত রমণীকে পাইয়া তিনি কৃতার্থ জ্ঞান করিলেন। দেবহুতি পিতৃগৃহের শব্ধ ত্যাগ করিয়া গ্বানীর সহিত বনবাসিনী হইলেন। দিন দিন তাহার বিদ্বালাভের স্পৃহ! প্রব্ হইয়া উঠিতে লাগিল; তাহার স্বামী সৈ স্পৃহা চরিতার্থ করিতে কুন্ঠিত হইলেন না,তীহার জ্ঞানভাগারে ৩২ ভারতীয় বিদুষী বাহ! কি? ছিল নিঃশেষ করিয়া পত্ীকে দান করিতে পাগিলেন। নিজ্জন অরণ্যে স্বামীর পাদমূলে বসির! দেবহুতি ব্রক্ষচারিণীর মত একাগ্রমনে প্রিঙ্ষালাভ করিতে লাগিলেন; শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তাহার মাঁনসনয়নাগ্রে জগতের কত সমন্তা, কত বৈচিত্র্য চিত্রিত হইয। উঠিল 7 চিন্তাশালা রমত্রী তাহার পূরণের জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। দেব্হতির গর্ভে নক কষন্য! জন্ম লাঁভ করেন তন্মবো অরুদ্ধতী ও অনস্থরা বিশেষ বিখাতি। অরুদ্ধতী বশিষ্ঠ খষির পত্রী ছিলেন; তাঁহার পাতিব্রত্া জগতে আদর্শন্বক্রপ ! বিবাহ মন্ত্রে উক্ত আছে ঘে বিবাহকালে কন্ঠ বপিবেন_- “অরুদ্ধতি! আমি তোমার স্যার স্বীর স্বামীতে অঞ্লরক্তা থাকি; এই আমার প্রার্থনা ।” অনসথর। অত্রি খষিকে বরণ করেন তিনিও ভগ্ী অকুদ্ধতীর স্তান্ব গুণুবতী ছিলেন। সাঙ্যদর্শনপ্রণেতা কপিলমুনিকেও এই ৩৩ ভারতীয় বিদুষী দেবছুতি গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন। কপিলই দর্শনশান্্ের জন্মদাতী। তিনিই প্রথমে জ্ঞানের প্রদীপ শিখা লইয়া মানণের অন্ধকার- আচ্ছন্ন মনের নিগুঢ় তথ্য অনেধণ করেন, হুঙষ- দৃষ্টিতে মানবের অস্তর বিশ্লিষ্ট ক'রয়া দেখেন; তিনিই প্রথম আলোচনা করেন কোথার দুঃ ও শাগ্তির বীজ রহিয়াছে |, হিনিই প্রথমে ' আবিদার করেন কি করিয়। সেই ছুঃথের বীজ ধ্বংস করিতে খারা যায়কি উপায়ে - মানবের মুক্তি আসে। কিন্তু এই কপিলের শিক্ষাণাভের মূলে বর্তমান কে? কে তাহার, ক্ুদ্ুষ্টি জগতের ব্াাপকতায় প্রসারিত করিয়া দেন- মানুষের, অন্তর-অন্ষেণের বৃত্তি কে তাহার মধ্যে জাগাইয়া দেন? তিনি তাহার জননী দেবহচ্ি। এমন জননী ন! পাইলে কগিলকে আমরা এভাবে দেখিতে পাইতাম কি না সনোহ। দেবহুতি আপনার পুত্রকে আপনি শিক্ষা- ৩৪ ভারতীয় বিদুযী দান করিয়াছিলেন, কোন্‌ পথে কপিলের চিন্তাত্রোত প্রধাবিত হহবে তাহাও তিনি নিদেশ করিয়া দেন। যে দশনশাস্ত্রের অমূল্য বীজ দেবহুতি আরাধনায় লাভ করিয়াছিবেন, তাহা তিনি পুত্রের সাহাযো ফলফুলশোভিত বক্ষে পরিণত করিয়া তুলেন। ম্দালম৷ দেবহুতির মত আর একাট রমণাকে আমরা দেখিতে পাই যিনি শিক্ষাদানে নিজের পুত্রকে মহৎ করিয়। জুলিয়াছিলেন। তাহার নাম 'মদ্বীলসা। তিনি গন্ধর্ববকন্তা ছিলেন, খতধ্বজ রাজার সহিত তাহার বিবাহ হয়। ম্দালসা বিছ্বধী, ভক্তিমতঁ ও জ্ঞানবতী রমণা ছিলেন। বিক্রাপ্ত, স্ুবাহু, শত্রুম্ূন ও* অলক নামে তাহার চার পুত্র ছিল। পুত্রগণকে [তিনি নিজে শিক্ষা দান করিতেন। তাহার নিকট ৩৫ ভারতীয় বিছুষী হইতে উপদেশ লাভ করিয়া বিক্রান্ত, সুবছি ও শত্রমর্দন সংসারবিরাগী হইয়া সন্নযাসব্রত অবলম্বন করেন। পুত্রগণের চরিত্র তিনি কেমন করিয়। উন্নত করিয়া তুলিয়াছিলেন তাহার কিঞ্চিৎ আভাঁৰ দিতেছি । মদালসার জো্টপূত্র বিক্রান্ত একদিন কয়েকজন বালকের দ্বারা প্রহ্ৃত ইইয়া কাদিতে কাদিতে আসিয়া মাকে বলিলেন, -“মা, জনকতক বাঁসিক আমাকে প্রহার, করিগাছে। আমি রাজপুত্র আর উহার প্রজার সন্তান ; আমি এত সম্মানের পাত্র তবু, উহার! সাঁমান্ত শোক হইর আমাকে প্রহার করে-এত বড় স্দ্ধা! তুমি ইহার প্রতিবিধান কর” মদালসা এই কথা , শুনিগ্না পুল্পকে বুঝাইলেন_ধ্বত্স1 তুমি শুদ্ধাত্মা। আত্মার ্রক্কতি নাম-দবারা কলুষিত হয় না, তোমার “বিক্রান্ত' নাম বা রাজপুত্র উপাধি প্রক্কৃত ৩৬ ভারতীয় বিদুষী পদার্থ নহে,-কল্পিত মাত্র। অতএব রাজপুত্র বলিয়া অভিমান করা তোমার পক্ষে শোভা পায় না। তোমার এই দৃশ্তমান শরীর পাঞ্চভৌতিক, তুম এই দেহ নহ, তবে দেহের বিকারে ক্রন্দন করিতেছ কেন ?” মহিধীর শিক্ষার গ্রভাবে তিনটি পুত্র সথন' সংসারত্যাগী হইল তথন রাজা খতধবজ চিন্তিত হইয়া ম্দালসাকে বলিলেন, ২মিদাললা ! তিনটি পুত্রকে তুমি ত বনবাসী করিরাছ এখন কনিষ্ঠ পুত্র বাহাতে তাহার ভ্রাতত্রয়ের পথান্ুসরণ না করে তাহার বিধান কর। সেবদি সন্্যাপী হয় তবে রাজ্যশাঁসন করিবে কে ?” মদালসা স্বানীর আজ্ঞায় তখন কনিষ্ট পুত্র অলর্ককে রাজনীতিব্যিরক উপদেশ দিতে লাগিলেন। তাহার সেই উপদেশগুলি পাঠ করিলে তিনি যে বিচক্ষণ রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন তাহা বেশ বুঝিতে পারা যার। ৩৭ ভারতীয় বিদুষী মার্কণেয় পুরাণে খতধ্বজ ও মদালস! সম্বন্ধে একটি উপাখ্যান পাঁওয়া যাঁয়। দৈতাদানবের উৎপাতে খষি গাঁলবের তপোবিদ্র জন্মিতেছে এই কথা শুনিয়া শত্রজিৎ রাজার পুত্র খতধবজ থষির তপোরক্ষার জন্য তদীয় আশ্রমে গমন করিলেন । একদিন গালব তপভ্রপে নিযুক্ত আছেন এমন সময় এক দানব বিপ্ল ঘটাইবার জন্য শৃকর-মু্ঠি ধারণ করিয়া সেই আশে আঁসিয় উপস্থিত হইল । : রাজকুমার ধাতধ্বজ তাহাকে দেখিয়া শরসন্ধান করিলেন এ্খং, নারাচের আঘাতে তাহাকে বিদ্ধ করিলেন। শূকর গ্রাণভয়ে পলায়ন করিতে লাগিল ; খতধবজ কুবলয় নাঁমক 'এক' অশ্বে আরোহণ করিয়া তাহার পশ্চাতধাবন করিলেন। শুকর ছুটিয়া ছুটিয়' সহঅ যোজন অতিক্রম করিয়া! গেল, রাজপুত্র অস্বপুষ্টে তখনও তাহার অনুগমন করিতে লাগিলেন । অবশেষে সেই শৃকররূপী দানব এক গর্দামধ্যে ৩৮ ভারতীয় বিছুষী প্রবেশ করিয়া অস্তর্ধান করিল, খতধ্বজ সেখানেও তাহার অন্থুসরণ করিলেন। গর্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন; অনেকক্ষণ পর্যন্ত সেই অন্ধকার ভেদ করিয়া ধতধ্বজ অবশেষে আলোকে আসিয়া পড়িলেন; দ্েখিলেন ইন্্রপুরীর গ্তায় শত শত প্রাসাদশৌভিত ও প্রাকার পরিবোইত এক অপূর্ব পুরী! তিনি শৃকরের অন্থসন্ধান করিতে করিতে এক প্রাসাদের মধ্যে সধিগণপরিবেষ্টিত। হ্দীণাঙ্গী এক ললনাকে দেখিতে পাইলেন; সেই রমণী খতধবজকে দেখিবামাত্র মুচ্ছিতা হইয়া পড়িলেন। | , সখিগণের সেবায় সেই রমণীর মুচ্ছ! অপনোদন হইলে রাজপুত্র তাহার পরিচয় ক্ষিজ্ঞাসা করিলেন। একজন সখী বলিল-- “ইনি গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবন্র কন্তা মদালস!। ইনি. একদিন উগ্চানে ভ্রমণ করিতেছিলেন, এমন সময় বজকেতু দানবের পুত্র পাঁতীলকেতু ৩ ভারতীয় বিদুষী তমোমরী মায়া বিস্তাব করিয়া ইহাকে হরণ করে এবং বিবাহ করিবে বলিরা এই পুরীতে রাখিয়া দিয়াছে । সী গম্বর্ধকুমারীর পরিচয় প্রদান শেষ করিয়া রাঁজকুমারকে জিজ্ঞাসা করিল, _“আপনি কে এবং কেমন করিয়াই বা এই পাতালপূরীতে প্রবেশ করিলেন?” খতধধ্বজ আনুপুর্কিক সমস্ত বলিলে সখী পুনরার বলিল--প্তবে আপনি আমার সমী মদালসাকে এই গাতালপুরী ও দানব পাতালকেতুর হাত হইতে রঙ্গা করুন; উনি আপনার গ্রতি অনুরাগিণী হইর়াছন,--দেবকন্তারূপা মদাঁলসাঁকে পত্রীরূপে পাইলে কে না নিজেকে সৌভাগ্যবান জ্ঞান করিবেন? আর আঁপনার মত স্বামী আমার সথীরই উপযুক্। খতধবজ মদাঁলসার পাণিগ্রভণ করিয়া পাঁতালপুরী হইতে বাহির হুইয়া আসিতেছেন, দৈত্যেরা পথে তীহাকে আক্রমণ করিল। ৪% ভারতীয় বিদুষী ঘোরতর যুদ্ধ বাধিযা৷ গেল। খতধবজ একা সমস্ত দৈত্যের প্রাণ সংহার করিলেন এবং জরলাভ করিয়া পত্রীসমভিধ্যাভারে নির্বিত্রে পিভরাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন। খতধবজের পিতা শক্রজিৎ এবং পুরবাসিগণ মদালসাকে মহা আনন্দে বরণ করিয়া লইলেন ! কিছুকাল*পরে পিতার আদেশে খবিগণের তপোরক্ষার জন্ত খতধবজ পুনরার বাহির হইলেন; ভ্রমণ করিতে করিতে যমুনাতটে উপস্থিত হইলেন, তথায় পাতালকেতুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা তালকেতু মায়াবলে . মুনিরূপ ধরিয়া আশ্রম নির্মাণ করিরী অবস্থান করিতে- শছিল। তালকেতু খতধবজকে দেখিয়া জাতৃ- বৈরি বলিরা চিনিতে পারিল, এবং প্রতিশোধ '্লইবার মানসে এক কৌশল অবলম্বন কবিল। মে খতধ্বদের নিকটে আসিয়া বলিল _্রাজকুমার ! আপনি খধিকুলের তপোঁ- রক্ষায় নিযুক্ত আছেন; আমি এক জ্ঞানুষ্টা- ৪৯ ক “ভারতীয় বিদ্ষী নের সংকল্প করিয়াছি, কিন্তু দক্ষিণা দিবাঁর ক্ষমতা নাই বলিয়া তাহা কার্যে পরিণত করিতে পারিতেছি না। আপনার 'কগের & মণিময় হার যদি আমাকে দান করেন তাহ হইলে আমার বাঁদনা পূর্ণ হয়। এই কথা পুনিয়া খতধবজ নিজ ক হইতে হার উন্মোচন করিয়া সেই ছন্পবেশী দানবকে প্রদান | করিলেন। হার পাইয়া তাঁলকেতু বলিল --”আমি এখন জলমধো প্রীবেশ করিয়া বরুণ - দেবের আরাধনা করিব, যে পর্য্যন্ত না ফিরিয়া আসি আপনি আমার আশ্রম রক্ষা করুন।” খতধবজ তাঁলকেতুর ঞ্থায় €কাঁন সন্দেহ না করিয়া সেই আশ্রমে অবস্থান করিতে' লাগিলেন। এদিকে তালকেতু সেই ভার লইয়া শত্রজিৎ রাজার রাজ্যে উপস্থিত হইল: এবং এ হার দেখাইয়া প্রচান্র করিয়। দিল যে _ দরানবদের সহিত যুদ্ধে খতধবজ নিহত হইয়া- ছেন। এই নিদারুণ সংবাদ শ্রবণ করিয়া মদ্লালসা ৪ ভারতীয় বিদুষী আর প্রাণধারণ করিতে পারিলেন না, মৃষ্চিতা হইয়া পড়িলেন, আর উঠিলেন না। তারুকেতু তখন যমুনাতটে ফিরিয়া আসিয়া কহিল-_্যুবরাজ! আমার যজ্ঞ শেষ হইয়াছে, আপনি এখন যাইতে পারেন। আপনি আমার বহুদিনের মনোরথ পূর্ণ করিলেন, আপনার মঙ্গল হউক ণ” খাতধ্বজ রাজধানীতে ফিরিয়া আসিয়া সকল কথা শুনিপ্পেন মদালসা ইহসংসারে আর নাই-_তাহার মৃত্যু সংবাঁদ শুনিবামাত্রই দেহ ত্যাগ করিয়াছেন_এই শোকে তিনি মুহাযান হইয়া পড়িলৈন। এবং “মদালসা আমার মৃত্যু সংবাঁদ শুনিয়াই প্রাণত্যাগ করিলেন আর আমি তাহার বিরহে এখনও জীবিত রম্য়াছি* এইরূপ কাতিরধ্বনি করিতে লাঁগিলেন। খধবজের এই অবস্থা দেখিয়া তাঁহার বন্ধু, নাগরাজতনয়গণ ইহার প্রতিকার মানসে বদ্ধ- ৪৩ ভারতীয় বিদ্রষী পরিকর হইলেন। মদালসা ও খতধ্বজের যাহাতে পুনর্মিলন হয় তজ্ভ্য তাহার! স্বীর পিতা নাঁগরাজকে বিশেষ করিরা অন্টরোধ কারিতে লাগিলেন । নাগরাঁজ হিমাঁলয়ে গিয়া স্ুডুশচর তগপস্তাঁয় বসিলেন এবং তপত্তাদ্বারা সরস্বতী ও মহাঁদেবকে তুষ্ট করিয়া এই বরলাভ করিলেন যে মদালসা যে বরসে জন্মিয়াছেন সেই বয়স লইয়া! তাহার কন্ঠারূপে পুনরায় জন্ম গ্রহণ করিবেন। মহাদেব ও সরন্বতীব বরে নদাঁলসা যেমনটি ছিলেন ঠিক তেমনি, হইয়া নাগরাজগৃহে ভূমি হইলেন। তাহার পর একদিন , নাগরাজ খতধ্বজকে নাগপুরীতে নিমন্ত্রণ করিয়া মদালসার সহিত তাহার মিলন ঘটাইয়। দিলেন। ৪৪ ভারতীন্ন বিদুষী আত্রেয়ী আত্রেগী প্রাচীন ভারতের অন্যতমা বিদৃষী রমণা। ইনি কোন গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন কিনা জানা যাগ নাই, কিন্তু জ্ঞানার্জন বিষয়ে ইহার যেরূপ গভীর অনুরাগ ও অদম্য অধ্য- বসায়ের পরিচয় পাওরা গিয়াছে, সেরপ দৃষ্াস্ত জগতে বিরল। প্রাচীন বেদাধ্যাপক মহাকবি বান্সীকিকে উপঘুন্ত' গুরু মনে করিয়া এই রমণী তীহার নিকট বেদবেদাঙ্গ ও উপনিষদাদি শিক্ষা করিতে গিয়াছিলেন, এবং কিছুকাল অক্রান্ত পরিশ্রমে: তথায় শাস্্রীভ্যাসও করিয়া- ছিলেন। কিন্তু ঘখন সীতাদেবীর বমজ তনয় লবকুশ উক্ত মহষধির নিকট পাঠ আর্ত করিলেন, তখন আত্রেয়ী দেবীকে কিছু অন্ুুবিধায় পড়িতে হইল। লবকুশের প্রতিভা এমন অদ্ভুত রকমের ছিল যে দ্বাদশ বসর ক্রম পূর্ণ হইবার পূর্বেই তীহারা বহুশান্ত ৪ ৫ তারতীক্গ বিদুধী অধ্যরন করিয়া খক, যু, ও সামবেদে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাঁভ করিয়াছিলেন । সেই সুকুমার বাল্য বয়সেই যে তাহার! মহধি প্রণীত রামায়ণ নামক স্থবৃহৎ মহাকাব্যথানি একে- বারে কগস্থ করিতে পারিরাছিলেন, ইহা তাহাদের অগাণান্য : মেধাশক্তিরই পরিচায়ক । এই তীক্ষধী বালক দুটিকে শিষ্যুব্ূপে পাইয়া সম্তবত মহধিও তাহার অন্যান্ত শিষ্য ও শিব্যাদিগের শিক্ষাদান বিলরে কিয় পরিমাণে শিঁথলপ্রধন্ত হইয়া থাকবেন, সুতরাং আত্রেরী তখন বান্ীকির আশ্রমে তাহার জ্ঞানস্পৃহা চরিতার্থ কর: বিধুয়ে বিশেষ অন্তরায় দেখিতে পাইলেন। লবকুশের ধাপ্তপ্রতিভার নিকট তাহার নিজের মানসিক শক্তি নিতান্ত হীন বলিয়া বিবেচিত হইল-_তাহাদের সঙ্গে একযোগে পাঠাভ্যাস করিতে গিগ্পা তিনি সমভাবে তাহাদের সহিত অগ্রসর হইতে পারিলেন না, সুতরাং ভগ্পন্বদরে তিনি মহবির ৪৩ ভারতীয় বিদুষী আশ্রম পরিত্যাগ করিলেন। উপযুক্ত গুরু পাইয়াও অনৃষ্ট দোষে তাহার উদ্দেশ্ত সিদ্ধ হইল না। যাহা হউক, তাহার জ্ঞানপিপাস! এমনি প্রবল ছিল যে, তিনি আর কাল-বিলম্ব না করিয়া উপধুক্ত গুরুর অনুদ্ধানে বাহির হইলেন। তৎকালে অনেক বেদজ্ঞ পণ্ডিত দক্ষিণ ভারতবর্ষকে অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে মহামুনি অগন্ত্যই সর্ঝপ্রধান। আত্রেসী উপনিষদাদি শিক্ষা করিবার জন্য তাঁহার নিকট গমন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। রমণীর পক্ষে তৎকাঁলে সেই বহুযোজন দুবনতী অগত্যা শ্রমে যাওয় বড় সৃহজ ব্যপার ছিল না। কিন্তু সেই ব্র্দচারিণীর উৎকট জ্ঞানস্পৃহা কোনে! বাধা বিদ্র বা ক্লেশকেই গ্রাহ করিল ন|। নিঃসহায়। রমণী একাকিণী প্রবাস যাত্রা করিলেন এবং কত জনপদ, নদ নদী অতিক্রম করিয়া! বিশীল দণ্ডকারণ্য অতিবাহ্নপূর্বক বহুদিন পরে পদব্রজে অগস্ত্যাশ্রমে উপস্থিত হইলেন। ৪৭ ভারতীয় বিদুষী কথিত আছে, মহধি অগস্ত্য রমণীর এইব্প অস্তুত জ্ঞানাকাজ্ষা ও অদম্য অধ্যবসায় দেখিয়া একেবারে মুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং কন্তার ন্যায় স্্রেহে নিজ আশ্রমে রাখিয়া বহুযত্রে তাহাকে শিক্ষাদান করিয়াছিলেন। তাহার এই সাগ্রহ অধ্যাপনায় আত্রেরীও নিজের অভীষ্টলাভে সমর্থ ইয়াছিলেন । ভারতী শষ্করাচার্ধ্য যখন বিশ্বগ্রাসী বৌদ্ধধর্মের কবল হুইতে হিন্দধর্মকে রক্ষ করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, সিদ্ু-উপকুল হইতে হিণালয় পধ্যন্ত কল দেশে শিষ্যসহ গমন করিয়া খন আপনার মত প্রতিঠিত করিতেছিলেন সেই বয় এই কার্যে এক রমণীও সাহাধ্য দীন করিয়াছিলেন, তিনি . মগ্ডনমিশ্রের স্ত্রী ভারতী দেবী। এই ভারতী এক মহাবিদুষী ছিলেন। 6৮ ভারতীর বিদধী মণ্ডনমিশ্রের সহিত শঙ্করাচাধ্যের একসনর শাত্রীয় তর্ক হয়। এই তকের হুত্রপাতে শঙ্ষরাচার্যয *প্রৃতিজ্ঞা করেন, তিনি যদি তকে পরাজিত হন তাহা হইলে সন্যাসধন্খ ত্যাগ করিয়া তিনি মণগডনমিশরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিবেন; আর মৃণ্নমিশ্র প্রতিজ্ঞা করেন তিনি যদি পরাজিত হন তাহা হইলে সংসারধর্মম ত্যাগ করিয়া তিনি শঞ্চরাচাধোর শি গ্রহণ করিবেন। ছুই জনেই মহা পণ্ডিত ছিলেন, স্থুতরাং তাহাদের তর্ক সাঘান্ত হইবে না। দুইদলের দুই প্রধান পঞ্ডিতের তর্ক-_এ তের বিচার ধরে কে? এত বড় পাণ্ডিত্য কাহার? বিচারকের সম্ধানে বেশি দূর যাইবার প্র্য়াজন হইল-না। মগ্ন মিশ্রের স্ত্রী ভারতী দেবী এই মহা সক্গানের কার্যযভার প্রাপ্ত হইলেন। এই ব্যাপার হইতেই বুঝা যায় ভারুতী কত বড় বিছুষী ছিলেন। ভারতীয় বিদুষী তর্ক চলিভে লাগিল, ভারতী জয়মাল্য হাতে করিয়া বসির! রহিলেন। সে মাল্য কাহার গলায় অর্পণ করিবেন, কে সেই মাল্য পাইবার উপযুন্ত, ধীরভাবে তাহার নিপ্পস্তি করিতে লাগিলেন। বোগ্যপাত্রেই বিচারের ভার পড়িয়াছিল। ভারতী দেবী পক্ষপাত শূন্য হইয়া বিচার করিতে লাগিলেন_তিনি যে গুরুভার পাইয়াছেন তাহার অবমানন| করিলেন না । দ্রেখিলেন স্বামী পরাজিত হইয়াছেন, 'অবুিশচিত্তে শঙ্করাচার্যের গলায় সেই জঙ্মমাল্য পরাইরা দিলেন । স্বামী পরাজিত হইয়াছেন দেখিয়া ভারতী বলিলেন,__*এখন আমার সহিত তর্কযুদ্ধে অগ্রসর হও, আমাকে যদি জয় করিতে পার তবেই তুমি যথার্থ .জয়ী হইবে 1” রমণীর মুখে এ স্পদ্দাবাক্যে শঙ্কর একটু চমকিত হইয়া উঠিলেন--শঙ্করাচার্য্যের সহিত এই রমণী তর্ক করিতে চাঁয়! ৫০ ভারতীয় বিদুষী তর্ক আরন্ত হইল। ভারতী প্রশ্ন করিতে লাগিলেন শঙ্কর উত্তর দিতে লাগিলেন। আবার শঙ্কর, শান্মীয় সমন্তা উপস্থিত করিতে লাগিলেন ভারতী তাহা পূরণ করিতে লাগিলেন--এইরূপে দিন রাত্রি সপ্তাহ মাস ধরিয়া তর্ক চলিতে লাগিল। ভারতী কিছুতেই ্ান্ত হন না-ঙিনি শঙ্করাচাধ্যকে জর করি- বার জন্ত উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন! 'শঙ্করাচাধ্য তাহার পাণ্ডিত্য, ধৈধ্য, অধ্যবসায় দেখিয়া স্তন্তিত হইলেন ; মনে মনে ভাঁবিলেন অনেক পণ্ডিতের সহিত তবু করিয়াছি কিন্ত এমন তক কোর্থাও শুনি নাই | ভারতী দেবী কিছুতেই ছাড়েন না, এক শাস্ত্রের তর্ক শেষ হয় পর শাস্থ ধরেন, কিন্তু শঙ্করাচাধ্যকে কিছুতেই পরাঁজিত করিতেন্পারেন না। শেষে ভারতী রতি-শাস্ত্সত্বন্ধীয় প্রশ্ন আরত্ত করিলেন। তখন শঙ্কর হতাশ হইয়! বলিলেন,_“আমি সংসার- ত্যাগী, রতিশাস্ত্রে আমার কোন অভিজ্ঞতা নাই।” ৫১ ভারতায় বিছুধী ভারতী দেবী জরগর্তবে উৎফুল্ল হইয়া উঠিলেন। প্রতিজ্ঞামত মণডনমিশ্র শঙ্করাচাধ্যের শ্য্িত গ্রহণ করিয়া সংসারধর্ম ত্যাগ করিলেন। ভারতীদেবীও স্বামীর অনুবহ্িনী হইলেন। শঙ্করাচার্য তর্কে জয়লাভ করিয়। শুধু থে মণ্ডনমিশ্রকে লাভ করিলেন তাহা নহে, সঙ্গে সঙ্গে বিদুধী ভারতীকেও পাইলেন। শঙ্কর যে মহ!কাধ্ের ভার লইয়াছিলেন তাহা সম্পন্ন করিতে ভারতীর মত রমণীরও বিশেষ আবঠ্ক ছিল। ভারতী গপ্রাণমন ঢালিয়া শ্রাচার্যের কাধো সহায়তা করিতে লাগিলেন। | ভারতীকে না পাইলে বোধ * হত শক্ষরাচার্যের অনেক কার্ধ্য অসম্পূর্ণ থাকিদ্না যাইত। আমরা শৃ্করাঁচারধ্যকে বতটা সম্মান দান করিয়া! থাকি তাহার কতক অংশ ভারতীর প্রাপ্য । ভারতী জীবনের শেষদিন পর্য্যন্ত শঙ্করাচার্য্ের কার্যে ব্যাপৃত়া! ছিলেন। ৫২ ভারতীয় বিছুষী শঙ্গেরীতে শঙ্করাচার্যা তাহার জন্ত একটি মন্দির নির্মীণ করিয়া দেন, তিনি শেষজীবন সেইস্থানে অতিবাহিত করিয়াছিলেন। লীলাঁবতী জগত্স্দ্ধ লোক যাহার নাম জানেন এবার তীছার কথাই উল্লেখ করিব। তিনি লীলাবতী -২পণ্তিত ভাক্করাচার্দ্যের কনা । লীলাবতী “অল্নব্য়সে বিধবা হনণ ঞ্দীলাবতীর বিধবা হওয়া সন্বদ্ধে একটি কথ! চলিত আছে । _.. লীলাবভীর পিতা ভাস্করাচার্য্য জ্যোতিষ শান্ত পর্ডিত ছিলেন । * তিমি“কন্যার ভাগ্যফল গণনা করিয়া দেখিলেন যে, বিবাহের পর অন্নকালের মধ্যে কন্ঠা বিধবা হইবে। তিনি জেত্সতিধী পণ্ডিত, জ্যোতিষের নাড়ীনক্ষত্ সব জানেন, গণনা করিয়া এনন লগ্ন খু'জিতে লাগিলেন যে লগ্নে বিবাহ হইলে কন্তা কখন বিধবা হইতে পারে না। সেই শুভ লগ্নটি ৫৩ ভারতীয় বিদষী কখন তাহা নিল করিয়া স্থির করিবার জন্ত একটি ছোট পাত্র ছিদ্র করিয়া জলের উপর ভাসাইয়৷ রাখ। হইল; ছিদ্রপথে জল প্রবেশ করিয়া যে মুহুর্তে পার্টিকে ডুবাইয়া দিবে সেই মুহুর্তটই শুভ লগ্ন! মানুষ বিধাতার লিপি কৌশলে ও বিগ্ঠাবুদ্ধির বলে নিক্ষল করিতে চাহিল কিন্তু সে চেষ্টা বিধাভার স্ুদর্শনচক্রে ছিন্ন হইয়া গেল । লীলাবৃতী বালিক'), কাজেই কৌতুহল- পরবশ ছিলেন । তিনি কৌতহলাক্রান্ত হইয়া পাত্র জলমগ্র হওয়ার ব্যাপার উদগ্রীব হইয়া দেখিতেছিলেন। . বিশাহ ১জ্জায় লীলাবতী তথন সঙ্জিতা ;মাথায় মুক্তার গৃহন] পরিয়াছেন। ঝুঁকিয়া পড়িয়া অদ্ধমগ্ন পাত্রটিকে যেমন দেখিতে বাইবেন জনি সকলের অজ্ঞাতসারে তাহার মাথা হইতে একটি ছোট মুক্তা পাত্রের মধ্যে পড়িয়। জলপ্রবেশের পথ বন্ধ করিয়া দিল। ৪ তারতীক়্ বিছৃবী সকলেই অপেক্ধী করিতেছেন পাত্রটি কখন জলমগ্র হয় কিন্তু পাত্র আর ডোঁবে না! অসম্ভব বিনন্ব হইতেছে দেখিয়া অনুসন্ধান করা হইল,তখন কাশ পাইল বে, ছিদ্র বদ্ধ হইয়া ব(ওয়ায় পাত্রে জলপ্রবেশ করিতেছে না । যে সময় পাত্রটি জলমগ্র হওয়! উচিত নেই শুভলগ্ন কখন উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে ভাঙ্করাঁচা্য জানিতেও পারিলেন না। ভাক্ষরাচার্্য দেখিণেন বিধিলিপ্রি *খণ্ডান বাইবে নাঁ- বিধাতার বিধান শিরোধাধ্য করিয়া কন্ঠার বিবাহ দিলেন,__কন্যাও বিধবা হইলেন । পিতা তখন কন্যা শ্রাপনার কাছে রাখিয়া আপনার সব পাও্ডত্যটুকু দান করিতে লাগিলেন । লীলাবতীর বিদ্বার পরিচয় দিবার আবগ্তক করে না। কথিত আছে যে অঙ্ক কিয়া তিনি "গাছের পাতার সংখ্যা বলিয়। দিতে পারিতেন। "তিনি সমস্ত জীবন কেবল শিক্ষাকাধ্যেই কাটাইয়াছিলেন। €৫ ভারতীয় বিদুষী ভাঁনুমতী ভারতবর্ষে যে কোন্‌ বিদ্যার চর্চা হয় নাই তাহ! জানিনা । যাঁছুবিদ্যাও তখন একটা বিগ্ভার মধো ছিল। ভোজরাজ-মহিষী ভান্ু- মতী ইহার আবিষ্কার করেন। গ্রামে গ্রামে আজও তাহার নাম কগে কণ্ে উচ্চারিত হইয়া" থাকে। বাঁলক-বাঁলিকারা বিশ্ময়াদ্িত হইয়া আজও “ভান্থনতীর খেল্‌”,দেখিয়া থাকে। থনা তাহার পর ক্যোত্বিজ্ঞ খনার কথা । জ্যোতিবশান্ত্রে তাহার জ্ঞান অসীম ছিল, তিনি স্বয়ং অনেক বৈজ্ঞানিক তত্ব আবিষ্কার করিয়া- ছিলেন, তাহার মত এত-বড় জ্যোতিষীর নামু শুনিতে পাওয়া যায় না। কেহ কেহ বলেন, খনা অনার্ধযদিগের নিকট হইতে এই জ্যোতিষ-বিদ্যা শিক্ষা করিয়া ৫৩ ভাঁরতীয় বিদুষী আসেন, আধ্যের! তখন এবিছ্ভা জানতেন না। একথা তাহার পক্ষে বড়ই গৌরবের বিষয় । যাহা আমাদের মধ্যে ছিল না, তাহা আনিবার 'জন্ঠ খনা বদি কষ্ট স্বীকার করিয়া অনার্য্যের দ্বারস্থ হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহাকে শুধু আমরা তাহার বিদ্ধার জন্য গৌরব দান করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারি না,তাহাকে পুজাপাঁদের আসন দান করিতে হয়। এ" ক্ষেত্রে মনে হয়, খন্তা প্লরুধজাতিকে পরাজিত করিরাছেন। খনার পদাঙ্কান্ুদরণ করিয়৷ আরও এক- জন জ্যোতিযশিক্ষার্থ, অন্মরধযদিগের গৃহে গমন করেন, তাহার নাম মিহির। ইনি মহারাজ বিক্রমাদিত্যের নবরত্বের মধ্যে অন্যতম রত্ব বরের পুত্র। রাক্ষদদিগের গৃহে এই খনা ও মিহির দিবারত্র অক্রান্তপরিশ্রমে একত্রে জ্যোতিষবিষ্ঠা অর্জন করিতেছিলেন, দুই- জনেরই সমান আগ্রহ, সমান উৎসাহ। ৫৭ ভারতীয় বিদুষী কত অন্ধকাঁরসমাচ্ছন্ন অমানিশার শীর্দ,ল- রবমুখরিত অরণ্যমধো বসিয়া এই ছুটি বাঁলকবালিকা নক্ষত্রথচিত অসীম আকাশের রহস্তদ্ধার উদথাটিত করিবাঁর* জন্য কতই না চেষ্ট/ করিয়াছেন । কোথায় ভরণী, কোথায় কৃত্তিকা, কোথা মৃগশিরা, আরা, পুনর্ব তাহ। নির্ঁয়ের জন্য হয়ত কত নিশি তাহাদের জাগরনেই কাটিরাছে। কোন্‌ কেতু, কোন্‌ গ্রহ, কোন্‌ দিলে ছুটিতেছে ভাহার অন্ধু- সরণ করিতে করিতে কতবারই না তাহাদের চারিচক্ষু অনীম আকাশের মধ্যে মিলাইরা গিরাছে। গগনের “কোনু প্রান্তে বসিয়া মঙ্গণ, বুধ, বৃহস্পতি, শনি প্রসৃতি গ্রহগণ মানবের উপর নঞ্গল ও অমঙ্গলের ধার! বর্ষণ করিতেছে, সে তন্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে তীহাঁদিগকে কতুই না ব্যতিব্যস্ত হইতে হইয়াছে! | ভারতবর্ষের জ্যোতিষের গৌরব আজ পর্যযস্তও লুপ্ত হয় নাই, পাশ্টাত্যজগৎ আজ ৫৮ ভারতীর বিদুধী পর্যন্তও তাহার গুণগান করেন ;-এ সকল গৌরব খনার স্বৃতিনন্দিরে স্ত,গীরূত হইতেছে। শিক্ষ। সমাপ্ত হইলে পর, খনার সহিত মিহিবের বিধাহ হর । মিহির ও খনা ব্রাহের ঘরে আনিয়৷ বাম করিতে লাগিলেন । খন! জ্যোতিযশাস্ত্রে স্বামী অপেক্ষাও পার- দূর্শিনী ছিলেন । তাহার প্রমাঁণ,-ইইার! ঘখন শিক্ষাপমাপনাস্তে অনাধ্যাদিগের নিকট বিদায় গ্রহণ করেন, দেই ম্পমরকার একটি ঘটন। হইতে পাই । ক্যোতিবশিক্ষা! শেষ করিরা খন ও মিহির রাক্ষদধিগের নিকট হ্ই তে ফিরিভে- ছিলেন। অনেক দিন হারা! জনার্দিগের ,সহিভ বসবান করিতেছিনেন বলিয়া তীহা- দিগের প্রতি রাক্ষসদিগের মায়া পড়িয়। গরিয়াছিল। নেই মায়ার বন্ধন তাহাদিগকে বিদর-পথের অনেক দূর পধ্যন্ত আকর্ষণ করিয়া আনিয়াছিল। আবালবৃদ্ধবনিতা প্রার সকলেই এই ছুই জনকে শেষবিদায় দিবার €৯ ভারতীয় বিচুষী জন্য গ্রামপ্রান্তস্ব এক নদীতীর পর্্্ত আসিয়াছিল। সেইথানে এক আঁসনপ্রসবা গাভী দড়াইয়াছিল। গুরু মিহিরকে দিজ্ঞীসা করিলেন__শ্বৎস । যে প্রাণীটি অল্প- মুহুর্তে সংসাঁর-আলোঁকে আসিবে সেটি কোন রঙের হইবে বলিতে পার?” মিহির গণনা আরম্ভ করিলেন, কিন্তু হার গণনাফল ঠিক হইল না। গুরু তখন মিহিরের হাতে কতকগুলি পুথি দিয়া বপিলেন,_-"এখনও তুমি জোতিষের সৰ শিথিতে পার নাই, এইগুলি ল9, ইহার সাহায্যে তোমার শিক্ষা শেষ করিও ।” মিহির পরীক্ষার কৃতকাধা হইলেন না, গুরু তাহার শিক্ষার বরাবরই সন্দিহান ছিলেন । কিন্ত খনার উপর তাহার অগাধ বিশ্বাস ছিল, খনার জ্যোতিষশিক্ষা যে সম্পূর্ণ হইয়াছে সে বিষয়ে তিনি কৃতনিশ্চয় ছিলেন। মিহির গুরুর হস্ত হইতে পুঁথিগুলি, লই- এ১০ ভারতীয় বিছ্ষা লেন, কিন্তু তাঁহার মন তখন ঠিক ছিলনা, তাহার মনে ভইতেছিল এত দিনের এত পরিশ্রমে ঘদি ছোতিষবিগ্রা আন্ত করিতে না পাঁরিলাঁম, "দুর হউক এই সামান্য কথানা পু থিতে আমার কি হবে ! এই ভাবিয়া মিহির পুথিগুলি খরআোতা। নদীর গর্ভে ফেলিয়া দিলেন। থনা অদূরে দীড়াইরা তখনও পম্চাদবন্তী গ্রানের চিত্রখানি শেষবার দেখিয়া লইতেছিলেন। *হঠ,ৎ এই ঘটনা তীহার দৃষ্টিপথে পতিত হইল। তিনি মিহিরের নিকট ছুটিরা আসিয়া বলিলেন--কি করিলে !” তখন সেই পুথিলিকে আভময় তরঙ্গ ভঙ্গ লুকাইয়। কফেলিরাছে। কথিত আছে, এই সময়ে তূগর্ভের জ্যোতিববিষ্ঠ]ও ইহসংসার হইতে লুপ্ত হয় । খনার শেষজীবন বড়ই হৃদয়বিদারক । খনার শ্বশুর বরাহ, বিক্রমাদিত্য-দভার এক রত্ব ছিলেন। আঁকাঁশপটে সর্বসমেত কতগুলি তারকা আছে এই কথা জানিবার জন্য ৬১ ভারতী বিদুষী বিক্রমাদিত্যের বড়ই আগ্রহ হয় । এই প্রান মীমাংসার ভার মহারাজ! বরাহের উপর অর্পণ করেন। কিন্তু বরাঁহ কোন্‌ বিগ্তাবলে তাহা বলিয়া দিবেন? ইহা তাহার জ্ঞানের অতীত ছিল। থন! শ্বশুরের চিন্তাক্রিষ্ট মুখ দেখিয়া ব্যথিত হইলেন, প্রশ্ন করিয়া সব ব্যাপার বুঝিলেন । তখন তিনি শ্বশুরকে আশ্বস্ত হইতে বলিয়া, বনিলেন,_-"আমি বলিরা দিব ।” খনার জ্যোতিববিদ্ঞ।র ফল লইয়া বরাহ রাজসভায় উপস্থিত হইলেন। মহারাজা তাত! শুনিরা আশ্যধ্য হইলেন। বরাহকে জিজ্ঞাস! করিলেন--“কি উপায়ে তুশি তারকার সংখ্য। নির্দেশ করিলে তাহা আমাকে বুঝাইয়া দীও।” বরাহ ব্রাঁবরই এবিষয়ে অন্ত, কাজেই তাহাকে খনার নাম উল্লেখ করিতে হইল ।, বিক্রমাদিত্য খনার বিদ্াব পরিচয় পাইয়। তাহাকে দশম রত্রের স্থান দান করিতে চাঁহিলেন। ৬খ. ভারতীয় বিদ্ষী পুত্রবধূকে রাঁজদভায় আসিয়া বসিতে হইবে এ কথায় বরাহের মাথার আকাশ ভাঙিয়া পৃড়িল। তিনি এ অপমানের হন্ত হইতে উদ্ধার পাইবার গল্থা খুঁজিতে লাগিলেন অবশেষে স্থির ভইল,-_খনাঁর জিহ্বা কাটি! দিলে, বাকৃরোঁধ হইবে, তাহা হইলে রাজসভায় [তনি আর কোন প্রয়োজনে আমিবেন না। বরাত পুত্রের উপর সে ভাঁর অপণ করিলেন। মিহির মন্ত্র হাতে খনার ঘরে উপস্থিত হইলেন। খন! প্রস্তত হইর়াই বমিয়াছিলেন। স্বামীকে দেখিয়া বলিলেন,-_"আমার ₹্শগ্যফল বছদিন আমি গণনার জানিরছ, তুমি ইতস্তত করিয়ো না। যাহা বিদিলিপি তাহা হইবেই।” এই বলিরা ঠিনি আপনার জিহ্ব| বাহির করিয়া দিলেন। মিহির তাহার উপর অস্ত্রচালন! করিলেন,_-ঘরে বক্তআোত প্রবাহিত হইল, ধ্মনীর রক্তবিন্দুর সহিত ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষীর প্রাণটুকুও বাহির হইয়া গেল। ৬৩ ভাবতীন্্ বিদুধা মীরাবাই এক সময়ে চিতোরের রান-সি'হাসন ও ক্র সিংহাসন এই ছুই আমন জুড়িয়া এক রমণী বিদ্যমান ছিলেন--তিনি মীরাবাই। তিনি চিতোর-রাজ কুন্তের মহিষী, তাই তাহার সিংহামনে স্থান, আর তাহার আবেগময়ী কবিতার ঝঙ্কারে চিতোর মুখরিত তাই সেখানকার কবি-সিংহাঁসনেও তাহার অধিকার। চিতোর যে কেবল রমণার বারত্ব- গাথা বহন কাঁরয়া নিজ গৌরব প্রকাশ করিতেছে তাহা নহে, তত্সঙ্গে রমণীর বিছ)- বন্তার গৌরব মুকুটও তাহার শিরে শোভমান। মীরাবাই অসাধারণ ভক্তিমতী ধার্মিকা রমণী বলিয়া পরিকীন্তিতা হইলে৬ বিগ্যাবত্তার খ্যাতিও তাহার কম ছিলন্না। মীরা এক রাঠোর-সামস্তের কন্ঠা ছিলেন। অলোকসামান্তা রূপবতী ও স্ুকণ্ঠী বলিয়া ৬৪ ভারতীয় বিদুষী বালিকাঁবয়স হইতে তাহার বিশেষ খ্যাতি ছিল। এই খ্যাতি দেশ বিদেশে প্রচারিত হইয়! গিয়াছিল। তাই তাহার রূপ দেখিবার ও গান শুনিবার, জন্য নানা স্থান হইতে তাহার পিত্রালয়ে লোকসমাগম হইত। মীরা তাহাদের সকলকে বূপ-লাবণ্যে ও সঙ্গীত- মাধুর্য্যে মুগ্ধ করিতেন। এই ঘুগ্ধ অতিথি- দিগের মধ্যে চিতোরের যুবরাজ কুন্তও একজন ছিলেন। মীরার রূপ্প সন্দর্শনে ও গান শ্রবণে তিনি এত প্ররনুন্ধ হইয়া! পড়িয়াছিলেন যে, রাঠোর সামন্তের গৃহ ত্যাগ করিয়া স্বরাজ্যে ফিরিয়া! যাঁওয়া তীহার পক্ষে অসম্ভব হইয়! উঠিল, তিনি সেইখানে কয়েক দিবস থাকিয়। গেলেন। যাইবার সময় স্বীয় হস্ত হইতে অঙ্গুরী উন্মোচন করিয়া মীরাকে উপহার দিরা গেলেন __অন্ুরীর সঙ্গে সঙ্গে তীহাঁর মনপ্রাণ মীরার হস্তে গিয়া উঠিল। কুস্ত চিতোরে ফিরিয়া গেলেন, দূত বিবাহ ৬৫ ভারতীয় বিদুষী সম্বন্ধ লইয়া রাঠোর সামস্তের গৃহে উপস্থিত হইল। কুলশীলমানে কুস্ত মীরার উপযুক্ত ;- যথা সময়ে বিবাহ হইয়া গেল। মীরা ছেলে-বেলা হইতেই 'অতিশয় ভক্তি- মতী ছিলেন--সংদারের ভোগ বিলাসের লালসা তাভার ছিল না। পিত্রালয়ে তিনি প্রায় সমস্ত দিন সকলের সঙ্গে মিলিরা ভগবানের নাম-গান করিয়াই সমর কাটাইতেন,- সংসারের গ্রলেভনের "দিকে তিনি দৃক্পাত করিতেন না। স্বামীগৃহের নর্ধ্যাঁদা তাহাকে রাজপ্রাসাঁদের গ্রকোষ্ঠের মধ্যে. আবদ্ধ করিয়া ফেলিল, তথাকার এশ্বর্ধ্য তীহাকে প্রতি পদে সংসারের দিকে আৰু করিতে চাহিল,--মুক্ত প্রাঙ্গনে জনদাধারণের সমক্ষে দীড়াইয়া মুক্তকণ্ঠে সঙ্গীত ধারা বর্ষণ করিবার স্থযোগ দিল না-_ প্রাসাদপ্রাচীর তাহার ক চাপিয়া বসিল। ইহাতে মীর! দিন দিন ম্লান ও শীর্ণা হইতে ৬৩ ভারতীয় বিদ্ষী লাগিলেন। তাহার ভক্তিজআোত সঙ্গীতপথে প্রবাহিত হইতে না পাইয়া অপর গন্থা আবিষ্কার করিল। মীরা লেখা পড়া শিখিয়াছিলেন, তিনি কবিতা রচনা আরম্ভ করিলেন, এ সমস্ত কবিতা তাহার উপান্ত দেবতা “রঞ্চোড় দেব$- এ উদ্দেশে রচিত্ত । তাহার কবিত্বের প্রতিভা এতদিন গুপ্তভাবে ছিল, এখন হইতে তাহার ' প্ষরণ আরম্ভ হইল$ ছ্হার আবেগম়ী রচনা বন সাধারণ্যে প্রচারিত হইল, তখন চতু্দিক প্রশংসা-বাঁণীতে পরিপূর্ণ হইয়া! উঠিল, _-তিনি কাব্যসাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করিলেন । “মীরার কবিতা সুরলর়-সংযোগে রাজপুত বৈষ্ণব সমাজে আগ্রহের সহিত গীত হইতে লান্গিল। আজ পর্যন্তও দে গীতধারা মীরার প্রতিষ্ঠা বহন করিয়া প্রবাহিত হইয়া আসিতেছে । ইহার পরে তিনি ভক্তি- রসাত্মক কাব্য “রাঁগ-গোবিন্দ” এবং জয়দেব ৬৭ ভারতীয় বিদ্ধ কৃত শীত গোবিন্দের, একখানি টাক! প্রণয়ন করেন। এই ছুইখানি গ্রন্থই সর্বজন- প্রশংসিত। মীরার স্বামীও একজন কবি বলিয়া গ্রসিদ্ধি লাভ করিয়া গিয়াছেনন,-প্রবাদ আছে যে, তীহার কবিতা! লেখার হাতেখড়ি তীহার মহিবীর নিকটই হইয়াছিল। মীরা ধনসম্পদের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ ' রাখিতে পারিলেন না । স্বাধীনভাবে মুক্ত- কগে দিবারাত্র তঞ্চলাঁম সঙ্গীতন ও জন- সাধারণে কষ্ণনাম বিতরণ করিবার জন্য তাহার চিত্ত উদ্তরান্ত হইয়া উঠিল। তিনি স্বামীর কাছে £নজের মনোবাসনা জ্ঞাপন করিলেন। কুস্তের আদেশে রাঁজঅস্তঃপুরে রঞ্চেড় দেবের এক মন্দির নির্মিত হইল, এবং বৈষ্ব-বৈষ্ণবী মাত্রেই সে মন্দিরে প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত হইল। মীরা এই সকল বৈষ্ণব বৈষ্ণবীদের সহিত অকুগ্ঠিত চিত্তে মিশিয়া সংকীর্তন করিতে লাগিলেন ।_- ৬ ভারতীয় বিদুষী তাহীতেই তাহার পরম আনন। ইহাতে মীরা! এতদূর মত্ত হইয়া পড়িলেন যে, প্রত্যহ স্বামীর পরিচর্যার কথা তাহার মনেই পড়িত না। | কুন্ত নিজ মহিষীকে এইরূপে অসস্কুচিত- ভাবে সাধারণ লোকের সহিত ঘনিষ্ঠরূপে মেলামেশা! করিতে দেখিয়া বড়ই ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিলেন। তিনি রাঁজা, তাহার ভোগের প্রবৃত্তি তখনও সম্পূর্ণ প্রথর। তিনি চাহিতেন, তাহার অপংখ্য বিলাসসামনগ্রীর সহিত মিশিয়া শীরাও তাহার বিলামের উপকরণ হইয়া উঠুক। কিন্তৃ-মীরা কিছুতেই স্বামীকে মে ভাবে ধর! দিতেন না। কুন্ত ক্রমেই অনুভব করিতে লাগিলেন যে, তীহাঁর স্ত্রী দিন দিন তাহার প্রতি অনামক্ত হইয়া উঠিতেছেন_- তিনি নিজে ইহার প্রতিকারের কোন বিধান করিতে পারিতেছেন না। তখন তিনি পুনর্বিবাহের সংকল্প করিলেন। মীরার কাছে ২টি সি ভারতীয় বিদুষী যখন এ প্রস্তাব উত্বাপিত হইল, অকুষ্টিতচিন্তে তিনি তাহার অনুমোদন করিলেন । মীরার মত পাইয়া কুন্ত কন্তাঁ খুঁজিতে লাগিলেন। ঝালবার-রাজকুমারার রূপলাবণ্যের কথা তাহার শ্রুতিগোচর হইল, তিনি তাহাকে পত্রীরূপে লাভ করিতে মনস্থ করিলেন। কিন্তু তখন রাজকুমারীর সহিত মন্দাররাঁজকুমারের “বিবাহ হইবাঁর কথা পাক! হইয়া গিয়াছে। কুস্ত তাহাতে পশ্চা'্পদ হইলেন না-_-বিবাহ-: রাত্রে ঝালবার-কুমারীকে হরণ করিয়া আনিলেন। মন্দ(ররাজকুমারের প্রতি ঝালবাঁর- কুমারী অত্যন্ত অন্ুরক্তা ছিলেন,__তীহাঁকে ভালবাসিতেন। চিতোরের রাজা তীহাকে' হরণ করিলেন বটে, কিন্তু তাহার মনোহরণ করিতে সমর্থ হইলেন না। কুস্তের অপৃষ্টে বিধাত! বোধ হয় দাম্পত্যন্থখ লেখেন নাই । পূর্বেই বলিয়াছি রাঁজনস্তঃপুরস্থ রঞ্চেড়- দেবের মন্দিরে সকল বৈষ্ণব বৈষ্ঞবীরই ৭০ ভারতীয় বিদ্রধী প্রবেশাধিকার ছিল। একদিন মন্দার রাঁজ- কুমার বৈষ্ণবের বেশে সেই মন্দিরে আসির। দেখা দিলেন। যে সমস্ত অতিথি মন্দিরে নাঁম ংকীর্ভন ও 'দেবদর্শনে আদিতেন তাহাদের কেহই অভুক্ত অবস্থায় ফিরিতে পাইতেন না, সকলকেই দেবতার প্রসাদ গ্রহণ করিতে হইত। সেদিন সকলে ভোজন করিয়া গেলেন কিন্তু মন্দারকুমাঁর জলম্পর্শও করিলেন না। অতিথি অভুক্ত থাকিলে অধন্ম হইবে, ধর্মগুণা মীরা তাহাতে বেদনা অনুভব করিলেন। তিনি এই নবীন বৈষ্ণবকে আহার গ্রহণ করিবাঁর জন্ অনুনয় গকরিষ্ও লাগিলেন ; কিন্তু তিনি সহজে সম্মত হইলেন না। অনেক অনুরোধ বচনের পর তিনি মীরাকে বলিলেন, প্মাঁপনি যদি আমার এক অন্থরোধ রক্ষা করেন তবেই আমি আপনার অনুরোধ রক্ষা করিব? আপনি প্রতিজ্ঞা করুন।” মীর! উপায্লাস্তর ন| দেখিয়া, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলেন। তখন মন্দীর- ৭১ ভারতীয় বিছ্ষী কুমার নিজের পরিচয় প্রদান করিয়া ঝাঁলবার- কুমারীর সব বৃত্তান্ত বলিলেন, এবং অবশেষে তাহার শহিত একবার সাক্ষাঙ করিতে চাহিলেন। ইহাই তাঁহার অনুরোধ । রাজপুতের অন্তঃপুরে পরপুরুষকে প্রবেশ করান বড়ই বিপদজনক কিন্তু রাজকুমারের মর্রভেদী কাতরোক্তিতে নীরার সদয়গ্রাণ বিগলিত হইয়াছিল, এতদ্যতীত তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, কাঁজেই বিপদ শিরে লইয়। তাহাকে এই ছুঃসাহসিক কাঁধ্যে অগ্রসর হইতে হইল। মীরা অন্তুঃপুরের গুপ্তদ্বার খুলিয়া রাজকুমারকে ঝালব।র নুমারীর শয়ন কক্ষ দেখাইয়া দিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে কুস্ত সেই সমর সেই কক্ষদ্বারে অবস্থান করিতেছিলেন; তিনি বৈঝুববেশী মন্দাররাঁজকুমারকে চিনিতে পারিলেন; মন্দীরকুমার, কুস্তকে দেখিয়া হতজ্ঞান হইয়া পড়িলেন--প্রণয়িনীর সহিত আর সাক্ষাৎ হইল না। ৭২ ভারতীয় বিদ্ষষী কুস্ত অবিলম্বে জানিতে পাঁরিলেন যে, মীরার সাহায্যেই মন্দারকুমার পুরপ্রবেশ করিতে ,পাইয়াছে। মীরার উপর তিনি অমন্তষ্টই ছিলেন, এই ঘটনায় অগ্নিতে ইন্ধন সংযোগ হইল। তিনি মীরাকে করশকগে বলিলেন--এঅন্তঃপুরের গুপ্তদ্ধার খোলার অপরাধে আমার রাজ্য হইতে তোমাকে নির্বাসিত করিলাম 1” এই কঠোরবাণী শ্ীরার হৃদয় একটুও চঞ্চল কদ্িতে পারিল না; রাঁজ- প্রাসাদ ও রাজপথ তাহার পক্ষে তুল্য ; তিনি স্বামীর পদধূলি গ্রহণ করিয়! ভগবানের নাম গান করিক্ে করিতে প্রাসাদ পরিত্যাগ করিয়৷ চলিয়া গেলেন । মীরাকে চিতোরবাসীরা বড়ই শ্রদ্ধা করিত, মরার অনবস্থানে চিতোর নিরানন্দ হইয়া উঠিল। এই কারণে তাহীর! সকলেই কুস্তের উপর অনন্ত হইয়া উঠিল, চারিদিকে তাহার নিন্দাবাদ হইতে লাঁগিল। কুস্ত তখন মীরাকে ৭৩ ভারতীয় বিছ্ষী ফিরাইয়া আনিবার জন্য লোক প্রেরণ করিলেন। অভিমানশৃন্তা মীরা বলিলেন, _পআমি চিতোররাজ্জের দাসী, ,ত্তাহারই আজ্ঞান্ধ বিতাড়িত হইয়াছি, আবার তীহাঁরই আজ্ঞার পুনরায় রাজপুরীতে প্রবেশ করিব |” মীরা পুনরায় চিতোরে অধিষ্ঠিত হইলেন । পূর্ব্বে অন্তঃপুরস্থ দেবমন্দিরে কেবল বৈষ্ণব্দিগকে লইয়া মীর! সংকীর্ডভন করিতে, পাইুতেন, এখন র'জপথে জনসাধারণের সহিত মিলিয়৷ সংকীর্তন করিবার আদেশ তিনি চিতোররাজের [নিকট হইতে লান্ভ করিলেন। রাঁজযমধ্যে একটা হুলহুল পছিয়া গেল। চিতোরের বালক বালিকা, যুবক যুবতী, প্রৌছ প্রোঢা, বুদ্ধ বৃদ্ধা সকলেই আসিয়! এই ধর্ম সঙ্ঘে যৌগ দ্িল। চিতোর রাজধানী সকাল. সন্ধ্যায় মীরা-রচিত ধর্ম-সঙ্গীতে মুখরিত হইয়া উঠিতে লাগিল। মীরা জনপাধারণের প্রাণে ধর্মের বন্যা আনিয়া দিলেন; মীরাকে ঘকলেই চি, ভারতীয় বিদ্যা দেবীর ন্যায় জ্ঞান করিতে লাগিল । শৌর্য্য বীর্য সম্পদে গরীয়ান চিতোর, ভক্তির সঞ্জীবনী নিঝ রিণী-বাঁরিতে অপূর্ব শ্রী ধারণ করিল। যে ভক্তির শ্রত্রবণ এতদিন প্রাসাদ-প্রাচীরের অভ্ন্তরে রুদ্ধ ছিল, আজ তাহ! প্রবলবেগে লোঁকসমাজে আঁপিয়া দেখা দিল-_দেশ- ' দেশীন্তরের লোক মীরার ধর্মুঙ্গীত শ্রবণ করিবার সুযোগ লাভ করিল। মীর! সাধারণের *সহিত সংশ্লিষ্ট হওয়াতে একদল খলস্বভাঁব পরছিদ্রান্বেষী লোক তাহার কুৎসা রটনা করিতে আরন্ত করিল। শীরার গানে যোহিত হঙুয়। €কান ধনশালী ব্যক্তি তাহাকে একটি বনুমুল্য অলঙ্কার প্রদান করেন, মীরা স্বয়ং তাহা গ্রহণ না করিয়া রঞ্চোড় দেবের অঙ্গে পরাইয়া দেন। এই অলঙ্কার-গ্রহণ-ব্যাপার লইয়! ছিদ্রান্বেষী ব্যক্তিরা নানাবিধ জঘন্য কুৎসা রটনা করে। সেসমস্ত কথা কুন্তের কানে গিয়া উঠিল? ৭৫ র্‌ তারতীয় বিদুষী তিনি ক্রোধে উন্মত্ত হইয়া মীরাকে পত্রদ্বারা লিখিয়া পাঠাইলেন যে, মীরা যেন নদীসলিলে দেহত্যাগ করিয়া এই কলঙ্ককথাঁর অবসান করেন। পত্র পাইয়া মীর! একধার স্বামী দর্শন করিতে চাহিলেন, কিন্তু কুস্ত সাক্ষাৎ করিলেন না। মীরা তখন স্বামী-আজ্ঞ! শিরোধার্ধ্য করিয়া নদীগর্ভে ঝাঁপ দিলেন; __নুদী তাহাকে গ্রাস করিল না, অজ্ঞান-অবস্থার তীরবর্তী করিয়া দির গেল ।- জ্ঞানলাঁভ করিয়! মীর! পদব্রজে বুন্দীবনের পথে চলিলেন। রাঁজমহিধী আজ পথের ভিখারিণা, তাহাতে "সাহার বিন্দুমাত্র ক্ষোভ নাই। কৃষ্ণচনাম হরিনাম গান তাহার ক্ষুধাতৃষ্ণা পথশ্রন সব কষ্ট বিদূরিত করিয়া দিল। যে পথে তীহার অনিন্দ্য গীতধ্বনি উঠিত সেই পথেরই চতুষ্পার্খে প্রচারিত হইয়া পড়িত, মীরা আসিতেছেন। গ্রাম-গ্রামান্তর হইতে দলে দলে লোক তাহার পশ্চাৎ পশ্চাং ছুটিয়া চলিল হও ভারতীয় বিদুষী সকলেই বুন্দাবন-পথের পথিক! মীরার সমস্ত যাত্রা-পথ ভক্তিস্রোতে পুণ্যময় হইয়! উঠিল। প্রকাণ্ড এক দল ভক্তযাত্রী লইয়৷ মীর বুন্দাবনে পৌছিলেন। সেখানে শ্রীরুষ্ণের পাদপন্সে আত্মনিবেদন করিয়া পুর্ণ আনন্দ লাভ করিলেন। * এই সময় মীরার শোগাথা সর্বত্র প্রচাঁরিভ হইয়। পড়িল। নানাস্থান হইতে ভভ্তবুন্দ আিয়।*তাগার শিব্যত্ব গ্রহণ করিল, তাহাদের মুখে সুখে মীরার রচিত গানগুলি ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে, ছড়াইর়া পড়িল। নীরা-সম্পরান্পয় নাফ এক ধর্দরসম্প্রদায় সংগঠিত হইয়। উঠিল। কুন্তের কানে এ সমস্ত কথাই পৌছিল, মীরার প্রতি,তিনি থে অন্যায় ব্যবহার করিয়া- ছেন তজ্জন্য অনুতপ্ত হইলেন, এবং স্বয়ং বৃন্বাবনে গিয়া তীহার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্ববক তীহান্তক চিতোরে প্রত্যাবর্তন করিতে অনুরোধ ৭৭ ভারতীয় বিদুষী করিলেন। মীরা! চিরদিনই স্বামীর আজ্ঞান্ু- বছিনী, চিতোরে পুনরায় ফিরিরা গেলেন, কিন্তু অধিকদিন রীজপুরীতে বাস করিতে পরিলেন 1, ধনসম্পদ তীহার নিকট বিব$ল ল্য বোধ হইত, তাই তিনি আবার বৃন্দাধনে চলিরা গেলেন, কেবল কুস্ভের অগ্বোধে হংধ্য মধো চিতোরে আসিতেন। হীরা শেবজীণন তীথ্পধাটনেই কফাটাইয়া- ছিলেন। নাম কীর্তন ধরিতে করিতে ভর্তির আবেশে মীর! প্রা্থই দেবপধ তলে মুষ্িতা হইয়া পড়িতেন, অবশেষ একদিন চিরকালের মত মুঙ্ছিতা হইয়া পড়িলেন আর উঠিলেন না । চিভোরে এখনও রঞ্কোড দেবের সহিত' মীরা বাইর়েরও পুজা হইয়া থাকে । এ ভারতীয় বিদুষী করমোতিবাঁই রাঁবাইরেরই মত ভর্তিমতী, ধার্শিকা, বিদুবী রমণী আর একজন ছিলেন, তাহাঁর নাম করমেতিবাই। ভক্তমাঁল গ্রন্থে ইহার জীবনীর *“কতকটা আভীস পাওয়া বায়। ইনি দাক্ষিণাত্য প্রদেশে খাজল গ্রামের" পরশুরাম পণ্ডিতনগ্ম রাজপুরোহিতের কন্ঠ) ছিলেন। পরশুরাম পরম বৈষ্ব ছিলেন, অন্ন বয়ন হইতে কন্তাকেও তিনি, গরম বৈষবী করিয়া তুল্রাছিলেন্ব। শানে মন্দুগ্রহণ ও বৈষ্বতত্বে পাঁরদর্শিনী করিবার জন্ঠ তিনি করমেতিকে রীতিমত বিদ্যাশিক্ষা প্রদান ঝরিরাছিলেন | করমেতি বাই শৈশব কাঁলেই বিশেষ বিছ্তাবতী হইয়া উঠিগাছিলেন। শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ের প্রতি তাহার প্রগাঢ় অনুরা” পরিদৃষ্ট হইয়াছিল। ৭4১ ভারতীয় বিছধী সংসারবন্ধনে আবদ্ধ হইবার ভয্চে করমেতি বিবাহ করিতে অনিস্ুক ছিলেন, কিঞ্ণ পিতার আজ্ঞায় তাহাকে পরিণীতা হইতে হইয়াছিল । পিত্রালর়ে যতদিন ছিলেন ধ্টাতর কষ্টের কোন কারণ ছিল না; দিবারাঁদ মনের আনন্দে হরিনাম ও দেবাচ্চিনা কাঁরিরা সমস শ্ কাটাইতেন, কিন্ত স্বামীগহে প্রাপণ করিবা" “মাত্রই চারিদিক হইতে অশান্তির এল তাহাকে বন্ধন করিতেলাশিল | স্বামার সহিত ঘোর মনোগালিন্তের সুচনা হইল। তাহার স্বামী অবৈষ্বু ও অত্যন্ত বিষয়া ছিলেন। করদেতির প্রত্যেক*ধর্মান্ছিচান গ্রামীর বাধার প্রপীড়িত হইয়া উঠিত। তিনি অনাচাকের মধ্যে অধিক দিন তিঠিতে পারিলেন ন|। স্বামী- €সর্গ ত্যাগ করিয়৷ পিতার ,দৃহিত অবস্থান করিতে লাগিজেন। কিন্তু বেশি দিন তথায় থাঁকা হইল না। কিছুদিন পরেই স্বামী তাহাকে পুনরায় নিজ আলয়ে লইতে আদিলেন। তখন ৮৫ ভারতীয় বিদ্ষী করমেতি বড়ই চিন্তাকুল হইয়া পড়িলেন। স্বামীর কবল হইতে রক্ষা পাইবার অন্ত উপায় নাই ভ'বিয়া পলারন করাই ঘুক্তিসিদ্ধ মনে করিলেন-বুন্কাবনে যাওয়া স্থির হইল । রাত্রিকালে শয়ন গৃহের বাহিরে আদিলেন, বাড়ীর মস্ত দার রুদ্ধ, পলাইব!র পথ নাই, কি করেন উপূর তলা হইতে নীচে লাফাইয়া পড়িলেন। বাড়ীর বাহির হইলেন বটে, কিন্তু বুন্দাবনের পথ ত জ/নেনু না, সে বিষরে চিন্তা! করিবার অবসরও নাই, একদিকে উদ্ধশ্বাসে ছুটির চলিলেন। প্রভাতে , পরশুর্ম এ্কন্ভাকে গৃহে না দেখিয়া! চিন্তিত হইয়া উঠিলেন। রাজার নিকট গিয়া কন্ঠার নিরুদ্দেশের কথা জ্ঞাপন করিলেন, রাস্তা অনুসন্ধানের জন্য চতুদ্দিকে লোক পাঁঠাইলেন। করমেতি এক প্রান্তর অতিক্রম করিতেছেন, পশ্চাতে জনকোলাহল শ্রুতি- ৮১ ভারতীয় বিদুষী গোঁচর হইল । তিনি বুঝিতে পারিলেন, তীহার অনুসন্ধানেই লোক আসিতেছে । বুক্ষাদিবর্জিত প্রান্তরে লুকাইবা« স্থান নাই। অনন্তোপায় হইয়া উদ্শ্বাসে ছুট লাগিলেন। কিছু দুরে এক মৃত উ্দেহ দৃটিপথে পড়িল। এগাল কুকুরে ভাহার উদ র-গহ্বধের অস্থিমাংস নিঃশেষ করিয়া ফেলিযাছে, করনেতি তাহার মধ্যে লুক্ধীয়িত হইলেন। মৃতদেহ পচিয়া গিরাছে, ভাঁঘণ দুগন্ষ* তিনি সে দিকে: দৃুকপাত করিলেন না। যে রাজান্ুচরেরা তাহাকে খুঁজিতে আসিয়াছিল তাহারা কাহাকেও না ছেখিতে পাইরু! অন্তাত্র চলিয়া গেল। তখন করমেতি উষ্ঈদেহ হইতে বাহির, হইয়া বুন্দাবনের পথে চলিলেন। পথে অনাহার, অনিদ্রা গ্রস্ুতি নানাবিধ ছুঃখ্োগ করিরা অবশেষে বৃন্দাবন পৌছিলেন, তাহার বহুদিনের আশা! পুর্ণ হইল। তিনি বৃন্দাঝনেই বাস করিতে লাগিলেন, সাধ, মিটাইয়৷ ৮২ ভারতীয় বিদুষী শ্রীকৃষ্ণের পুজা অচ্চনা ও নামজপ চলিতে লাগিন। পরশ্তরাম কন্ত(র অদশনে বড়ই কাতর হইয়া গঠ্রিলেনঃতিনি খাজল গ্রাম ত্যাগ করিয়। দ্রহিতার অনুসন্ধানে দেশ বিদেশে পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন। অবশেবে বুন্দাবনে কন্যার সাক্ষীৎ পাইলেন । দেখিলেন, করমেতি চক্ষু মুদ্য়া ধ্যানে বসিরা আছেন, ছুই চক্ষু বহি! দরদরধারে গ্রেমাস্ত ঝরিতেছে, একটি দিব্যজ্যোতি তাহার দেহখানি ঘিরিরা আছে। পিতা ফন্তার এই দেবীসদৃশ, মুগ্তি দেখিয়া তাহার সম্মুখে ফুস্তক অবনত করিলেন। , পরশুরাম কন্যাকে গৃহপ্রত্যাবর্তন করিবার জন্য অনেক অনুরোধ করিলেন, কিন্ত করমেতি _বিনন্তবচনে পিতাকে নিরস্ত করিলেন। তখন পরশুরাম নয়নের জল মুছিতে মুছিতে স্বগ্রীমে ফিরিয়া গেলেন। কন্যার সকল বৃত্তান্ত রাজার নিকট নিরেদন করিলেন। ভারতীয় বিদ্যী রাজ! অত্যন্ত ভগবত-প্রেমিক ছিলেন। তিনি করমেতির কৃষ্ণ-ভক্তির কথা শুনিয়া তাহাকে দেখিবার মানসে বুন্দাবনে গেলেন, তীহাকে দেখিয়া বড় প্রীত "হইলেন এবং তাহার বাসের জন্য বৃন্দাবনে একটি কুটার নির্মাণ করির! দিতে চাহিলেন। কিন্তু তাহাতে ভূমধাস্থ অনেক কীটাণুর জীব্ন বিনষ্ট হইধে বলিয়া করমেতি আপত্তি করিলেন, রাঁজ। তত্র কুটার নিম্মীণ করাইঞ। দিলেন। সেই কুটারের ধ্বংশাবশেষ আজও করমেতির কীন্ডিম্বতি বহন করিতেছে ।, লক্ষবীদেবী ইনি মিথিলারাজ চন্দ্রসিংহের মহিরী; লছিমা নামেই পরিচিত। ইনি বিদ্যাচচ্চার বড় অনুরাগিনী ছিলেন, সেইজন্য নিজগৃহে তিনি অনেক মিথিলার পণ্ডিতকে (প্রতিপালন ৮৪ | ভারতীয় বিছ্ষী করিতেন। বিবাঁদচন্ত্র প্রভৃতি এন্থপ্রণেতা মিসরূমিশ্র ও মিতাক্ষরটীকা-রচর়িতা বালন্ট্য ইহারই আশ্রয়ে ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াঁছিলেন। লক্ষমীদেবীর দর্শনশান্ত্রে বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল, পগ্ডিতদিগের সহিত তিনি এ শাস্ত্সন্দ্ধীয় কুট প্রশ্ন লইয়া দক্ষতার “সহিত বিচার ,করিতেন। ইনি স্বয়ং মিতাক্ষর- ব্যাখ্যান নামক প্রসিদ্ধ নিতাক্ষরটীক1 রচনা করেন। এই গ্রন্থে তাহার বিদ্যাবুদ্ধির বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়! যায়। প্রকীণাধাই বৃন্দেলখণ্ডের রাজা ইন্দ্রজিৎ সিংহের সভা আনেক কবিরদ্র উজ্জল করিয়াছিলেন। তীহাদের মধ্যে বিদধী প্রবীণা বাই ও পণ্ডিত কেশবদীস প্রসিদ্ধ ছিলেন। প্রবীণ বাই ছোট ছোট কবিতা রচনা করিতেন। সেগুলি ৮৫ ভারতীয় বিদুষী রাজসভাঁয় ও অন্যত্র বিশেষ প্রশংসা লাভ করিয়াছিল। কবি কেশব দাস এই বিদুষী রমণীর সম্মানাথ তাহার “কবিপ্রিয়া” কাব্য রচনা করেন। অল্পদিনের মধ্যেই প্রবীণা বাইয়ের কবিত্বযশ দিগ্রিদিকে প্রচারিত হইয়া পড়িল। সঘাট আকবর তীহার দেই যশোগাথা শ্রবণ করিয়। তাহার সভায় প্রবীণাকে আহ্বান করিলেন। কিন্তু রাঁজা “ইন্দ্রজিৎ তাহাকে যাইতে দিলেন না । ইহাতে আকবর অসন্তষ্ট হইয়া ইন্দ্রজিতের এই বিদ্রোহাঁচরণের জন্য দশ লক্ষ মুদ্রা অর্থ দও করেন । এই উপলক্ষে কবি কেশব্দাদ আকবরের দরবারে গমন করেন এবং বীরবলের সাহায্যে ইন্দ্রজিতকে অর্থদণ্ড হইতে মুক্ত করেন। কিন্ত গ্রবীণাক্ষে সমাট সমক্ষে উপস্থিত হইতে হইল। তিনি নিজের বিগ্াবত্তার পরিচয় দিলে পর তাহাকে আকবর ছাড়িয়া দিলেন। আকবর এই ৮ত ভারতীয় বিদষী বিদ্ুধী রমণীর পাঙিত্যে বিশ্মিত ও মুগ্ধ হইয়াছিলেন। দরবারে আকবরের সহিত প্রবীণা বাইয়ের যে সমন্ত কথোপকথন হইয়া- ছিল এবং ততকালে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে তাহা এক খানি কাব্যগ্রন্থে আন্ুপূর্বিক বর্ণিত আছে । মধুরবাঁণী তাঞ্জোরের অধিপর্তি রঘুনাথ ভরপাল বড় বিগ্যান্থরাগী ছিলেন। তিন অসংখ্য পণ্ডিত লইয়া রাঁজসভায় বসিতেন, সেঞ্সানে তাহাদের সন্ধে ধর্ষের ও কাবোর আলোচনা চণিত ১ পণ্ডিতেরা গ্রতিদিন নৃতন নৃতন কাব্য রচনা করিয়৷ রাজাকে শুনাইয়া তুষ্ট করিতেন। এই সকল স্কৃণুতদের পাঁশে অনংখ্য বিদুবী নারীও বসিয়। রাজ্ুসভা উজ্জল করিতেন । তাঁহারাও পণ্ডিতদের সহিত ধর্ম ও কাব্য আলোচপায় যোগ দিতেন, মহারাজের কানে ৭ ভারতীয় বিদুষী নব-নব-ছন্দে-গাথা নব নব কাব্য প্রতিদিন শুনাইতেন। এই সকল বহু বিদুষীর মধ্যে মধুরবাণী বিশেষ খ্যাতিলাভ করেন। মহারাজ সকল সভাপপ্ডিত অপেক্ষা তাহাকে সম্মান করিতেন, তীহার রচনায় মুগ্ধ হইতেন। একদিন মহারাজ শত শত বিছ্ধী রমণী পরিবেষ্টিত হইয়া! রাজসভায় বপিয়া আছেন 7 কোন রমণী তীহাঁকে রামায়ণ গান করিয়! শুনাইতেছেন, কোন "রমনী ধর্মসঙ্গীত শুনাই- তেছেন। এক বিদুধী সেদিন মহারাজকে উপলক্ষ করিয়া! এক কবিতা রচনা! করিয়া আনিয়াছিলেন তাহাতে" শ্রীরাম্চন্ত্রের প্রতি মহারাজের কিরূপ অচলা৷ ভক্তি তাহাই বর্ণিত ছিল। কবিতায় বেখানে রামচন্ত্রের প্রতি স্তব স্বতি ছিল, রামচন্দ্রের চরিত্র -ব্যাখ্যান ছিল, দেই অংশগুলি শুনিতে শুনিতে রাজ! তন্ময় হইয়া গেলেন। কবিতা শেষ হইলে তিনি বলিলেন-__“আমি এতবার রামচরিত্র "শুনিয়াছি ৮৮ ভারতীয় বিদ্ষী কিন্তু উহা শুনিতে কখন আমার অরুচি জন্মে নাই, বতবার শুনি ততবারই নৃতন বলিয়! বোধ হয়, ততবারই বিপুল আনন্দ লাভ করি। আমার সভাপগ্ডিতেরা ও বিছুষী মহিলারা আঁনাকে বহুবার রামনামগান নানা ছন্দে রচনা করিয়! শুনাইয়াছেন, কিন্তু তাহাঁদের 'রচনার মধ্যে,ঘেন কি একট! অভাব বোধ করিয়াছি, বেন সব কথা তাহাতে বলা হন্প ' নাই, রামচন্দ্ের গু ক্কীতন যেন পূর্ণভাবে কর! হয় নাই। আমার ইচ্ছা এমন করির। কেহ রামচরিত্র রচনা করুন যাহাতে এই ভাবটুকু রোধ কঞ্চিত না পারি ।” রঘুনাথ সভার সকলকে আহ্বান করিয়া একাধ্যের ভার দিতে চাহিলেন কিন্তু কি ন$রী কি পুরুতু কেহই সাহস করিয়া সে ভার গ্রহণ করিতে উঠিলেন নাঁ। মহারাজ বিষ মনে সে দিন সভা ভঙ্গ করিলেন। সেই রাত্রে মহারাজ স্বপ্পে দেখিলেন যেন ৮৯ ভারতীয় বিদুষী শ্রীরামনত্র স্বয়ং তাঁহার শিয়রে বসিরা বলিতে- ছেন__“নরপতি! বিষ হইও না। সরস্বতীসমা মধুরবাণী তোমার সভায় আছেন, তাহার গানে আমিও সন্তষ্ট, ভাহাকেই তুমি রামায়ণ রচনার ভার দাঁও-_-তিনিই এই কার্য্যের একমাত্র উপযুক্ত ।” পরদিন সকালে মহারাজ মধুরবাণীকে স্বপ্পের কথা বলিলেন। মধুরবাণী তাহা শুনিয়া বলিলেন--“রাজার রাজা শ্রারামচন্দের : আদেশ আমার শিরোধাধ্য। তিনি যখন সহার আছেন্। তখন এ কার্যে আমার কোন দ্বিধা নাঁই-_-আঁমার' সন্ত ত্রসট অন্তর্ধামী মার্জনা করিবেন ।” মধুরবাণীর সেই তালপত্রে-লেখা রামারণ বাঙ্গালোর মালেশ্বর বেদেবেদান্ত মন্দির নার্মক পাঠাগারে রক্ষিত আছে ।, ইহার সম্পূর্ণ অংশ গাওয়া যায় নাই। যতটুকু পাওয়া গ্রিয়াছে তাহাতে চতুদ্দশ ০ ভারতীম়্ বিদুষী সর্গ পধ্যন্ত আছে। এ চতুদ্দশ সর্গ নানা ছন্দে লেখা দেড়হাজার গ্লোকে পরিপূর্ণ প্রথমে স্টনায় গ্রন্থকত্রী দেবতাদের নিকট হইতে তাগ্জোরাধিপতি রঘুনাথের জন্য আণার্বাদ ভিন্মী করিতেছেন; তাহার পর তিনি বান্সীকি, ব্যাস, কালিদাস, বাণভট্র, মাঘ প্রভৃতি মহকৈবিদিগকে সন্মান জ্ঞাপন কারয়াছেন। ইহার পরে স্থুললিত ভাবার কঘুনাথ-ভুপালের রজসঞ্জার বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে । তৎপণে পুর্ধবর্ণিত এই গ্রন্থ রচনার ্ত্রপাত ইতিহাস বিবৃত হইন্রাছে। এই বর্ণনার জানিতে পারা শায় ত্য শত শত বিদ্ষী রমণা রঘুনাথের রাজসভা অনস্কৃত করিয়া থাকিতেন। এইখানে প্রথম সর্গ শেব। তার পর আসল গুন রামায়ণ আরন্ত, ইহাতে রামারণ আব্পুর্ব্বিক বিবৃত আছে। মধুরবাঁণী অশেষ গুণবৃতী ছিলেন। তিনি চমৎকার *বীণা বাদন করিতে পারিতেন,__ ৯১৯. ভারতীয় বিদুষী তীহার বীণার আলাপ শুনিলে মনে হইত যেন স্বর্গ হইতে সরস্বতী আসি! বীণার তারে বঙ্কার দিতেছেন। তিনি তেলেগু ও সংস্কৃত, এই দুই ভাষায়, বিশেষরূপে অভিজ্ঞা ছিলেন। কথিত আছে, যে, তাহার এমন অসীধারণ ক্ষমত| ছিল যে তিনি বারো মিনিট সময়ের মধ্যে একশত শ্লোক রচনা করিতে পারিতেন। তিনি নৈষধকাব্য ও কুমারসন্ভবও রচনা করিয়াছিলেন। মধুরব'ণী সন্ধে আর কোন ইতিহাস পাওয়া বার না। তিনি সগুদশ শতান্দীতে জীবিত ছিলেন । মোঁহনাঙ্গিণা ইনি দাক্ষিণাত্যের কুষ্ণ রয়ুলু নামে রাঙ্কার কন্যা ছিলেন। বাল্যকালে তিনি পিতার নিকট হইতে স্ুুশিক্ষালাভ করিরাছিলেন। রাজা রামরয়ালুর সহিত ইহার বিবাহ হয়। ন২ ভারতীয় বিছ্ষী বিবাহের পরও অধিকাংশ সময় তিনি গ্রন্থপাঠ ও ভাবা শিক্ষার কাঁটাইতেন। বাল্যকাল হইতেই তিনি কৰিত! রচনা করিতে পারিতেন এবং যৌবনে* কাব্য রচনার বশস্বিনী হইয়া উঠেন। ইনি মরিচীপরিণয় নামে একখানি কাবা রচনা করিয়াছিলেন গ্রন্থথানি প্ডিতসমাজে *প্রতিষ্টালাভ , করিয়াছিল। কথিত আছে, পিতার রাজনমভার তিনি নিজের রচন| পাঠ ' করিয়া সভাপিতগ্াকে মুগ্ধ করিতেন । মোহনাঙ্গিণী পুর্ণ যৌবন অবস্থার বিধসা হন, এবং স্বামীর চিতাশধার প্রাণ বিসজ্জন করেন। মল্লী ইনিও একজন দাক্ষিণাত্যবাদিনী। রাজা কৃষ্ণদেবের সমগ্ন ইনি সাহিত্যক্ষেত্রে বশলাভ করেন। মল্লী একজন কুম্তকারের কন্যা ছিলেন, শিক্ষার প্রতি তাহার অত্যন্ত অনুরাগ ৯৩ ভারতীয় বিদুষী ছিল, তিনি কবিত! রচনা করিতে পারিতেন এবং তীহার রচনা মৌলিকতা ও প্রতিভাপূর্ণ ছিল। কথিত আছে, স্নানের পর চুল শ্ুকাইবার সময় তিনি লিখিতে বসিতেন এবং এইরূপ করিরা একখানি রামারণ রচনা করিয়া ফেলিয়াছিলেন। তীহার রামীরণখানি এতদূর প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল যে পঞ্ডিতগণ সেখানি বিদ্বালয়ের পঠ্িরূপে নির্বাচিত করেন । অভয়ার ইনি দাঁঞ্ষিণাত্যবাপী ভগবান নামে এক ত্রাঙ্ষণের ঢুহিতা। তিনি কিরূপ বিগ্ভাবতী ছিলেন তাহা তীহার সন্বদ্ধীর একটি প্রবাদ হইতেই বুবিতে পারা বাঁয,-লোঁকে বলিত তিনি দেবী সরস্বতীর কণ্ঠা ছিলেন। অভয়ারের ভ্রাতা ও ভগ্ীগণ সকলেই সাহিত্যজগতে জুগ্রতিষঠিত ছিলেন। ভ্রাতগণ *১৪ ভারতীয় বিদুষী প্রতিভাশালী কবি বলিয়া খ্যাতিলাভ করিয়া ছিলেন এবং ভগ্নীগণেরও এ খ্যাতি অন্ন ছিল না। কিন্তু তিনি তাহাদের সকলের শ্রে্টস্থান অক্ষর করিয়াছিলেন। জ্যোতিষ, বিজ্ঞান, আঁঘুর্বেদ এবং ভূগোলে তাহার জান অসীম ছিল। তিনি ভুগোলনন্বন্ধে একখানি উৎকৃষ্ট গরু কবিভায় রচনা] করেন। জ্যোতিৰ ও বিজ্ঞানবিবয়ক পুপ্তকও প্রণয়ন করিয়া- ছিলেন। তিনি আমরণ অবিবাহিতা ছিলেন এবং দেশের সমগ্র পঙ্ডিতমগ্ুলী তীহার এ গান করিতেন। উপাগ্গ! নামে ইহীরু যে ভগ্ী ছিলেন তিনিও “নীলি পাল” নামে একখানি গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন; এবং ভলী ও মুরেগা নামে ভগ্মীদ্বপ্ন নানা খগ্কাব্য ও কবিতা রচনা করিয়া বশস্ষিনী হইর়াছিলেন। ৯৫ ভারতীয় বিদুধী নাচী দাক্ষিণাত্যে এলেশ্বর উপাঁধ্তায় নামে এক মহাপগ্ডিত ছিলেন। তিনি দর্শনশাস্ত্রে বিজ্ঞানে আঁযুর্কেদে এবং জ্যোতিষে অসীম জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন, তাভারই এক কন্ঠার নাম ছিল নাঁচী: নাচা অল্পবরসে বিধবা হন। উপাধ্যার মহাশয় একটি টোল স্থাপন করিরা নানা দেশের ছাঁত্রদিগকে শিক্ষা দান করিতেন । তীহার কন্তা যখন বিধবা হইলেন তথন তিনি তাহার শিব্গণের সাহত'এই কন্তাকেও শিক্ষ! প্রদান করিতে লাগিলেন । নাঁচী তেমন প্রখরবুদ্ধি ও মেধাবিনী ছিলেন না, সহজে কোঁন বিষয় শিক্ষা করিতে পারিতেন না। সেই জন্য মনে মনে তিনি বড় ছুঃখবোধ করিতেন। উপাধ্যায় মহাশরের অনেক ছাত্রও নাচীর মত অন্নবুদ্ধি ছিল; তাহাদের বুদ্ধি প্রখর ও ৯ ভারতীয় বিদুধী শ্বতিশক্তি প্রবল করিবার জন্ত এলেশ্বর আধুর্বেদশাস্ত মহ্ছন করিতে লাঁগিলেন। জ্যোতিস্পতি নামে একপ্রকার লতা আবিষ্কার করিলেন ;-_সেই লতার রস সেবন করিলে মেধাশক্তি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এলেশ্বর পণ্ডিত এই জ্যোতিম্পতি-রস সেবন করাইয়া অনেক ছাত্রকে মেধাৰা করিরা তুলিক্াছিলেন | নাচী তাহা দেখিয়া একদিন অধিক পরিমাণে “সেই রস সেবন করিয় ফেলিলেন। এ রস বেশি মাত্রায় সেবন করিলে বিষতুল্য ফল দান করে । নাচীর অহা গাত্রদাহ উপস্থিত হইল, তিনি যন্ত্রণার কাতর হইঝ্প/ এক 'কৃপের মধ্যে লণ্ফাইয়া পড়িলেন ) সেই অবস্থায় কুপের মাণ্য অর্দ-অট্চতন্তভাবে আটি ঘণ্টাকাল পড়িয়া রহিলেন। তাঁহার পিতা এ ব্যাপার জানিতেন না, তিনি কন্ঠাকে চতুদ্দিকে অন্বেষণ করিতে লাগিলেন। এবং অবশেষে “নাদী নাতী” বলিরা ক্রনদন করিতে লাগিলেন। এতক্ষণ ৯৭ ভারতীয় বিদুষী জলমগ্র থাকিয়া বিষ ক্ষয়প্রাপ্তড হইয়াছিল, নাঁচী পিতার কগম্বর শুনিয়া তখন কৃপমধ্য হইতেই সাড়া দিলেন । পিতা আসিয়! তাহাকে উদ্ধার করিলেন। ইহার পরই নাচী অনীম মেধাশক্তিশাঁলিনী হইয়া উঠিলেন। অল্পদিনের মধ্যে সমস্ত শান্তর আয়ত্ব করিয়া ফেলিলেন। নাচী তখন নিজে কবিত| রচনা করিতে 'আরম্ঘ করিলেন; তাহার কবিতাগুলি ভাবে, মাধুর্যে, ভাঁষাচাতুর্য্যে সম্পদশালিনী। তাহার পর “নাচী-নাটক” নাম দিয়া তিনি নিজের জীবনচরিত কাঁব্যাকারে প্রণয়ন করেন্‌, তাহাতে তাহার দ্ুঃখময় * বৈধব্যজীবন করুণভাবে বর্ণিত হইয়াছে। পরিণত খরসে নাচী তীর্থবাত্রায় বহির্গত হন। তখন তিনি নানা প্রদেশে ভ্রমণ করিধা- ছিলেন, এবং নানাস্থানের পণ্ডিতদিগের সহিত শাত্রীর তর্কে দিথিজয় করিয়া! পিতৃভবনে প্রত্যাবর্তন করেন । ৯৮ জেবুন্েস| জেবুনেসা দিল্লীর পরাক্রান্ত মোগল অমাট ওরংজেবের কর্ঠা। ১৬৩৯ থুষ্টাবের ৫ই ফেব্রুয়ারী তারিথে ইহার জন্ম হয়। ইহার মাতাও কোন মুসলমান নৃপতির কন্যা ছিলেন। সমীট জেবুরেসাকে অতান্ত প্লেহ করিতেন, এবং বাল্যবরসেই তাহার প্রতিভার পরিচয় পাইয়া নিজেই তাহার শিক্ষার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। জেবুন্নেমার স্মৃতিশক্তি খুব প্রথব ছিল; অগ্ন বয়সেই তিনি সমগ্র কোরাণ- থানি মুখস্থ কুরিয়া গ্রিতার নিকট আবৃত্তি করিয়াছিলেন । ওুরংজেৰ ইহাতে অত্যন্ত সন্ত হই! তাঁহাকে ভ্রিণসহজ স্বণমুঘ। পুরস্কার দিয়াছিলেন। শারীরিক সৌন্দধ্য ও মানদিক গুণরাঁজিতে জেবুন্নেসা অতুলনীয় ছিলেন। তিনি স্বাভাবিক এপ্রতিতা লইয়! জন্মগ্রহণ করিয়া- টনি ভারতীয় বিদুষী ছিলেন। বিপুল রাজৈশ্বর্য ও বিলাসের ক্রোড়ে প্রতিপালিতা হইয়াও তিনি এই ঈশ্বর- দত্ত দ্গমতার অপব্যবহার করেন নাই; বরং স্থুশিঙ্গা ও অধ্যবসায়গুণে "ইহার যথোচিত বিকাশসাঁধনেই সমর্থ হইয়াছিলেন। অনেক বিষয়েই তিনি তৎকালীন সমাজের অগ্রবর্তিনী ছিলেন, ইহা তাহার স্তায় রম্ণীর পক্ষে কম গৌরবের কথা নহে। আরবা ও পারন্ত ভাষায় জেবুন্নেসার বিশেষ বুযুৎপত্তি ছিল। কথিত আছে, তাঁহার হস্তাক্ষরও খুব সুন্দর ছিল, এবং তিনি নানা ছাদে লিখিতে পারিতেন। তাহার পাঠানুরাগও বিশেষ প্রশংদনীর ছিল। তাহার প্রকাণ্ড পুস্তকাগারে ধর্ম ও সাহিতা সধ্বন্ধীয় বহুসংখ্যক গ্রন্থ সংগৃহীত হইরাছিল। ূ সি বাঁল্যেই জেবুননেসার কবিত্বশক্তি বিকশিত হইয়া উঠে। তিনি কয়েকখাঁনি কাব্যগ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন। গগ্ভ রচনাঁয়ও তাহার হ্দ ১০০ ভারতীয় বিদুষী শক্তি কম ছিল ন'। রুচির নির্মলতা ও ভাষার মাধুর্যই তাহার রচনার বিশেষস্ব। তালর কবিতাগুলি আজও মুসলমান পঙ্িত- গণের মুখে মুখে সুর-লয়ে আবৃত্তি হইতে শুনা যার । জেবুনেসা যে কেবল বিদ্যান্থরাগিণী ছিলেন, তাহা, নহে, শিক্ষিত ও গুণবান্‌ ব্ক্তিবর্গকেও তিনি বথেষ্ট সাহায্য এবং উৎসাহদান করিতেন। » তাহারই অর্থ সাহায্যে প্রতিপালিত হইঘলা অনেক লেখক, কৰি ও ধার্মিক লোক স্বীয় স্বীয় অনুষ্ঠানে দেহ মন নিয়োগ করিতে, পারিয়া যশস্বী হইয়াছিলেন। মোলা সাফিউদ্দীন আরজবেগি কাশ্মীরে থাকিয়া তিফসিরই-কবির' নামক গ্রস্থের অনুবাদ , করেন, ইহাও জেবুন্নেসার অনুগ্রহের ফল। আরজবেগি কতজ্ঞতার নিদর্শনম্বরূপ গ্রন্থের নাম “জেবুন্তসির" রাখিয়াছিশ্লেন। এতছিন্ন আরও অনেক ১০১ ভারতীয় বিদ্ষী গ্রন্থকার তাহাদের রচিত গ্রন্থ জেবুন্নেসার নামেই উৎসর্গ করিয়াছিলেন। ইহাতে স্পষ্টই বোধ হয়, সেকালে শিক্ষিত সমাঁজে জেবুন্নেসার প্রভাব বড় সামান্য ছিল না” রাজনীতিক্ষেত্রেও জেবুননেসার খ্যাতি যথেষ্ট ছিল। তিনি বিশেষ আগ্রহের সহিত রাজনীতিশান্্র অধ্যয়ন . করিয়াছিলেন। রাজকাধ্যে রৌশন-আরাই ওরংজেবের প্রধান সহার ছিলেন, কিন্তু তাহার মৃত্যুর পর জেবুরেসাই তাহার স্থান অধিকার করিয়া পিতার উপর প্রতুত্ব বিস্তার করিয়াছিলেন। ওরংজেব এই কুদ্ধিম্তী কন্যান উপদেশ না লইয়া প্রার কোনে! গুরুতর কাধ্যে হস্তক্ষেপ করিতেন না । জেবুনেসার বয়ন তখনও ২৫ বৎসর অতিক্রম করে নাই ;. সম্রাট একবার অত্যন্ত অসুস্থ হইয়া পড়িলেন, স্লেহময়ী কন্তা তখন বায়ু পরিবর্তনার্থ কাশ্মীরে যাইবার জন্য পিতাকে ধরিয়া পড়িলেন। কন্যার পরামর্শ ১০২ ভারতীয় বিদ্ষী খুক্তিমিদ্ধা হইলেও, ওরংজেব প্রথমত এ প্রস্তাবে সম্মত হন নাই; কারণ বৃদ্ধ সাজেহান তখনও আগরার দুর্গে অবরুদ্ধ ছিলেন ;_তিনি কাশ্মীরে গেলে সেই সুযোগে রাজামধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র উপস্থিত হইতে পারে এই মনে করিয়া সন্দিগ্ধচিত্ত স্রাট পিতৃহত্যার কল্পনাও করিয়াছিলেন। কন্ত কোনো গুরুতর কাঁধ্য তিনি জেবুন্নেসাকে না জিজ্ঞাসা করিরা করিতেন না; কন্যাও তাহার অচ্ভপ্রার জানিতে পারির। নানারপ উপদেশে এই মহাপাপের অনুষ্ঠান হইতে তাহাকে নিবৃত্ত * করিয়াছিলেন। শীদ্রই সাকজহানের* মৃক্্যু হইল; তখন "রংজেব নিশ্চিন্তমনে কাশ্শীরধাত্র! করিলেন। জেবুনেসাও পিতার অনুবন্িনী হইলেন। ফ্তকাল জীর্বিতা ছিলেন, জেবুন্নেসা সর্বদা পিতার কাছে কাছে থাকিয়া তাহাকে কর্তব্য উপদেশ দিতেন। জেধুনেসা শিবজীকে ভালবাসিতেন। ১৬৩ ভারতীয় বিদুষী _লৌকমুথে শিবজীর বীরত্বগাথা শুনিয়া মনে মনে জেবুনেসা তাহাকে শ্রদ্ধা করিতেন। যেদিন রাজ! জয়সিংহের প্ররোচনায় ভুলিয়া শিবজী ওরংজেবের সাঁহত একটা বোবা-পড়া করিবার জন্য দিল্লীর আমদরবারে আসিয়া উপস্থিত হইলেন সেইদিন যবনিকা- অন্তরাল হইতে জেবুনেমা তাঁশাকে প্রথম দখিলেন। ওরংজেব-_খাহার 'প্রভ।পে সমগ্র ভারতবর্ষ কম্পমান তাহার 'সম্মুথে শিবজী বখন নির্ভয়ে আসিয়া াড়াইলেন, তখন তাহার সেই অটল বীরদু্ি, পতিভ। প্রদীপ্ত তীব্র চক্ষু, তেজস্বী অঙ্গভঙ্গী জেবুন্নেস৷ মুগ্ধ নয়নে দেখিতে: লাগিলেন। কল্পনায় ধাহাকে পুজা করিয়। আসিতেছিলেন চোথের সন্গুথে 'মাজ তাহাফে দেখিয়া জেবুন্েসার চিন্ত এক স্বর্গীয় প্রেমে ভরিয়া উঠিল ;-মনে প্রাণে তিনি সেই মহারাষ্্রীর দীরের পদতলে আত্মদান করিলেন! ৯০৪ তাঁরতীয় বিদষী সম্রাট-দরবারে শিবজীর যতটা! সম্মান গাওয়া উচিত ছিল ওরংজেব তাহা দান করিলেনু না। শিবজী তাহা বুঝিতে পারিয়া মনে মনে গঞ্জিতে লাগিলেন, সভাসদ্‌ ও অমাত্যবর্গ তাহাতে মুখ টিপিয়া হামিতে লাগিলেন, কিন্তু জেবুননেসার চোখ ফাটিয়া জল বাহির হইয়া*পড়িল '--প্রেমাঁস্পদের অসম্মানের জন্য তিনি সামান্য রমণীর স্ঠার কীদেন নাই; সাধারণের সমক্ষে অ্তান্ত নির্দয়ভাবে বীরের অপমানে ধর্ধের অপমান হইতেছে দেখিয়া তাহার হৃদয় ছুঃথে উদ্বেলিত হইয়া! উঠিরাছিল ! সভা ভঙ্গ হইল জেবুন্নেস! পিতৃসমক্গে গিয়া অত্যন্ত অভিমানমিশ্িত দৃঢন্বরে বলিলেন--খ্জীহাপনা, সভা মধ্যে বীরের অগম্মান করাটা ভাল হয় নাই ।” কথা শেষ হইতে না হইতেই তাহার চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিল! ওরংজেব বিশ্ময়ের সহিত কন্ঠার মুখের ১০৫ ভারতীয় বিদুধী উপর তীক্ষ দৃষ্টিপাত করিলেন, আসল কথাটা বুঝিতে তাহার বিলম্ঘ হইল না। কন্তাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করিতেন্‌, ক্রোধ দমন করিয়া বলিলেন,-_বুঝিয়াছি শরতানের ফাঁদে প1 দিয়াছ! বেশ! কাফের যদি পবিত্র ইসামধর্শা গ্রহণ করে তাহা হইলে তাহার সকল অপরাধ মাজ্জনা করিয়া তোমাকে বিবাহের অনুমতি দিব 1” কথাটা শুনিয়া গ্রেবুরেসা লজ্জায় মরমে মরিয়া গেলেন। তিনি নিজের সুখের জন্য বিবাহের সম্মতি লইতে পিতার নিকট আদেন নাই, বীরের অপমানের প্রতিকিধান করিতে আঁসিয়াছিলেন, এই কথাটা আর পরিক্ষাঞ্ করিয়া বলিতেও পারিলেন না! মনে মনে কেবলই নিজেকে ধিকার দিতে লাগিলেন, “ধিক আমাকে, নিভৃতত্ম হৃদয়ের গোপন কথাটা চাপিয়! রাখিতে পাঁরিলাম না! কেবল স্বার্থটাই প্রকাশ করিয়া ফেলিলাম 1” ১৪০৩৬ ভারতীয় বিছুষী দেই দিন হইতে জেবুনেসা তাহার প্রেম অতি সক্ষোচে ও গোপনে আপনার মধ্যে পোঁধণু করিরতে লাগিলেন। তিনি কখনও শিবজীকে লাভের জন্য উন্মািনী হইয়া ফেরেন নাই, শিবজীর প্রেম পাইবার আশা মনের কোনেও কখন স্থান দেন নাই,*_-জেবুনেসার ভালবাস! কোনো দিন গ্রতিদানের অপেক্ষা রাখে নাই। তিনি শিব্জীকে যতটা" না ভালবাসিতেন, শিবজীর বীরত্ব, তাহার তেজকে তিনি তত অধিক ভালবাসিতেন। তিনি শত্র-কন্তা, মুসলমান ছুহিতা, তাহাকে বিবাহ করিতে হইলে *“শিবজীর সে তেজ পাছে থর্ব হইয়া যায় সেইজন্য তিনি কখন শিবজীর কাছে আপনার জ্প্রম প্রকাশ, করেন নাই, কখন তাহার প্রেম ভিক্ষা করেন 'নাই,_শিবজীকে মহত্বের ঘে উচ্চশিখরে স্থাপিত দেখিয়াছিলেন, তাহার নিজের' তৃপ্তির জন্য তাহাকে সে স্থান ভষ্ট ১৬৭ ভারতীয় বিছুষী দেখিতে তিনি কম্সিন কালে আকাজ্ করেন নাই। তিনি শিবজীকে শুধু ভালই বাসিতেন। জেবুন্নেস৷ যে কবিতা লিখিয়াছেন তাহাতে তাহার জীবনের এই করুণ কাহিনী পরিস্বুট হইয়া উঠিয়াছে__কাব্য-রাজ্যে তিনি আত্ম- গোপন করিতে পারেন নাই। জেবুন্নেসার কবিতায় তাহার প্রেমের ব্যর্থতা স্থন্দর হইয়া প্কুটিয়া উঠিয়াছে ;-- কবিতার ছত্রে ছত্রে একটা প্সিগ্ধ নিরাশ প্রেমের আকুল গান কীন্চিয়া কাদিয়া কিরিতেছে। গর্চে মান লয়লি আসাসম্‌ দিল চো মজন্থু দার হাওয়ান্ত, | সর বসাহর! মি জানম্‌ লেকিন হয়া জণ্তির পান্ত, ৷ বুল্বুল্‌ আজ, সাগির দিরম্‌ জুদ্‌ হম্‌ নিশিনে গুল ব্বাগ্‌। ১০৮ ভারতীয় বিদুষী দার মহববৎ কাঁনিলম্‌ পরওয়ানা হাম্‌ সাগির্দে মাস্ত। দরনেহা খুনেম্‌ জাহির গার্চে রঙ্গে নাজ কাম্‌। রঙ্গে মন্‌ দরমন্‌ নেহা চুন্‌ রঙ্গে সুর, অন্দার হিলাস্ত,। বস্‌কে বারে গাম বর আন্দাখ তাঁম জামা নীলি কারদ ইনাঁক বিকে পু্তে উদ্বোতীস্ত, | দেখিতাঁরে সাঁহাম্‌ ওলেকিন্‌ রু বসাফর ২আস্তর দা অম্‌। জেব ও জিনৎ বস্‌ হামিনম্‌ নামে মান্‌ জেব উন্নিসান্ত ৷ অর্থাৎ 2» প্রেমিকা লায়লি যেমন প্রিয়তম মজনুর জন্য পাগলিনী হইয়া মরু প্রান্তরে ছুটিয়া বেড়াইয়াছিল, আমার ইচ্ছা হর আমি তেমনি ৯৩০ ভারতীয় বিদুষী করিয়। ছুটিয়া বেড়াই; কিন্তু আমার পা যে রম্সন্ত্রমের শৃঙ্খলে বীধা ! এই যে বুল্বুল্‌ সারাদিন গোলাপের কাছে কাছে ঘুরিয়া ঘুরিয়া কানে কানে চুপে চুপে প্রেমালাঁপ করিতেছে; এ আমারই কাছে প্রেম শিখিয়াছে। এই যে আমার সম্মুথের কাচের ফান্গসের অভ্যন্তরে উজ্জ্বল আলোক, ইহার স্নিগ্ধ জ্যোতিতে মুগ্ধ হইয়া শত শত পতঙ্গ বে আত্ম- বিসর্জন করিতেছে ;--সে আত্মত্যাগ তাহারা আমারই কাছে শিথিয়াছে। মেদিপাতাঁর বাঁহিরের বিদ্ধ গ্তামলতা যেমন তাহার ভিতরের রক্ত-রাগকে লুকাইয়া রাখে, তেমনি আমার শান্ত মুষ্টি আমার মনাগুনের জলন্তরাগ গোপন রাধিয়াছে! আমার হৃদয়ের ছুঃখভ'রের কিয়দংশ মাত্র আকাশকে দিয়াছি; আকাঁশ তাহারই ভারে দেখ নীল হইয়া! গিয়াছে, নত হইয়া পড়িরাছে ! ১১৩ ভারতীয় বিদ্ষী ধন এরশর্ধ্য আমার ভালো লাগে না, দারিদ্যের পীড়ন আমার কাছে বেশ! আমি জেবুন্নেসা, ( অর্থাৎ সুন্দরী শ্রেষ্টা ); এইটুকু গৌরবই আমার যথেষ্ট ! গু তাম্‌ আজ, এশ্‌কে বুঁতা আয় দিল চে হাসেল কারদাই। গুফত্‌ মারা হাসেলে জুজ নাঁলাহয়ে | 'হার নিস্ত.॥ আমি ভালবাদি কীদিতে পাইব বলিয়!। না ভাঁলবাদিলে কি কীদা, ঘাঁয়? কীদিলে ভালবাসার সীমগ্রীকে' পাইব : বলিয়া আশা ' হর তাই কীদিয়া এত সথ! 'হরকস্‌ দর «মামাদ্‌ দরজা হা-- আখির ব মত্লব, হা রসিদ । পীর শুদ জেবুলন্লিসা উর থরিদারে ন সুদ ॥ ১১১ ভারতীয় বিদুষী মানুষমাত্রেরই আশা কিছু-না-কিছু সফলতা লাভ করিয়াছে, কিন্ত আমি অভাগিনী জেবুন্েস। একান্ত নিরাশ গ্রাণে এই দৌন্দর্যযনিকেতন পৃথিবীর কাছে বিদায় চাঁহিতেছি ! রাঁমমণি এই বাংলাদেশেরও কাব্য-ইতিহাসে বিছ্যী রমণীর পরিচয় আছে। প্রাটীন বৈষ্বীর গ্রন্থে অনেক ভ্রী-কবি-রচিত পদ পাওয়া যাঁয়। রাঁমমণি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন! স্ত্রীকবি। ইনি রাধারু্জ লীলবিষুয়ক পদাবলী রচনা করিরা- ছিলেন এবং শ্রীচণ্তীদাস ঠাকুরের সমসামরিকা - ছিলেন। রজককন্তা বাঁমমণি অনশনে ও অসহার অবস্থায় ভ্রমণ করিতে করিতে বাঁকুড়া জেলার নান্র গ্রামস্থ বিশালাক্ষী দেবীর মন্দিরদারে উপস্থিত হন। চতীদাস এ বিশালাক্সী দেবীর পুজারী ছিলেন, তিনি রামমণির দুরবস্থা দেখিয়া তাহ।কে দেব ১১২ ভারতীয় বিছুবী মন্দিরের দাঁসীরূপে নিযুক্ত করেন । রামমণি দেবীর প্রসাদ ভোজন করিয়া! সেইখানে কালযাঁপন করিতে লাগিলেন । চণ্ডীদাস রামমণির পরিচয় দিতেছেন 2- রাঁমিনী নামিকা, রজক বালিকা, অতি দৈন্টাবস্থায়। হাঁটে ঘাঁটে মাঠে, কাল কাটাইয়া, ভিক্ষা মাগিয়া খায় ॥ দেখিয়া তাহার, কেশ অপার, যূতেক ব্রান্ুণচন। মন্দির শোঁধন, কাজে নিয়োজিল, রহে দেবীর আশ্রঙ্ব ॥ অলপ বয়সে, দুখিনী রামিনী, কাজেতে নিযুক্ত হল। পনড়া প্রসাদ, রর ভুঞ্জন করিয়া, ক্রমে বাড়িতে লাঁগিল ॥ ৯১৩ ভারতীয় বিদুষী রামিনী কামিনী, কাজেতে নিপুণা, সকলের প্রিয়তমা | চণ্তীদাস কহে, তাহার পিরীতি, জগতে নাহি উপম। ॥ কথিত আছে, চণ্তীদাস এই রামমণির প্রেমাসক্ত হন, রামমণিও চত্ীদাসকে ভাগ বাসিতেন। তাহার পরিচর রাঁঘমণি-লিখিত নিয়লিখিত পদে পাঁওয়া ফাঁয় £- তুমি দিবাঁভাগে, লীলা অন্গরাগে, 'ভ্রম পদা বনে বনে। তাহে তব মুখ, না দেখিয়! দুখ, পাই বহু ক্ষণে ক্ষণে ॥ ক্রটী সম কাল, মানি স্জগ্ুল, ুগতুল্য হয় জ্ঞান তোমার বিরহে, মন স্থির নহে, ব্যাকুলিত হয় প্রাণ ॥ ১১৪ ভারতীয় বিদুষী কুটিল বুস্তল, কত সনির, শরমুখমগুল শোভা। হেরি হয়মনে, এ ছুই নয়নে, নিমেষ দিয়াছে কেবা। বাহে সর্বক্ষণ, তব দরখন, নিবারণ দেহ করে। ওহে প্রাণাধিক, কি কৰ অধিক, দোষ দিয়া বিধাতারে। তুমি সে আমার, " *আমি দে তোমার সৎ কে আছে আর। থেদে রামী কয়, , চষ্গীদাম বিন| জগৎ দেবি ত্বাধার॥ তারপর চতীদাস যখন চিতাশধ্যায় শয়ান তখন 'রামমণি উন্মাদিনী"হইয়া গাহিতেছেন £-- কোথা যাও ওহে, প্রাণ বধু মোর, দামীরে উপেখা করি । ১১৫ ভারতীয় বিদুষী না দেখিয়া মুখ, ফাটে মোর বুক, ধৈরঘ ধরিতে নারি ॥ বাল্যকাল হতে, এ দেহ সঁপিন্ধু, মনে আন নাহি জাঁনি। কি দৌব পাইয়া, মথুরা যাইবে, বল হে নে কথা শুনি ॥ তোমার এ সারথী, কুর অতিশয়,” বোধ বিচার নাই । বোঁধ থাকিলে, ছখ সিন্ধু নীরে, অবলা ভাঁসাতে নাই ॥ পিরীতি জালিয়া, বদিবা যাইবা, কবে"ৰা আসিবে নাথ । রামীর বচন, করহ পালন, দাসীরে করহ সা'থ ॥ চণ্ডীদাস রজকিনীর প্রেমাসর্ত বলিয়া গ্রামস্থ ব্রাঙ্গণমণ্ডলী তাহাকে জাতিচ্যুত করেন, এবং তাঁহাকে বাশুলী-পুঙ্জার কার্ধ্য ১১৬ ভারতীয় বিছুষী হইতে অপশ্যত করেন, তাহাতে রামমণি বলিতেছেন ₹₹_- কি কছিব বধুছে বলিতে না জুয়ায়। কাদির কহিতে পোড়া মুখে হাসি পায় ॥ _অনামুখ মিন্সেগুলার কিবা! বুকের পাটা দেবী পুজা বন্দ করে কুলে দেয় বাটা ॥ দুঃখের কঞ্। কইতে গেলে প্রাণ কাদি উঠে। মুখ ফুটে না বলতে পারি মরি বুক ফেটে ॥ ঢাক পিটিয়ে সহঞ্জবাদ এ্রীমে গ্রামে দেয় হে। চক্ষে না দেখিয়ে মিছে কলঙ্ক রটায় হে ॥ ঢাক চোলে যে জন সুজন্‌ নিক্ষা করে। ঝঞ্চনা পড়, তার মীন্তক উপরে ॥ 'অবিচার পুরীদেশে আর ন। রহিব। যে দেশে পাও নাই সেই দেশে যাব ॥ বাঁশুলী দেবীর যদি কৃপাদৃষ্টি হয়। মিছে কথা সেঁচা জল কতক্ষণ রয় ॥ আপনার নাক কাটি পরে বলে বৌচা । সে ভয় করে না রামী নিজে আছে সাঁচা॥ ১১৭ ভারতীয় বিছুষী চত্ীদাস গাহিয়াছেন :-- এক নিবেদন, করি পুনঃপুন, শুন রজকিনী-রামী। যুগল চরণ, শীতল দেখিয়া, শরণ লইলাম আমি রজকিনী রূপ, কিশোরী স্বব্ূপ,, কামগন্ধ নাহি তায়। ইত্যাদি চণ্ডীদাস রাঁমমণিকে ভাবাবেশে কখন গুরু কথন মাতা বলিয়া সম্বোধন করিয়াছেন :__ তুমি রজকিনী, 'আমার রমণী তুমি হাও মাতৃ পিতৃ। চতীদান ও রামমণির প্রেমের মধ্যে কোন কুভাব ছিল না, তাহা পূর্বোক্ত পদগুলি হইতে বেশ আভাস পাওয়৷ যাঁয়। প্রেমের নির্মল জ্যোতিতে রামী রজকিনীর চরিত্র উদ্ভাদিত। ১১৮ ভারতীয় বিছষী ইন্দুমুখী, মাধুরী, গোপী, রসময়ী রাঁমমাঁথ ব্যতীত থে সকল স্ত্রী-কবি-রচিত পদ দ্বারা বৈষ্বীয় গ্রন্থ অলঙ্কত হয়! আছে তাহাদের জীবন-চরিত দুপ্রাপ্য। কেবল তাহাদের রচিত পদের ভনিতায় তাহাদের নামটুকু মাত্র পাওয়া ঘাঁর। এই সকল স্ত্রী-কবিদিগের ফ্ধ্য ইনুমুখী, মাধুরী, গোপী ও রসময়ী প্রসিদ্ধা। তাহাদের রচনার নমুনা দিতেছি । ইন্দুমুখীপ্রণীত পদ :-_ শ্রীরাধিকার পূর্ববরাঁগ। ৫তাঁহারি বোনে, ছেদন কারণ, পুন পুন পুছির়ে তোয়। তু উর ধরিধরি, মরি মরি বোলসি, সুধ বুধ সব খোয়॥ ১১০ ভারতীয় বিদ্ষী আলিরি হামর1 তোহারি কিয়ে নহিয়ে | যো তুয়া ছুখে, দুখা অত শত গুণ, তাহাব্ে কি বেদনা না কহিয়ে ॥ এ তুয়া সঙ্গিনী, রঙ্গিনী রসিকিনী, কহিলে কি আঁওব বাজে | ফণি মৃণি ধরব, শমন ভবনে যাব, যৈছে সিধারব কাঁজে ॥ হাম আগুয়াশী আগুনি পৈঠব বৈঠব বোগিনী সাজে । তন্ত্র মন্ত্র বত শত শত ঢুড়ব বুড়ব সাগর মাঝে ॥ ভাব লাভ তুয়া, অন্তরে অস্তরু কহিলে কি রহে তাপ লেশ। বিন্দু ইন্দুমুখী সিন্দু উতারব বোলহ বচন বিশেষ ॥ ১২০ ভারতীয় বিছষী মাধুরী প্রণীত পদ :-_ নায়িকার পুর্বরাগ । কেমন শুনিল! নাম কেমন সুরলী | কিরূপ দেখিয়া পটে সব গেলা ভুলি। কেমন দেখিল1 তারে কিবা অভিলাঁষ। শুনিয়া সকল তোর পুরাইব আশ ॥ তিনজন নহে সে বুঝিলু' মন দিয়া। উপায় করিয়া তোরে দিব মিলাইয় | থির হইয়া সুর্বদনিক্ষহ সব বাত। কহে মাধুরী মোর শিরে ধর হাতি॥ গোগী প্রণীত পদ 2-- গোষ্ঠ-লীলা । দ্ওবত হৈয়া সায়, সাঁজিল যাদব রায়, সঙ্গহি রঙ্গিয়া রাখাল। বরজে পড়িলা ধ্বনি, শিঙ্গা বেএু রব শুনি, আগে ধায় গোধনের পাল ॥ ১২৯ ভারতীয় বিছুবী গোঠেরে সাজল ভাইয়া, যে শুনে সেযায় ধাঞা, রহিতে ন! পারে কেহ ঘরে । শুনিয়া মুখের বেণ, . মন্দ মন্দ চলে থে, পুচ্ছ ফেলি পিঠের উপরে ! নাঁচিতে নাচিতে যায়, নুপৃরে পঞ্চম গায়, পাঁচনী ফিরায় শিশুগণে। হৈ হৈ রাখাল বলে, শুনি সু স্থুরকুলে, ৷ গোগী বলে নাথ যায় বনে ॥ । রসমরী দাসী প্রণীত অধ্রাগ। তোমাতে আমাতে, বেমত পিরীতি, ভাল সে জাঁনহ তুমি। লোক চরচায়, ্বাস্ুর ভাঁওই, এমতি থাকিব আমি ॥ আসিবা যাইবা, দুরেতে থাঁকিবা, না চাবে আমার গানে। ১২২ ভারতীয় বিছষী বড়ই বিষম, গুরু দুরজন, দেখিলে মরয়ে প্রাণে ॥ তুমি বদি বল, পরাণ বধু, তবে কুলে বা আমার কি। ইঙ্গিত পাইলে, সব সমাধিয়া, কুলে তিলাঞ্জলি দি॥ এ দুঃখ ছাইতে, এ দুঃখ বড়, কহি কেহ নাহি দোষী। গোঁপত পিরীতি, রাখিতে যুকতি কহে রসময়ী দাসী ॥ ২৩ ভারতীয় বিদুষী মাধবী মাধবী নীলাচলনিবাসিনী ছিলেন। ইনি প্রপিষ্ধ শিখি মাইতির কনিষ্ঠা ভগিনী। চৈতন্ত চরিতামূতে ইহার পরিচয় আছে ;-- “মাধবী দেবী শিখি মাইতির ভগিনী শ্রীরাধার দাসী মধো তার নাম গণি ।” মহাপ্রভূ চৈতন্তদের দ:ঃক্ষিণাতা পরিভ্রমণ করিয়া বন নীলাচলে আসিয়া উপস্থিত হন, সেই সময় মাধবী তাহার দর্শন লাভ করেন, তাহাতেই তাহার মনে ভসবৎ প্রেমের উদয় হয়,-তিনি ভক্তিমতী হইয়া উঠেন। চৈতন্য- দেব ন্যাম গ্রহণের পর ত্ত্রী-মুখ দর্শন করিতেন না, সেই জন্য মাধবী তাহার সম্মুখে আমিতে পাঁরিতেন না; তিনি লুকাইয়া লুকাইয়৷ চৈতন্ের রুঝ্ণপ্রেমে-আত্মহারা মুষ্তি দেখিয়া নিজেও আত্মহারা হইতেন। তিনি ৯২৪ ভারতীয় বিদ্ষী চৈতন্যের নিকট আসিতে পারিতেন না বলিয়৷ তাঁহার অত্যন্ত খের হইত; সেই খেদ তিনি গাহিরাছেন 2 "বে দেখরে গোরামুখ সেই প্রেমে ভাসে। মাধবী বঞ্চিত হৈল নিজ কর্ম দোষে।” মাধবী, দেবীর অনেক পদ পদকল্প- তরুতে পাওয়া যাঁয়। পদগুলি ভাবায়, ভাবে “অতি সুন্দর ; ভারের উচ্ছাসে শ্রীসম্পন্ন। মাধবী দেবীর পদগুলি এতিহাঁসিকত্বেও পূর্ণ। নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর দন্তভাঙার কলহ, জগদানন্দের নবদীগা * যাত্রা, দোললীল! উপলক্ষে শ্রীগৌরাঙ্গের কীর্তন প্রভৃতি অনেক বিধয় তাহার রচিত পদে পাওয়া যায়। জগনাথেরু মন্দিরে দৈনন্দিন বিবরণ লিপিবদ্ধ করিবার জন্য একজন লেখক নিযুক্ত করা হইত; মীধবীর হস্তাক্ষর সুন্দর ছিল এই জন্য এবং তাঁহার রচনামাধুধ্যে ও পাঙিতো ১২৫ ভারতীক্স বিদুষী মু্ধ হইয়া রাজা প্রতাপরুদ্র, ভ্রীলোক হইলেও, তাহাকে এই সম্মানের পদ দান করিয়াছিলেন । চরিতামৃতে এ বিবয়ে এইরূপ লিখিত আছে :-- “শিখি মাইতির ভগ্ী শ্রীমাধবী-দেবী । বৃদ্ধ তপস্থিনী ভেঁহো৷ পরমা বৈষ্ঞবী ॥ প্রভু লেখা করে যেই রাধিকার গণ। জগতের মধ্যে পাত সাড়ে তিন জন ॥ স্বরূপ দামোদর আর মিমির | শিখি মাইতি আর ভগিনী অদ্ধ ॥ সাঁড়ে তিন জন বলিবার অর্থ )--স্বরূপ, দামোদর আর রামানন্দকে পুরা তিন জন ধরা হইয়াছে এবং মাধবী দেবী স্ত্রীলোক বূলিয়া তাঁহাকে অর্ধেক বল! হইয়াছে। মাঁধবীর কবিতা বলরাম দাস, গোঁবিন্দ, বাস্থঘোষ প্রভৃতির কবিতা অপেক্ষা কোন ১২৩ ভারতীয় বিদ্বী - ধশে নিকৃষ্ট ছিল না। ছুই একটি কবিতা ও পদ আমর! উদ্ধত করিতেছি £-- (১) কলহ করিয়া ছলা, আগে পহু চলি গেলা, ভেটিবারে নীলাচল রায় । ' যতেক ভব্ধতগণ, হৈয়া মকরুণ মন, পদ চিহ্ন অনুসারে ধায় ॥ নিতাই-বিরহ অনলে ভেল অন্ধ । আঠার নালাতে হৈতে, কান্দিতে কান্দিতে পথে, যাঁয় নিতাই অব্রধৌত চন্দ ॥ সিংহ দুয়ারে গিয়া, মরমে বেদনা পাইয়া, দাড়াইলা নিত্যানন্দ রায়। হরে কৃষ্ণ হরি বলে, দেখিয়াছ সন্নযাসীরে, নীলাচলবানীরে সুধায় ॥ জান্ুনদ হেম জিনি, গৌরাঙ্গ বরণ খানি, অরুণ বসন শোভে গায়। ১২৭ ভারতীয় বিদষী প্রেম ভরে গর গর, ত্াথি যুগ ঝর ঝর, হরি হরি বোল্‌ বলি ধায়।॥ ছাঁড়ি নাগরালী বেশ, ভ্রমে পু দেশ দেশ, এবে ভেল সন্যাসীর হেশ। মাধবী দাীতে কয়, অপরূপ গোরারায়, ভক্ত গৃহে করল প্রবেশ ॥ দি নীলাচল হৈতে, শচীরে দেখিতে, আইসে জগদানন্ন। রহি কত দুরে, দেখে নদীয়ারে, গোঁকুল পুরের ছন্দ ॥ ভাবয়ে পণ্ডিত রায়। পাঁই কিনা পাই, শরীর দেখিতে, এই অনুমাঁনে চায় ॥ লতা তরু যত, দেখে শত শত, অকাঁলে খসিছে পাতা । ১২৮ ভারতীয় বিদুধী রবির কিরণ, না হয় স্ফুটন, মেঘগণ দেখে রাতা ॥ ডারে বসি পাখা, মুদি ছুটি আখি, ' ফুলঞ্জল তেয়াগিয়া। কানদয়ে ফুকারি, ডুকরি ডুকরি, গোরাচন্দ নাম লইয়া ॥ ধনু যুথে যুখে, দাড়াইয়া পথে, কার মুখে নাহি রা। মাধবী দাসীর - পণ্ডিত ঠাকুর পড়িলা আছাড়ে গ! ॥ * (৩) পর্শিতে রাই তন্ন, আপনে তুলল কানু, মুরছি পড়ল ধনী কোর। শ্রামক হেরইত, ধনী ভেল গদ গদ, ঢুরকি ঢরকি বহে লোর।॥ ১২৯ ভারভীয় বিছুষী শ্তাম মুরছিত হেরি, চকিতে ললিতা ফেরি, রাধামন্ত্র শ্রুতিমূলে দেল । অঙ্গ মোড়াইয়া কান, নিরখই রাই তন, হেরি সথি চমকিত ৫তল ॥ চিত্র পুতলী যেন, বেঢ়ল সথীগণ, নিরথই শ্াম মুখচন্ন | কি ভেল ভেল বলি, ধাঁওল বিশাধ! আল? সব জনে লাগল ধন্দ॥ শ্যাম সুন্দর, বদন সুধাকর নুমুতখী নেহারই সাধে । উপজল উল্লাস, কহই মাধবী দাঁস, বিদগধ মাধব রাধে ॥ (৪) রাধামাধব বিলসই কুপ্তক মাঁঝে। তনু তনু সরস, পরশ-রস পিবই কমলিনী মধুকর রাজে ॥ ৩৩ ভারতীয় বিদুষী সচকিত নাগর, কাপই থর থর, শিথিল করল দব অঙ্গ। গদ গদ কহয়ে, রাই তেল অদূরশ, করে হো়ব তু সঙ্গ ॥ দো ধনী টাদ, বদন কিয়ে হেরব শুনব অমিরময় বোল। ইহ মধু হৃদয়, তাপ কিরে মিটব সোই করব কিরে কোল॥ ছলে কত, বিলপই মাধব, সহচরী দূরহি হাস। অপরূপ প্রেমে, বিষা্দিত মাধব, কৃহতহি মাধ দাম ।॥ ১৩১ ভারতীয় বিদ্ষী আনন্দময়ী আনন্দময়ী দেবী ফরিদপুরের অন্তর্গত জপসা-গ্রামনিবাসী প্রসিদ্ধ কবি ও সাধক লাল! রামগতি রায়ের কন্তা এবং পয়গ্রামের পণ্ডিত কবীন্্র অযোধ্যারামের গত্রী ছিলেন। আনন্দময়ী পিতার নিকট বঙ্গভাষায় ও ংস্কতে শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন, এবং ধর্্- শাস্ত্রে সবিশেষ পারদর্শিনী হইয়! উঠিয়াছিলেন বিদুধী বলি তাহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল। আননদমদীর বিগ্ববস্তা সম্বন্ধে ছুই একটি কথা চলিত আছে। রাঁজনগরনিবামী স্থগ্রসিদ্ধ কষ্ণদেব বিগ্বাবাগীশের পুত্র হরি বিগ্কালস্কার আনন্দময়ীকে একখানি শিবপৃজা- পদ্ধতি লিখিয়৷ দেন.; বিদ্ালঙ্কার মহাশয়ের রচনা ভ্রমপূর্ণ ছিল) আঁনন্দময়ী সেই সকল ভুল দেখিয়। বিগ্যালঙ্কারের পিতা! বিগ্বাবাগীশ ৯৩২ ভারতীয় বিদুষী মহাশয়কে তিরস্কার করিয়া লিখিয়া' পাঠান যে, পুত্রের শিক্ষা বিষয়ে তিনি অত্যন্ত অমনোবোথী! সংস্কৃত-শান্ত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকিলে শিবপুজাপদ্ধতির এ কল তুল আনন্দময়ীর চক্ষে কখন পড়িত না । এক সময়, রাজ! রাজবল্লভ পণ্ডিত রামগতির নিকট হইতে “অগ্নিষ্টোম' বজ্ঞর প্রমাণ ও এ যজ্ঞকুণ্ডের গ্রতিকৃতি চাহিয়া পাঠান। রামগতি তখন পুরশ্চরণে ব্যাপৃত ছিলেন, কাজেই তিনি নিজে সে ভার গ্রহণ করিতে পারিলেন না। কন্তার পারদর্শিতা সম্বদ্ধে তাহার* দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, তিনি কন্তাকেই দে ভার অর্পণ করিলেন; তখন আনন্দময়ী যজ্ঞের প্রমাণ ইত্যাদি লিখিয়৷ রাগ্জার নিকট পাঠাইয়৷ দিলেন। রামগতি তথনকার বড় পণ্ডিত ছিলেন, তাহার নির্দিষ্ট অগ্রিষ্টোৌম যজ্ঞের প্রমাণ ইত্যাদি বিশুদ্ধ হইবে, -এই জন্যই তাহার নিকট উহা! চাহিয়! পাঠান হয়; ৯৩৩ ভারতীয় বিদুধী তিনি তাহা দিতে পারিলেন না, তাহার পরিবর্তে তীহার কনা লিখিয়া দিলেন ) কিন্ত তাহাই রাজদভার পর্ডিতদিগের ছারা বিনা আপত্তিতে বিশুদ্ধ বলিয়া গ্রাহ্য হইল। ইহা] হইতেই বুঝা যায় যে, আনন্দময়ীর শাস্তজ্ঞান তাহার পিতার অপেক্ষা কম ছিল না, এবং এ বিষয়ে রাজসভার কোন পক্তিত মনের কোণেও সন্দেহ পোঁষণ করিতেন না। আনন্দমরী যে শুধু লেখা পড়া শিখিয়া- ছিলেন তাহ! নহে; তিনি নানাবিধ খণ্ডকাব্য রচনা! করি মাতৃভাষাকে অলঙ্কত করিয়া গিয়াছেন। * তাহার 'খুরতাত লালা জয়নারায়ণ রায় একজন কবি ছিলেন ; কথিত আছে, তাহার রচিত "হরিলীলা”য় আননাময়ীর অনেক রচনা সন্গিবিষ্ট আছে। আনন্দময়ীর রচনা স্থানে স্থানে বেশ পাণ্ডিত্য ও আড়ম্বর পূর্ণ। তিনি বে সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ অভিজ্ঞা ছিলেন তাহ! তাহার রচনার শব্চয়ন দেখিয়া ১৩৪ ভারতীয় বিছুষী বেশ বুঝিতে পারা যাত্ব। দুঃখের বিষয় তাহার সমগ্র রচনা পাওয়া যায় না। আনন্দমনলীর লেখার কিঞ্চিৎ নমুনা আমরা নিম্নে দিতেছি। চত্ত্রভাণ ও স্গুনেত্রার বিবাহ কালে চক্ত্রভাণকে দেখিয়া রমণীগণের কিরূপ অবস্থা হইয়াছিল তাহা তিনি বর্ণনা করিতেছেন £-_ হের চৌদিকেনকািনী লক্ষে লক্ষে । মমক্ষে, পরক্ষে, গবাক্ষে, কটাক্ষে ॥ কতি প্রৌ-রূপা ও রূপেতমজ্তি। হসস্তিএস্থলস্তি, ঈর্বস্তি, পতস্তি ॥ কত চারুবক্ত1, হৃবেশা, সুকেশা। স্থনাসা, সৃহাসা, সৃবাসা, সুভাষা ॥ কত ক্ষীণন্মধ্যা, সৃতঙ্গা, সুযোগ্যা । রতিজ্ঞা, বশীজ্ঞা, মনোজ্ঞ, মদজ্ঞা ॥ দেখি চন্দ্রভাণে কত চিত্তহার]। নিকীরা, বিকারা, বিহারা, বিভোর! ॥ ১৩৫ ভারতীয় বিদুষী করে দৌড়ি দৌড়া মদমন্ত প্রোঢা। অনুঢা, বিমূঢ়া, নবোচ়া, নিগৃঢ়া ॥ কোন কামিনী কুগুলে গগ্ড-দ্ষ্টা |. প্রন্থষ্টা, সচেষ্টা, কেহ ওষ্-দষ্টা ॥ অনঙ্গাস্ত্রভিন্ন! কত শ্বর্ণ-বর্ণ। | বিকীর্ণ|, বিশীর্ণা, বিদীর্ণা, বিবর্ণা ॥ কারো! ব্যস্ত বেণী নাহি বাস বক্ষে। কারো হার কুর্পাস বিশরন্ত কক্ষে ॥ গলদ্ভূষণা কেহ নাহি থাস অঙ্গে। গলদ্রাগিনী কেউ মাতিয়া অনঙ্গে ॥ কারো বানুবন্লী কারো স্বন্ধদেশে | রহিয়৷ সাধুবাক্য' বন্ড, প্রকাণে ॥ কঃ ১ রং তারপর, চন্ত্রভাথ যখন বিদেশে তখন বিরহিনী স্ুনেত্রার অবস্থা বর্ণনা করিতেছেন ৫ - আসি দেখহ নয়নে । হীন তনু সথুনেত্রার হয়েছে ভূষণে ॥ ১৩৬ ভারতীক় বিদুষী হয়েছে পাঞুর গণ্ড রুক্ষ কেশ অতি। ঘরে আসি দেখ নাথ এ সব ছুর্গতি ॥ রহিয়াছি চিররবিরহিণী দীন মনে । অর্পণ.করিয়া আখি তোম! পথপানে ॥ ৪ ১ ১ ভাবি বাই যথ! আছ হইয়া যোগিনী। নাহি হে এ দারুণ বিরহ আগুনি ॥ যে অঙ্গে কুস্কুম তুমি দিয়াছ যতনে । সে অঙ্গে মাধিব ছ:ই তোমার কারণে ॥ যে দীর্ঘ কেশেতে বেণী বেঁধেছি আপনি । তাতে জটাভার করি হইব যোগিনী ॥ শীত দুরে যে বুকেতে লুকায়েছ নাথ । বিদারিব সেই বুক করি করাঘাত ॥ যে ক্কণ করে দিয়াছিলা হব মনে। সে কঙ্কণকুণ্ডল করিয়া দিব কাণে॥ তব প্রেমময় পাত্র ভিক্ষাপাত্র করি। মনে করি হরি ম্মরি হই দেশাস্তরি ॥ এ চি ক ৮৩৭ ভারতীয় বিছষী “হরি লীলা” ছাড়া জয়নারার়ণ রচিত চণ্ডী কাব্যেও আনন্মময়ীর লেখা স্থান পাইয়াছে। আনন্দমঘ়ীর “উমার বিবাহ” বিশেষ প্রসিদ্ধ; এখনও অনেকে কগস্থ করিয়৷ রাখিয়াছেন। নিয়ে উদ্ধত করিতেছি £-- “প্রভাত সময় জানি গিরিরাজরাণী। অতি হরফিতে অতি পীযুষের বাণী । মায়৷ সব জায়া আইসা নিমন্ণ কর। স্্রী-আচার রীত নান! গীত মঙ্গলের ॥ শুনি হরঘিতে সবে অমনি ধাইল। অমর নগর আদি' সর্কত্র বলিল আইল অনেক আয় দেব-খধি-নারী। গম্ধবর্ী কিন্নরী কত স্বর্গ বিদ্বাধরী ॥ যত নারী দীর্ঘকেশী ভুরু ভূজুঙ্গিনী। তিল-পুষ্প জিনি নাসা, কুরঙ্গ-নয়নী ॥ সুমধ্যম| পীনস্তনা চম্পক বরণা। বিশ্বাধর! সিতমুখী সুকৃতা দশনা| ॥ ১৩৮ ভারতীয় বিদ্ষী স্থলপদ্ জিনি পদ-পল্লব শোভন! । পরিছে বসন কত বিচিত্র রচনা ॥ চুণী মণি বহুমূল্য জড়িত রতন । বিদ্বার্টতর প্রায় সব গিরির ভবন ॥ গাহিছে মঙ্গল সবে অতি হরযিতে। উমার স্নানের চেষ্টা রাণীর ত্বরিতে ॥ সুটতল হরিদ্রারস একত্র করিয়া । রত্ব সিংহাসনোপর উমারে বসাইয়া ॥ মীজিছে ফোমল*দেহ হরিদ্রার রসে। অঙ্গেতে ঢালিছে বারি সখি সবে হাসে ॥ স্নান করাইয়া! অঙ্গ মোদ্ায় যতনে । পরাইল জড়ি*্শান্ভী খচিত রতনে ॥ যে কটিতে পরাজিছে মহেশ ডমরু | ধরিতে বসনভার মানিয়াছে গুরু ॥ বিচিত্রমসনোপর নিয়া বসাইল। আনন্দে আনন্দময়ী রচনা করিল ॥ শুভক্ষণে হরগৌরীর মিলন হইল। শসন্দুর সহিত জয়া! বিজয়া আসিল ॥ ১৩৯ ভারতীয় বিদ্ষী শিরে বারি অন্ন পূর্বে দিয়াছে জানিয়!। বান্ধিছে কবরী কেশ বেণী জড়াইয়। ॥ সিন্দুরের বিন্দু দিল সীমস্ত সারিয়া। . সিি শেষ ফোট বন্দী সারিছে ঘাটিয়া। যে নাসা হেরিয়া তিল-পুষ্প পৈল ভূমে ॥ বিরাঁজিত কৈল তারে তিলক কুম্তুমে ॥ রং সং সূ চরণে ত বস্কমল দিল তিন থরি। পঞ্চমে ঘুঘুরা তোডা.মত শারি সারি ॥ আলতার চিক পদে চাদের বাজার । হেরি স্থুর-নারিগণ কত বারে বার ॥ মালা গলে করি উম! ছেঁলিয়াছে ফুলে । সেওতি মল্লিকা যূথী চম্পক বকুলে ॥ ষ্া ০ সা পাণিগ্রহণের পর কর একাইল,। অশোকের কিশলয়ে কমল জড়িল ॥ দুর্গী বলি জয়কার দিয়া সবে নিল। উঠিয়া! বশিষ্ঠ শুভ দৃষ্টি করাইল ॥ ২১৪৩ ভারতীয় বিদুষী লাজ হোম পরে ধূম নয়নে পশিল। নীলোৎপল দল ছাড়ি রক্তোৎপল হৈল ॥ সিন্দূরের কৌটা দিল রজত থুইতে । হাতে*করি উমা নেয় বাসর গৃহেতে ॥” গঙ্গামণি আনন্দময়ী দেবীর এক বিদুধী পিসি ছিলেন, তাহার নাম গঙ্গামণি। ছোট ছোট কবিতা ও বিবাহ-কুলে গাহিবার উপযুক্ত অনেকগুলি সুন্বর সুন্দর গান গঙ্গামণি রচনা করিয়াছিলেন, সেই সঙ্গীতগুলি বহুদিন পর্য্যন্ত বিবাহ বাসর ব্রত রাখিয়াছিল; এখনও " সেই গান ছুই একটি প্রাচীনা মহিলার মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। তাহার রচিত সীতার বিবাহ-বর্ণন[ব্ষয়ক একটি কবিতার কিয়দংশ আমরা উদ্ধত করিতেছি :-- জনকননিনী সীতা হরিষে সাজায় রাণী। শিত্রে শোতে সিথিপাত হীরা মণি চুণী॥ ১৪১ ভারতীয় বিদুবী নাসার অগ্রেতে মতি বিশ্বাধর পরি । তরুণ নক্ষত্র ভাঁতি জিনি রূপ হেরি ॥ মুকুতা দশন হেরি লাঁজে লুকাইল। করীন্দ্রের কুস্তমাঝে মিয়া রহিল দ , গলে দিল থরে থরে সুকুতার মাল! । রবির কিরণে যেন জবলিছে মেখলা ॥ কেয়ুর কঙ্কণ দিল আর বাজুবন্ধ । দেখিয়া রূপের ছটা মনে লাগে ধন্দ ॥ বিচিত্র ফনিত শঙ্খ কুল-্পরিভিস্ত | দিল পঞ্চ কঙ্কণ পৈছি বেষ্টিত ॥ মনের মত আভরণ পরাইয়। শেষে। রঘুনাথ বরিতে যান ম.নরণ্হরযে ॥ ১৪২ ভারতীয় বিছ্যী প্রিয়ংবদ! গ্রীয় তিনশত বদর পূর্বে পূর্ববঙ্গের কোটালিগাড়ায় শিবরাম সার্বভৌম নামে এক অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন। তাহার যশ- সৌরতে আক হইয়া নানা দেশ হইতে অসংখ্য ছাত্র আসিয়া তাঁহার কুটিরে শিক্ষা লাভ করিত 7--এই ছাত্রবৃন্দ লইয়! শিবরাম তাহার তরচ্ছায়াসমাচ্ছন্ন নির্জন পলীকুটিরে অধ্যাপনা করিতেন। প্রতিদিন যখন শিবরাম শিশ্যপরিবেষ্টিত হইয়া চুষ্পা্ীম্পে উপবেশন করিতেন, তখন তীহারই ঠিক পাশে বসিয়া তাঁহারই কন্গা!, এক ক্ষুদ্র বালিকা, উৎকর্ণ হইয়! কাব্য ও শান্তর আলোচন! শুনিত। বালিকা সে আলোচনার বিন্দুবিসর্গ বুঝিত না, কিন্ত সংস্কৃত ছন্দবন্ধের* সুমিষ্ট স্বর তাহার প্রাণে কেমন:একটা আনন্দের সৃষ্টি করিত) সেই ১৪৩ ভারতীয় বিদ্ষী সুর তাহাকে আদরের খেলাঘর হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া ভয়ের শিক্ষামগপের মধ্যে আকষ্ট " করিয়া রাখিত। ছাত্রগণ পাঠীভ্যাস আরম্ত করিবার পূর্বে যখন এই বালিকা সরস্বতী- বন্দনা গান করিবার আদেশ লাভ করিত, ছাত্রমগ্ডলীকে মুগ্ধ করিয়া যখন সে মধুরকণ্ঠে বা কুনদেন্দৃতুধারধবলা ঘা শ্বেতপন্মাসনা য! বীণাঁবরদগমগ্ডিতভূজা বা শুত্রবস্ত্রীবৃতা । যা বরহ্মাচ্যুতশঙ্করপ্রতৃতির্দে বৈঃ সদা বন্দিতা স| মাং সরস্বতী ভগবতী নিঃশেষ জাড্যাপহা ॥ গানটি গাহিরা শেষ করিত, তখন তাহার প্রাণ যে আনন্দে নাচিয়া উঠিত, সে আনন্দ সে খেলাঘরের কোন খেলার মধ্যেই পাইত না। তাহার পর দিনাস্তে চতুষ্পাঠীর ছুটি হইলে, সেদিনকার আলোচিত শ্লোকগুলির মধ্যে অধিকাংশ অবিকল মুখস্থ বলিয়া বালিকা শিবরামকে সেই বিষয়ক নানা রকম অদ্ুত ১৪৪ ভারতীয় বিছ্বী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিত,__-তাহার মুখে আর অন্ত কোন কথ৷ থাকিত না। বালিকার এই অপূর্ব্ব মেধাশক্তি দেখিয়! ও তাহাকে শিল্কার প্রতি অত্যন্ত অনুরাগিণী জানিয়! শিবরাম তাঁহার ছাত্রবর্গের পাশে এই নূতন ছাত্রীটির স্থান নির্দেশ করিয়া দিলেন। বালিকা! অসীম উৎসাহে শিক্ষাগ্রহণ করিতে লাগিল,তাহার অসীম মেধাশক্তিবলে ও 'তীক্ষ প্রতিভায় শীস্ই সে সংস্কৃত তাৰ! আয়ন্ত করিয়া ফেলিল,-_ছাত্রবর্গের মনে ঈর্যার উদ্রেক করিয়া! সে দিন দিন প্রতিষ্ঠালাভ করিতে ল্[গিল। প্রতিদিন সেই নিজ্জনকুটিরের পাঠমণ্পে বসিয়া অদম্য আগ্রহে সরস্বতীর মত এক বালক! কাব্য-পাঠ ও শাস্তচ্চা করিতেছে__ সহপাঠীদিগের সহিত সমান হইয়। তর্ক করিতেছে, মধুরকণ্ঠে'সংস্কৃত স্তোত্র আবৃত্তি ও বন্দনাগান্ করিয়া সকলকে মুগ্ধ করিতেছে, ১৪৫ ঞঃ ভারতীয় বিছ্ষী এই দৃশ্ঠ পণ্ডিত শিবরামের অন্তঃকরণ আনন্দে আপ্লুত করিয়া তুলিল, ছাত্রবর্গকে উৎসাহে উন্মত্ত করিয়৷ দিল এবং সহপাঠীদিগের মধ্যে গশ্চিমবাঁদী এক ব্রাঙ্গণ-সস্তানেত্ব মনে সেই বালিকার প্রতি অন্ুরাগের বীজ সঞ্চার করিল। এই ব্রাঙ্গণ-সন্তান বাংলা ভাষায় কথা কহিতে পারিতেন না, এসেই জন্ত বালিকার সহিত বাক্যালাপের খুব আগ্রহ থাকিলেও তিনি তাহার *সহিত কথাবার্তা কহিতে পারিতেন না, কিন্তু বালিকা অতি অল্পদিনের মধ্যেই সংস্কৃত ভাষায় অনর্গল কথা কহিতে শিখিয়া ভীগার ক্ষোন্ডের নিবৃত্ত করিল। এই পশ্চিম দেণীয় ব্রাঙ্গণ-সন্তান রঘুনাথ মিশ্রের সহিতই প্রিয়ংবদার বিবাহ হয়। প্রিয়ংবদা সংস্কৃত গ্রন্থ পাঠ ও সংস্কৃত ভাষায় বাঁক্যালাপ শিক্ষা করিয়াই নিশ্িন্ত রহিলেন না ;-নিজে সংস্থত শ্রো্$ রচনা ১৪৬ ভারতীয় বিছ্ষী করিবার জন্য পিতার নিকট শিক্ষা লইতে লাগিলেন ।--বালিকাবয়দে সংস্কৃত ছন্দের যে সুমধুর স্থুর বারঘার তাহার হ্বা়কন্দরে আঘাত করিয়াছিল এখন তাহার প্রতিধ্বনি উঠিত্বে আরম্ভ করিল। পিতার আদেশে প্রিয়ংবদা প্রথম যেদিন গৃহপ্রতিষ্টিত কুল- দেবতা 'গোবিনদদেবকে উপলক্ষ করিয়া কালিন্দীপুলিনেযু কেলিকলনং কংসাদিদৈতাদিষং | গোপালীভিরভিষ্ তং ব্রজবধূনেত্রোংপলৈরচ্চিতং বর্হালঙ্কৃতমন্তকং স্বুললিতৈরক্সৈস্ত্িতঙ্গং তজে গোবিন্দ জনুন্দরং ভবহরং বঙ্বাধরং শ্যাণলং এই শ্লোকটি রচনা কারলেন এবং ছাত্রমণ্ডলীর মাঝে উঠিয়া দড়াইয়। পাঠ করিলেন, তখন শ্বিরাম কন্যার 'মুখের পানে চাহিয়া আনন্দাস্ত সম্বরণ করিতে পারিলেন না; ছাত্রমগুলী বিশ্বয়ে অভিভূত হইয়া পড়িল। তাহার পর, প্রায় প্রতিদিন তিনি দেবোদেশে নৃতন ১৪৭ ভারতীয় বিদ্ষী নৃতন কবিতা রচনা করিয়৷ পাঠ করিতে লাগিলেন । বিবাহের পর স্বামী-গৃহে আসিয়া প্রিয়ং- বদা বিদ্বা-আলোচনা ত্যাগ করেদ নাই; উত্তরোত্তর তীঁহার প্রতিভা বিকশিত হইয়া উঠিতে লাগিল। স্বামী সামান্ট ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ছিলেন; সাংসারিক কাজ চালাইবার জন্য সংসারে বেশি লৌক ছিল না, প্রিয়ংবদাকে স্বহস্তে সকল কাঁজ এরিতে হইত। বিদুষী ছিলেন বলিয়া অভিমানে তিনি সাংসারিক কাজকে কখনও তুচ্ছ করেন নাই ;--স্বামীর পরিচর্যা, গৃহমার্জন, গৃহশোধন, পুজার আয়োজন, রন্ধন, অতিথিমেবা ও গো. সেবা প্রভৃতি সকল কাজই তিনি নিজ হস্তে সমাঁধা করিয়া যে অবসর পাইতেন সেইটুকু কাল বৃথা বায় না করিয়া শিক্ষ- আলোচনায় কাটাইতেন। এই খানেই তাহার গৌরব বিশেষভাবে ফুটিয়াছে ;-_বিছ্বার ১৪৮ ভারতীয় বিছ্বী অভিমান তাহাকে সাংসারিক কাজগুলিকে দাসীর কাজ বলিয়! হেয়ঙ্জান করিতে শিখায় নাই-_যে হস্তে তিনি কাব্যরচনা করিতেন সেই হন্তই সম্মার্জনী ধরিতে কখনও কুন্টিত হয় সাই! শিক্ষিতা স্ত্রীর আদর্শ হি খুঁজিতে হয় তাহা হইলে আমরা যেন এই প্রিয়ংবদার চরিত্রেরধ্যেই তাহা অন্বেষণ করি। প্রিয়ংবদা ছেলেবেলা! হইতে মধুরকঠে গ্রাহিতে গারির্তেন, লেই জন্যই তীহার নাম প্রিয়ংবদা! হইয়াছিল। তিনি স্বামীর গ্রতি অত্যন্ত তক্তিমতী ছিলেন, স্বামীর কথ! তিনি বেদ- বাক্যের ঠায় পালন*্কাঁরতেন। তাহার স্বামীর ' অনেকগুলি ছাত্র ছিল, তিনি তাহাদিগকে প্রত্যহ শ্বহস্তে রন্ধন করিয়৷ আহার করাইতেন, জননীর হ্যায় স্লেহে তাহাদিগকে পালন করিতেন, রোগে শুরা করিতেন। প্রিয়ংবদার হ্ৃতিশক্তি অত্যন্ত গ্রথর ছিল। শুন! যীয়, তিনি দুই পক্ষ সময়ের মধ্যে ১৪৯ ভারতীয় বিদুষী অমরকোষ, স্বাদি হইতে চুরাদি পর্যন্ত গর এবং মহাঁভারতীয় সাবিত্রী ও দময়স্তী- 'উপাখ্যানের মূল অংশ দুটি কঠস্থ কুরিয়া ফেলিয়াছিলেন। বিবাহিত"জীবনে তিনি অধিক ময় লেখাপড়ায় মন দিতে পারিতেন না, কিন্ত বল্প-অবসরের মধ্যেই তিনি মার্কণেয় /পুরাণের মদালস! উপাখ্যানের দার্শনিক টাকা এবং ভারতীয় শাস্তিপর্কের *মোর্ধর্মের একখানি বিস্তৃত টাকা প্রণয়ন করিয়াছিলেন প্রিরং- বদার হস্তাক্গর থুর সুন্দর ছিল; তাহার স্বামী কাশী হইতে সংস্কৃত "নঙ্গরে লেখা, অনেক শান্রীয় পুথি আনিয়াছিলেন, তিনি সেইগুলি বাংলা অন্গরে নকল করিতেন। প্রথমে কাব্য আলোচনায় প্রিয়ংবদার ত্বত্যন্ত আগ্রহ ছিল; তিনি কেবলই কাব্য পাঠ করিতেন; কিন্তু বিবাহের পর তাহার স্বামী তাহাকে দর্শনশাস্ত্রের চর্চা করিতে উৎসাহ দেন? ৯৫৩ ভারতীয় বিদুযী একটি বাঙ্গালী ব্রাঙ্গণকন্ঠা সমস্ত দিনের অসংখ্য গৃহকর্শেষে অবসর লইর! নির্জন গৃহ- কোণে স্বামীর পাঁদমূলে শুচি হইয়া বসিয়া দর্শন- শান্তের কুষ্ট প্রশ্ন সমাধান করিবার চেষ্টা করিতেছেন ;--স্বামীর মুখ হইতে শান্ত্ব্যাখ্যা শুনিবার জন্য আগ্রহ-বিস্ফীরিতনয়ন তাহার মুখের স্পর স্থির হইয়া পড়িয়া আছে; এই পবিত্র দৃষ্য মানস-নয়নে উদ্ভাসিত হইয়া আমা- দিগকে পুলকিত করিয়া তোলে ! ১৫১ ভারতীয় বিদ্ষী সম্বন্ধে কয়েকটি অভিমত প্রবাসী । * এইরূপ গ্রন্থ পাঠ করিলে আমাদের গৃহলক্্ীগণ আত্মশক্তি উপলব্ধি করিতে পারিবেন। ইহার ভাষা সরল ও বিশুদ্ধ, স্থানে স্থানে বেশ কবিত্ব- ময়) বহু বিদুষীর আখ্যায়িক। বেশ রোমান্স ধরণের, গন্পের মত সুখপাঠ্য ॥ বাংলায় নারীপাঠ্য স্বল্প পুন্ত- কের মধ্যেইইহা শ্রেঠ আসন অধিকার করিবে। কন্ঠা, ভগিনী, পড়ী, সথী প্রভৃতিকে উপহার দ্বিবার যোগ্য -যোগ্য কেম, সকলের উপহার দেওয়া উচিত। মাননীয় স্তার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কে, টি। এই পুস্তকে তাঁরতীখ বিদ্বীদদিগের পবিত্র ও উজ্জল চাঁরত্রের অতি সুন্দর চিত্রাবলী বিশুদ্ধভাবে তঙ্ষিত হইয়াছে। এরূপ গ্রন্থ বাঙ্গালী মাত্রেরই আদরনীয়। শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্্রনাথ ঠাকুর। ভারতীয় বিদুধী গড়িতে আরম্ত করিয়! শেষ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। অনেক নুতন বিদুষীর বিররণ জান! গেল।* আমার বিশ্বীস এই গ্রন্থ স্ত্র-শিক্ষার কাঁজ এগিয়ে দেবে ;--আমাদের ধেশে স্ত্রী-শিক্ষা যে নৃতন জিনিস নয়, এই গ্রন্থখানি পাঠ করলে অনে- ৮৩ কের চৈতন্য হবে ।* যে সকল বিদুষধীর বিবরণ আছে তাদের সকলেরই শিক্ষায় কেমন একটি সরল দেশীয় ভাব ফুটে উঠেছে । শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । * বইখানি হস্ত- গত হইলে কেবল একবাঁর চোখ বুলাইয়া লইব বলিয়া পাতা উল্টাইতে সুরু করিলাম। হঠাৎ মীরাবাইয়ের জীবনীতে আটকা পড়িয়া গেলাম--এবং তাহার পর শেষ পাতা পথ্যন্ত একটি ছত্রও বাদ দিতে পাঁরি নাই। আগ্যোপাস্ত বই পড়িবার একটা বয়ম আছে-__যখন মনের ক্ষুধা ও পরিপাক শক্তি তক্ষুপ্ন আছে, যখন নৃতন কিছু হাঁতে পাইলেই সেটাকে পরীক্ষা করিয়! দেখিতে ইচ্ছ! করে এবং যখন হাতে সময়ের অভাব নাই তখন প্রায় সব বই সমস্থটাই পড়া যায়। আমাঁ- দের বয়সে ঠিক তাহার বিপরীত। ইহা হইতেই বুঝিয়৷ লইবে ষে তোমার বই আমার ভালই লাগি- য়াছে। 1001 ৯৪০ 215 500201% 07011171018 চাট 90700100956 910076501012,010 10 ০0৮1 02112106615 হোঃ৫ 5151055 2017১8162 0০0]. 00010 178 ৮/11062, 1 15 29 105010001%6 25 1015 61060121010, শ্রীমণিলাঁল গঙ্গোপাধ্যায় প্রণীত জাপানী ফান মূল্য আট আনা মাত্র ধশখানি বিচিত্র রঙে ছাপা বন্দর হাফ টোন ছবি- যুক্ত জাপান দেশের উপকথার বই। ইহাতে সাতটি সাত রকমের গল্প আছে। ছেলেরা পড়িয়া আমোদ, পাইবে, হাসিবে, প্রীত হইবে, কিছু শিথিবে, চিন্তা করিবার মতও ক্ছি পাইবে। বইথানির চেহারাও, এমন স্বন্দর যে হাতে পাইলে ছেলেরা আনন্দে হৃত্য করিতে থাকিবে। আভমত। শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-_জাগানী ধান পড়ে খুসী হয়েছি। ঠিক যেমনটি হওয়া উচিত তেমনি হয়েছে-_অর্থাং এতে ফাকি নেই। ছোট ছেলেদের জন্টে বই লেখবার বেলায় সাহিত্যরসের প্রতি দৃষ্ঠি রাখা অনেকেই অনাবস্তক মনে করেন। কিন্তু ছেলেদের জন্তে লিখতে গেলে যে কেবল ছেলে- মানুষি করতে হ'বে এ ধারণাটা অন্তায়। ছেলের! অলে ভোলে বলেই তাদের ফাঁকি দিয়ে ভোলানটা কর্তব্য নয় । এই বইটিতে রসের জায়গায় জল মিশিয়ে চালান হয়নি এতে খুসী হয়েছি। জাপানী ফানগদের রডিন আলোতে শিশুদের কল্পনাকুপ্জ প্রমো- দিত হয়ে উঠবে এতে সন্দেহ নেই। ্রীধুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন__ ** গরগুলি স্বপ্নলোকের, ছবিগুলিও সেই রাজ্যের, যেন মণিকাঞ্চনের যোগ হইয়াছে । বইথানি কৌতুক, অঙ/, কল্পনা, লীলা ও হান্তরসের মিশ্র পরিব্েষণ। ইহা গৃহের শিশুমণ্ডলী যে আগ্রহে পাঠ: করিয়াছে, আমিও সেই আগ্রহে পড়িয়াছি। পড়ার সময় ঝি দুইবার খাওয়ার তাগিদ দিতে আসিয়াছিল তাহা গ্রাহ করি নাই। বই শেষ হইলে মনে হইল যেন কোন উজ্জন্য স্বপ্নলোক হইতে নামিলাম । শীঘতী ন্বর্ণকুমারী দেবী-_জাপানী ফানুস পড়ে অত্যন্ত গ্রীতিলাভ করেছি; বইখানি আকারে যেমন স্ুদৃষ্ঠ, নামে তিমনি সুন্দর, আর গন্নগুলি এত মনোরম যে পড়তে পড়তে মনে হন্প ফান্গুসের মতই উধাও হস্বে যেন কোন কল্পনারাজ্যে উড়ে চলেছি, তুমি দেখছি ছেলে ভূলাবার ছলে বুড়া! পর্যন্ত ভুলিয়েছে। একটি গল্প একবার পড়লে বার 1/৯ বার পড়তে ইচ্ছা করে, এমনি কৌতুহল-উদ্দীপক | ছেলেদের গল্প এমনিই চিত্তাকর্ষক হওয়া উচিত। ছবিগুলিও খুব স্থপ্দর হয়েছে। শ্রীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-- * * ভীঁষাটি বেশ সহজ হুন্দর__-ছেলেদের জন্য যে নব রচিত হয় তার ভাষ| এইরূপই হওয়া উচিত। শুধু ছেলেদের কেন গল্পগুলি বুড়োদেরও ভাল লাগবে । » * যুক্ত যতীন্দ্রমোহন সিংহ-_-আপনার প্রেরিত গ্রন্থ 'জাপানা ফাঞ্ুস উপহার পাইয়া আন- ন্দিত .হইয়াছি। উহা পাওয়ামাত্র আমার ছেলেরা কাড়িয়া লইয়াছিল, এবং আহার দিদ্রা ত্যাগ করিয়! এক নিঃশ্বাসে পড়িয়া ফেলিয়াছে। ইহাই আপনার পুন্ঠকের বিশেষ প্রশংসার কথা মনে করি। পরে আমার হাতে আঁদিলে, আমিও তাহ! পড়িয়া খুব আমোদ পাইয়াছি? আপনার ভাষ৷ যেমন মার্জিত, তেমন সরস ও চিত্তাকর্ষক, বার্ণত চিত্রগুলি চোখের সাম্‌নে ফুটিয়া উঠে। গল্পগুলি অতি দক্ষতার সহিত নির্বাচিত ও সুকৌশলে চিত্রিত হইয়াছে । পুস্তকখানি ছেলেমেযেদিগকে উপহার ব| পুরস্কার দেওয়ার বিশেষ উপযুক্ত । 175 ভাঁরতী-_-এই গ্রন্থথানি পাঠ করিয়! আমরা বিশেষ তৃপ্ত হইয়াছি। ইহার ছাপা বাঁধাই কাগজ প্রভৃতি বহিরবয়ব যেমনি সুন্দর ভিতরে গল্প কয়েক- ও তেমনি সুন্দর হইয়াছে। নয়খানি সুরঞ্জিত হাফ টোন চিত্রও যেন সোনায় সোহাগ মিশিয়াছে ! ভাষা ও গল্প বলিবার ভঙ্গীটি এমন হ্ৃদরগ্রাহী বে তাহা নিমেষেই হ্বদয় স্পর্শ করিয়া ফেলে। বঙ্গদর্শন_ _মণিবাবু শিশুদের »্*গ্না রাজ্যের স্থনীল আকাশে তার নিজের কল্পনার বিচিত্র ফানুস ছাড়িয়াছেন। তার রুঙীন আলোকে সে সুখের রাজ্য উদ্ভাসিত হুইয়৷ উঠিবে সন্দেহ নাই । তাহার লালিত্য্যে, বর্ণনার মাধুধ্ে এবং কবিত্বের স্পর্শে তার গল্পগুলি সজীধি হইয়া উঠিগ্জাছে। তাই এক হিসাবে “ফানুন” নামকরণও সার্থক হইয়াছে, ইহা যেমন বিচিত্র তেমনিই উজ্জ্বল তেমনই হ্থন্দর। জাপানী ফান্ুম শেষ করিয়া একটি অনাবিল আনন্দ- রসে শিশুহদয় উচ্ছসিত হইয়া উঠিবে। নব্যভারত-__- * মণিবাবু গল্প সমুহে যে প্রাঞ্জল ভাঁষা-লিপিকুশলতা, বিচিত্র ভাঁব এবং ঘটনার সামগ্রন্ত ও সৌন্দর্য্য প্রকাশ করিয়াছেন তাহা প্রশংস- নীয়। পাঠ করিতে আরন্ত করিলে শেষ ন করিয়া 1৩/০ থাকিতে পারা যায় না। বালক পাঠোপযোগী ক্ষুদ্র গল্প রচনায় গ্রন্থকার যে সিদ্ধহস্ত তাহাতে সন্দেহ নাই * * বা. 5 এ বটলহা 7 0০901 1১৯01721015, ৯ *:000 20010010095 10100 1) ৫100 €09 70276100171 0255 ০1 102.0078 001 ৮৮170100109 00115 17716017000. গ ক ৬৮০. 081 16001017010. 0115 1০901 25 2. ৮০17 51162010 07120 0০901, ঞ * প্রবাসী।* ইহার রচনায় মণিবাবু সবিশেষ কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন। ইহী'র বর্ণনার ভঙ্গী, শবেের* বঙ্কার ও লালিত্য বর্ণচিত্র প্রভৃতি বহুগুণ এক অবশীল্ত্র বাঁবুর রচন! ছাড়া আর কাহারো ধ্লেখাতে দেখি নাই ৮ , ইহা পাঠ করিয়া ছেলেরা হাসবে, প্রীত হইবে, কিছু শিিবে, চিন্তা করিবার মতও কিছু পাইবে । আধুনিক অনেক শিশুপাঠ্য পুস্তক শুধু বাঁচালতায় ও লঘুতায় পনবপূর্ণ হইয়া উঠিত্তেছে। আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার আয়োজন ও চিন্তার উপুকরণ খুব অন্ন পুস্তকে দেখা যাঁয়। মণিলাল বাঁবু সেই গতানুগতিক পথ ছাড়িয়া নূতন পথে 'দীড়াইয়াছেন ও তাঁহার প্রয়াস অয়যুক্ত হইয়াছে। * এই পুস্তক শিশুদের পিতামাতাকেও কবিত্ব ও ভাঁবের রসদ জোঁগাইবে। দশখানি সুদ মুদ্রিত হাফ টোন চিত্রে মণ্ডিত হইয়া পুস্তকখানি অধিকতর উপভোগ্য হইয়াছে । * » , বাহিল্যভয়ে অন্যান্য মন্তব্য দেওয়া হইল না। শ্রণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় গ্রণীত ভূতুড়েকাণ্ড পরজগতের বিচিত্র রহ্তপূর্ণ অদুত ও অলৌকিক সম্ধাদ সম্বলিত পুস্তক)--তুতুড়ে গল্প, ভৌতিক কাহিনী, মৃত ব্যক্তির সহিত সাক্ষীতের কথা, মৃত্যুর পর অবস্থা বর্ণনা বিশদভাবে আছে। মূল্য ছয় আনা । প্রার্ডশ্ান ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ২২, কর্ণগয়ালিস ্রট, গুরুদান চট্টোপাধ্যায়ের দোকান ২০১, কর্ণওয়ালিস ্রাট, হিতবাদী লাইব্রেরী ৭০, কলুটোল! স্ত্রী, কলিকাতা ।