রীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়
ব্য দশ আন
শ্রীমনোরঞ্ন বন্যোপাধ্যায় হিতবাদী লাইব্রেরী ৭০) কলুটোলা স্্রীট, কলিকাতা
কান্তিক প্রেস ২০, কর্ণওয়ালিস স্ত্রী, কলিকাতা শ্রীহরিচরণ মান্না দারা মুদ্রিত।
২৯ ৯/|
'লীলাবত
ও ১১ ১৪ ১৬ ১৮ ১৯ ৫ ২৮ ৩১ ৩৫ ৪৫ ৪৮ ৫৩
৫৩৬
ভারতীয় বিছধী না
রামমণি
মাধবী আনন্দময়ী গঙ্গামণি প্রিয়ংবদা
ইনুমুখী, মাধুরী, গো, রচ্ময়ী "**
৫৬ ৬৪ ৭৯ ৮৪ ৮৫ ৮৭ ৯২ ৯৩ ৯৪ ৯৬ ৯৯ ১১২ ১১৯ ১২৪ ১৩২ ১৪১ ১৪৩
ভূমিক! “্তারতীয়বিদ্বী” প্রকাশিত হইতে চলিল। আমাদের শিক্ষিত সমীজের অনেকেই কোনে! না কোনো ভারতীয় বিছ্ষী সম্বন্ধে কিছু ন! কিছু জানেনা -স্্ই সমস্ত চ্লারতীয় বিদুষীর আখ্যায়িকা একত্র -গুছাইয়া প্রকাশ করা হুইল। আমাদের প্রাচীন ভারতে ইতিহাস রচনার পদ্ধতি,ছিল না) কোনে! কাহিনীর মুধ্যে প্রসঙ্গক্রমে যে-সকল অসাধারণ ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায় সেই তুচ্ছ উপাদৃ নি» প্রাচীন ইতিহাঁস উদ্ধারের প্রধান উপজীব্য । ভারতীয় বিদুষীর পরিচয় কত ফাব্য পুরাণ ও ইতিকথার মধ্যে বিক্ষিপ্ত
%/5
আছে; তাহার সকলগুলিই যে এই সংগৃহীত হইয়াছে এমন কেহ মনে [বেন না। এই বিক্ষিপ্ত অপ্রচুদ উপাদান তে আহরণ করিয়া কতিপয় ভারতীয় বিছুধীর পরিচয় একত্র করা গেল। কিন্তু এই সঞ্চয়ের মধ্যে অতি প্রাচীন বৈদিক যুগ হইতে প্রাচীন ভারতের শেষ যুগ পর্যস্ত দীর্ঘকালের মধ্যে প্রাদুভূতি বিছ্ুষীগণের একটি সুশৃঙ্খল বর্ণন! দিবার চেষ্টা হইয়াছে। এই স্বপ্পসংখাক বিছুধীর -না পাঠ করি- লেই প্রত্যেক সহদয় বরকত বুঝিতে পারিবেন ভারতীয় নারীসমাজ চিরদিন এমনই উপেক্ষিত, অবরোধের মধ্যে বহির্জগৎ হইতে বিচ্ছিন্ন ও অজ্ঞ হইয়া ছিলেন না। তাহারাঁও বিদ্যায়, জ্ঞানে, কর্ধে পুরুষের সমকক্ষতা করিতেন এবং তাহাদের সেই প্রচেষ্টা ধৃষ্টাশ বলিয়া ধিকত হইত না। যতদিন ভারতবর্ষ জ্ঞান- গরিষ্ঠ বলিয়া পূজিত ততদিন পর্যন্ত দেখা যার
৩৪
ভারতীয় নারীসমাজও সেই অর্ধ্যের লইয়াছেন। এবং যখনই নারীসমাঁজ উপেক্ষিত ও শিক্ষাহীন তখনই ভারতও হইয়া! শুধু প্রাচীন কালের দোহাই কোনোমতে টি"কিয়া থাঁকিবার চেষ্। করিতেছে। ভারতীয় বিদুষধীর বিষয় আলোচনা করিলে আমরা জানিতে পারি রমণীর অতীত কি উজ্জল, কেমন স্ুপ্রতিষ্ঠ। যাহার অতীত উজ্জল ছিল শ্মাহার ভবিষ্যৎংও অন্ধকার নয়। ভারতের সকল নারী এই সত্য একদিন গুভাবে হৃদয়ঙ্গম করিবেন। এইরূপ নানা উপলক্ষ ধরিয়৷ আমাদের সমস্ত অবনত সমাজ আত্মশক্তিতে বিশ্বীসবান হইয়! উন্নত হইয়া উঠিবেই__"এ নহে কাহিনী, এ নহে স্বপন অআন্সিন সেদিন আদিবে।” শ্রীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় ১৫ই আধা, ১৩১৬
ভারতীয় বিদষী
ভারতের রমণীগণ যে শুধুই সতীত্বে, পাতিব্রত্যে ও দাম্পত্যে অভ্ুলনীয়৷ ও চির- শ্ররণীয়া তাহ! নহে, বিষ্ভাবত্তাতেও তাহার! অমখ কান্তি নাত করিয়! গিরাছেন। বৈদিক কাল হইতে আরম্ত করিয়া সকল বুগেই ইহার পরিচয়,পাওয়া যায়।* এখন আমর! শুনিতে পাই যে বেদপাঠ বা বেদআবণে রমণীগণের অধিকার নাই কিন্তু এই রমণীগণই এককালে বেদের অনেক নন্ত্ রচনা করিয়া গিয়াছেন। তখন শুধু বেদপাঠ কর! কেন তাহাদের বেদ রচনা করিবারও অধিকার ছিল; সে সময়ে র্মণীর স্বাধীনতা পুরুষের সমক্ষে হীন বা খর্ব হইয়া পড়ে নাই। পু . সভযশর আদিম যুগে শাস্তিশ্রীস্পন্ন পর্ণকুটিরপ্রাঙ্গগে অথবা হিংস্রপশুসমাকুল
ভারতীয় বিদুষী
'বরণ্যমধ্যে বৃক্ষতলে শুদ্ধাত্মা মহধিগণ হোমানল প্র লিত করিয়া ঘৃতাহুতির সঙ্গে সঙ্গে জলদ- গম্ভীর স্বরে যে মন্ত্র উচ্চারণ করিতেন সে মন্ত্রের সৃষ্টিকর্তা শুধু যে খধিগণ হিলেন তাহা! নহে, তাহাদের কন্ত। জায়! ভগ্নীরাও তাহাদের পাশ্বে বসিয়৷ তাহাদের সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রের পর মন্ত্র রচনা করিতেন। পুরুষেরা সেকালে যেমন উচ্চ জ্ঞান ও বিষ্াবুদ্ধি লইয়| জগতের মঙ্গলের জন্য জ্ঞানবাক্যের স্থষ্টি করিতেন রমণীরাও তেমনি জ্ঞান ও বিগ্বাবুদ্ধি লইয়া দৈনন্দিন সাংসারিক কাজের সহিত, স্বামী পুত্রের সেবার সহিত, অণ্নবসনের পরিচধ্যার সহিত হিতবাক্য প্রণয়ন করিতেন । তাহারা স্বামী পুত্রের জন্ত যেমন শয্যা রচনা করিতেন তেমনি আবার বেদের মন্ত্র রচনাও করিতেন।
প্রাচীন ভারতে ইতিহাস বা জীবনচরিত রচনার পদ্ধতি ছিল না। এ্ুতরাং সে সময্বের রমণীসমাজের প্রকৃত অবস্থা আমাদের খ্
ভারতীয় বিদ্ধ
জানিবাঁর একমাত্র উপায় প্রাচীন গ্রন্থসক। এই বিষয়ের প্রাদঙ্গিক উল্লেখ মাত্র। * এই সামান্ত সত্র অবলম্বন করিয়া ও আমাদের সামান্ত চেঁটায় কতগুলি বিদুধীর পরিচয় এস্থলে উদ্ধীত হইল, না জানি কতশত বিদুষী গ্রাটীন ভারতসমাজকে সমলঙ্কত করিয়া বিদ্যমান ছিলেন এবং হয়ত অনেকের বিবরণ থাকা সন্্েও এখনো তাহা আমাদের নয়ন- গোচর হয় নাই। * -
যে সকল বিদুবী ভাঁংকালিক সমাঞ্জ আপনাদের বিশ্যত্বহেতু অত্যধিক গ্রতিষ্া লাঁভ করিয়াছিলেন কেরেল তাহাদেরই উল্লেখ প্রমস্ক্রমে হওয়া সম্ভব। আমাদের দেশের অসম্পূর্ণ ইতিহামে যদি এতগুলি অসাধারণ 'বিদ্ষীর উল্লেখ পাওয়া যায় তবে তাহা প্রাচীন ভারতীয় রমণীর সার্বজনীন বিদ্বাধিকারই প্রতিপন্ন করিতেছে।
ভারতীয় বিদুষী
বিশ্ববার।
প্রথমে বিশ্ববারার কথা ৰলি। ইনি অত্রিমুনির গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। খণ্ধেদ সংহিতার পঞ্চম মণ্ডলের দ্বিতীর অনুবাকের অষ্টাবিংশ সক্ত ইহার রচিত! এই শুক্তে ছয়টি খক্ আছে-খক্ গুলি এক একটি মাণিক ; ভাষার মাধুয্যে ও ভাবসম্পদে অতুল- নীয়। খকৃগুলির ভাবার্থ এইরূপ £--
(১) গ্রজলিত অগ্নি এজবিস্তার করিয়া উষার দিকে দীপ্তি গাইতে হন", দেবার্চনারত| দ্ৃতপাত্রসংযুক্তা বিশ্ববারা তাহার দিকে বাইতেছেন।
(২) হে অগ্নি! তুমি প্রজ্লিত হণ, অমৃতের উপর আধিপত্য বিস্তার কর, এবং হব্যদাতার মঙ্গলবিধানের জন্য তাহার নিকট প্রকাশিত হও ।
ভারতীক্স বিছুষী,
(৩) হে অগ্নি! তুমি শক্রকে শাসন ₹র, তাঁহার তেজ দমন কর এবং দম্পতীর ম্বন্ধ নিবিড়তর করিয়া তোল !
(৪) হে দীপ্তিশালি! তোমার দীপ্তিকে মামি বন্দনা! করি; তুমি যজ্ঞে প্রজ্বলিত হও ।
(৫) হে উজ্জল্যশীলি ! ভক্তগণ তোমাকে আহ্বান করিতেছেন ; যজ্ঞক্ষেত্রে দেবসকলকে তুমি আরাধনা কর ।7”-
(৬) যজ্জে হব্যবাহক অগ্নিতে হোম কর, অগ্রির সেবা কত্র এবং দেবগণের নিকট ভব্য বহনার্থ তারক বসণ কর।
ভারতীয় বিছ্ী
ইন্দ্রমাতৃগণ
খণ্বেদ সংহিতাঁর দশম মৃ্গুলের ১৫৩ সক্তের পাঁচটি খক্ ইন্দ্রমাতৃগণ দ্বারা প্রণীত। ইন্র্খষির পিতা ব্ছুবিবাহ করেন ; তীহাঁর বে- গত্রীগণ একত্রে মিলিয়া এ খকৃগুলি রুচন!| করিয়াছিলেন তাহারা ইন্দ্রমাতৃগণ নামে প্রসিদ্ধ ;_ ইহার! কথুপ খধির ওরসে এবং অদিতি দেবীর গর্ভে জন্মগ্রহণ ধরেন; ইহাদের একজনের নাম দেবজামি। সপত্রীরা পরস্পর ঈর্ষা * দ্বেব নি একমন হইয়! একসঙ্গে মন্ত্র রচনা ' কর্সিতেছেন; সপত্ীর এই মিলন আমাদের চক্ষে বড় মধুর বলিয়া বোঁধ হয়। ইন্দ্রমাতৃগণ ইন্দ্রদেবতাকে উদ্দেশ করিয়া বলিতেছেন__“হে ইন্দ! যে তেজে শত্রকে জয় কর! বায় সেই তেজ তোমাতে আছে বলিয়া তোমাকে জামর! পূজা করি'। তুমি বৃত্রকে বধ করিয়াছ, আকাশকে বিস্তর
তাঁরতীয় ব্দ্ধ
করিগাছ, নিজ ক্ষমতাবলে স্বর্গকে মমুনত করিয়া দিয়াই, কূরধা তোমার সহচর, তুমি তাহাকে বাহুপাশে আবদ্ধ করি! আছ।”
এই বাক্াগুলি বৈদিক বুগে মহা আগ্রহ ও শ্রদ্ধার মহিত কঠে কণে গীত হইত।
বাক্
অস্তণ খষির বন্তাঁ বাক ধেদ সংহিতার দশম নগুলের ১২৫ সৃক্তের আটটি মন্ত্র রনা করেন-এই " মন্ত্রগুলি দেবীনৃভ নাথে প্রচলিত। গ্ৰাাদের দেশে বে চণ্ডী পাঠ হই! থাকে তাহার পূর্বে এই দেবীসৃত্ত গাঠের বিধি আছে। মারের পুরাণের চত্তীমাহাত্্য- প্রকরণ বাকৃ-প্রণীত এ আটটি মনের তাৰ লইয়া বিস্তততাবে লেখা হইয়াছে। চ্ডী- 'মাহায্যের সঙ্গে সর্গে বাকৃদেবীর মাহীত্ম, সমগ্র তারতবর্ধে আজ পর্যান্ত ঘোষিত
ভারতীয় বি্রষী
হইতেছে। শঙ্করাচার্ধ্য অদৈতবাদের প্রবর্তক বলিয়া জগতে খ্যাতিলাস্ত করিয়াছেন, কিন্ত তাহার বহ পূর্বে বাকৃদেবী এ অদ্বৈতবাদের সূল সত্রটি প্রচার করিয়া গিয়াছেন। যে মতের উপর নির্ভর করিয়া শঙ্করাচার্যয বিশ্ব- ব্যাপী বৌদ্ধধর্মের কবল হইতে ত্রাহ্মণ্যধর্থের উদ্ধারসাঁধন করিয়াছিলেন সে মত তাহার নিজম্ব বলা যায় না, বাকৃদেবীই তাহার স্ট্টকত্রী। শঙ্গরাচার্যের নহত্বের জন্য অমরা তাহাকে যে গৌরব প্রদান করিয়া থাঁকি তাহার অধিকাংশ।বাকৃদেবীর প্রাপ্য ।
বাক্ তাঁহার স্বরাচত মরে লুলিতেছেন-- “আমি রুদ্র, বস্থ এই সকলের আত্মার স্বরূপে বিচরণ করি। আমিই উদ্ভয় মিত্র ও বরুণ, ইন্দ্র ও অগ্নি এবং আশ্বদ্বয়কে ধারণ করি! আমি সমস্ত জগতের ঈশ্বরী, আঁমাতে ভূরি ভুরি গ্রাণী প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছে । জীব যে দর্শন করে, প্রাণধারণ করে, অন্াহার করে ৮
ভারতীয় বিদুষ্ী
তাহা আমাদারাই সম্পাদিত হইয়া থকে। আঁমিই দেবগণ ও মনুষ্তগণ কর্তৃক সেবিত। আমিই সমস্ত কামনা করিয়া থাকি। আমি লোককে অষ্টা, খষি বাঁ বুদ্ধিশালী করিতে পারি । স্তোত্রদ্থে্টা ও হিংসকের বধের জন্য আঁমি রূদ্রের ধন্্ুতে জ্যা সংযোগ করিয়া- ছিলাম। আঁমিই ভক্তজনের উপকারার্থ বিপক্ষ গক্ষের সহিত সংগ্রাম করিয়াছি। আমি স্বর্গে ও পুথিবীতে প্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছি। এই ভূলোকের উপরিস্থিতি আকাশকে আমি উৎপাদন করি। বায়ু যেরূপ স্বেচ্ছা- ক্রমে সারিত হদ্ সেইরূপ সমস্ত ভুবনের প্রসবকত্রী আমি স্বয়ং নিজ ইচ্ছানুসারে সকল কার্ধ্য করি। আমার স্থীয় মাহাত্ম্যবলে সমস্ত উৎপর হইয়াছে”
দ্বারতীয় বিদুষী
অপাঁলা
অপালাও বিশ্ববারার ন্যায়” 'অত্রিবংশে জন্মগ্রহণ করেন। ইহার জীবন বড় ছুঃখময়। ইনি ত্বকরোগে আক্রান্ত হন, সেইজন্য স্বামী ইহীকে পরিত্যাগ করেন। স্বামী-পরিত্যন্ক1 হইয়। ইনি অনুষস্থজীবন পিততপোবনে ঈশ্বর আরাধনায় কাটাইয়াছিলেন। কথিত আছে, অপালার পিতার শস্তাক্ষেত্র তেমন শুফলা প্রন ছিলন1, অপালা, ইন্ত্রদেবের আরাধন! করিয়া বরলাভ দ্বার! পিতার 'নুর্কার ক্ষেত্র শস্তশালী করিয়! দিয়াছিলেন,- শস্তাভাবে পিতার যে কষ্ট ছিল তাহ! অপালার দ্বারাই দূরীভূত হয়। ইনি বড়ই পিতৃতন্ত ছিলেন। খণেদের অ্ুম মণ্ডলের ৯১ নুক্তের আটটি খক্ অপাঁলা রচনা করিয়াছিরেন।
ভারতীয় বিদুহী
অদিতি
খণেদ* সংহিতাঁর চতুর্থমগ্ডলের অষ্টাদশ সুক্তের পঞ্চম, বষ্ট ও সপ্তম খু অণিতি বিরচিত। অদিতি ইন্দ্রদেবের মাতা! বলিয়া গুসিদ্ধ। খষি বাঁমদেব একসময়ে নিজ মাতাঁকে ক্রেশ প্রদনি করিয়াছিলেন বাঁমদেবজননী পৃত্রকর্তক উৎপীড়িত্ হইয়া অদিতি ও ইন্দ্রদদেবের শরণাপন্ন হন। কথিত আছে অদিতি দেবী,কয়েকটি মন্ত্র রচনা করিয়া বাঁমদেবের অবাধ্যতা দমন করেন। অদিতি একটি শ্লোক বঁনিতেছেন__এজলবতী নদীগণ অ-ল-লা এইরূপ হর্ষস্ুচক শব্দ করিয়া গমন করিতেছে, হে খধি! তুমি উহাদিগকে জিজ্ঞাসা কর বে উহাঁরা কি বলিতেছে।” কথাগুলি বর্ত কবিত্বময় । পুরাণে কধিত আছে, অদিতি, ভগবান ক্ষম্তপের পত্রী ও ইন্ত্রাদি দেবগণের মাতা । ১১
ভারতীয় বিছুষী
উহা১ সপর়ী দিতির বংশধর দৈত্যগণ, কোন সময়ে অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠে। তাহাদের মধ্যে গ্রহলাদের পৌল্র বিরচননন্দন বলি বিশ্বজিৎ নামক হন্ত সমাপন করিয়া স্বর্গরাজ্য অধিকার করেন। দেবগণ স্বর্গ হইতে বিতাড়িত হইয়া নিতান্ত ছুর্দশাঁপর হন। ইহাতে দেবমাতা অদিতি অত্যন্ত ফাঁতর হইয়া প্রতীকর মানসে স্বামীর শরণাপন্ন হন। ভগ্রবান কগ্তপ ভীহাকে" কঠোর পয়োব্রত উদ্যাপন করিয়া বিঝুর আরাধনা করিতে বলেন। তদনুসাঁওর অদিতি একাগ্রচিত্তে রত সম্পন্ন করিলে বিষণ গঁসন ইইরা তাহার গভে বামন রূপে জন্মগ্রহণ করেন। উপনয়ন সময়ে ' বামনরূপী ভগবান ব্রতভিক্ষার জন্ত বলির নিকট গমন করেন । বলি তাহার প্রার্থনা কি জানিতে চাহিলে, বামন ত্রিপাদ ভুমি মাত্র বাঞ্ছ। করেন। দাতা তাহার এই সানান্ত প্রার্থনা পূরণ করিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলে ভগবানু ১২
তারতীয় বিদী
স্বীর খর্মদেহ বিশালরূপে বন্ধিত করিযি্ন। তাহার তিনটি চরণ। একপদে পৃথিবী, দ্বিতীয় পদে স্বর্গ ও শরীর দ্বারায় চন্য তারাগণসহ আকাঁশ আবৃত হইল। তৃতীয় পদের জন্য কোন স্থানই অবশিষ্ট রহিল না। বাল তখন মুদ্ধিলে গড়িলেন, স্বর্গ মর্ত্য সব বাঁমন অধিকার করিয়া লইয়াছেন, তিনি ব্রিপাঁদ ভূমি দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কিন্ত মাত্র ছুই পদের ভূমি দান করিয়াছেন এখনো! তৃতীয় গর বাঁকি আর তো কিছু অবশিষ্ট নাই এ তৃতীয় গদ রাখিবার ঠাই দিবেন কোথায়? বুঝিলেন ভগবান ছলনা করিতেছেন, নিজের মাথা নত করিয়া দিয়া বলিলেন--গ্প্রতু আমার মাথা আছে আপনার এ চরণটি আমার মাথায় স্বাগন করুন।” বলি স্ব মরত্য দান করিয়াছেন, এই ছুই স্থানে তাহার থাকিবার অধিকার লাই, তাহাকে পাতালে প্রবেশ করিতে হইল। দেবতার! স্বর্গরাজ্য লাভ করিলেন।
ক্লারতীয় বিদুষী
যমী
ইনি খগেদমংহিতার দশম মণ্ডলের দশম সৃক্তের প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম ও একাদশ খক্গুলি এবং ১৫৪ স্ুক্তের পাঁচটি খু প্রণয়ন করেন। এই খকে তিনি যম রাজ।কে গাঁপীর দণ্ডবিধাত| বলিগ্ ঘোষণ| করেন নাই, বরঞ্চ বলিয়াছেন যম স্বর্গ নু খদাতা। ১৫৪ হুক্তের খকৃগুলি এইরূপ £-__ |
«কোন ক্লোন প্রেতের অন্ত মোম রস ক্ষরিত হয়, কেহ কেহ দ্রত সেবন করে, যে সকল গ্রেতের জন্ত মধুর আোত বহিয়৷ থাকে হে প্রেত! তুমি তাহাদের নিকট গমন কর।
খ্বীহার। তপশ্তাবলে র্য হইয়াছেন, বাহারা তপন্তাবলে স্বর্গে , গিয়াছেন, বাহারা অতি কঠোর তগন্ত। করিয়াছেন, হে প্রেত, তুমি তাহাদের নিকট গমন কর। ১৪
ভারতীয় বিদুষী
“যাহারা যুদ্ধস্থলে যুদ্ধ করেন, যে সন্দ্ল বীর শরীরের মায় ত্যাগ করিয়াছেন কিংবা ধাহারা সহ দক্ষিণা দান করেন, হে প্রেত! তুমি তাহা্জের নিকট গমন কর।
খ্যে সকল পূর্বতন ব্যক্তি পুণ্য কর্মের অনুষ্ঠানপূর্বক পুণ্যবান হইয়াছেন পুণ্যের কত বৃদ্ধি করিয়াছেন, ধাহারা তগস্তা করিয়াছেন, হে বম! এই প্রেত তাহাদিগের নিকটেই গমন করুক।
“যে সকল বুদ্ধিমান ব্যক্তি সহঅগ্রকার সৎকর্ম্ের পদ্ধতি প্রদর্শন করিয়াছেন ধাহারা কুর্যকে রক্ষা করেন, ধাহারা তপস্তা হইতে উৎপন্ন হইয়া তপস্তাই করিয়াছেন, হে যম! এই প্রেত এই সকল খধিদের নিকট গমন করুক ।”
ভারতীয় বিছ্ধী
লোপাধুদ্রা
বিদর্ত রাজার কন্। লোপাছুদ্রা অগন্তা মুনির পত্রী ছিলেন। অগন্ত্যমুনি পিতৃগণের দ্বারা আদিষ্ট হইয়া বংশরক্ষার জন্য লোপা- মুদ্রার পাঁণিগ্রহণ করেন। বিধ্যাচল নখন আকাশম্পশী দেহবিস্তার দ্বারা হুর্য/দেবের পথরোধ করিয়া ত্ীহ্বার রথ অচল করিয়া দরবার উপক্রম করিতেছিলেন সেই সময্ন এই অগন্ত্য খবি এক কৌশলে তাহা নিবারণ করেন। দেবগণেব দ্বারা অনুরুদ্ধ হইয়া সুনিপ্রবর বিন্ব্যাচলসকাশে একদিন উপস্থিত হইলেন। বিন্ধ্যাচল, খষিকে অতিথি দেখিয়। সসন্ত্রমে নিজের উন্নত মন্তক তাহার পদতলে লু্ঠিত করিলেন, খবি তাঁহাকে আনীর্ব্ধাদ করিয়া আজ্ঞা করিলেন_-্বংদ! যে পর্যন্ত না আমি আবার ফিরিয়া আসি তুমি
১৬
ভারতীয় বিদ্ধ
আর মাথা তুলিও না” অগন্ত্য খষি গেলেন কিন্তু আর ফিরিলেন না; বিদ্যা খাষির কথা অমান্য করির| মন্তক উত্তোলন করিতে পারি”লন না । সেই হইতে আমাদের দেশে “অগস্ত্যঘাত্রা বলিয়া একটা কথা চলিত হইয়। গিয়াছে! মাসের প্রথম দিন কোথাও যাইলে অগন্ত্য খাঁত্রা হয়--সে দিন যাত্রা করিলে অগন্ত্যের মত আর ফিরিয়া আস! হয় না। । লোপামুদ্রার চরিত্রটি বড় সুন্দর। একদিকে বিদ্যার গৌরবে যেমন তিনি মহীয়সী অপর দিকে তেমনি পাতিক্রত্যের আধর্শ স্থানীয় । তিনি ছারার গ্ায় স্বামীর অন্থগাঁমিনী ছিলেন। স্বামী আহার করিলে তিনি আহার করিতেন; স্বামী নিদ্রা গেলে তিনি [নদ্রা যাইতেন 'এবং স্বামীর গাত্রোখানের পূর্বেই তিনি গাত্রোখীন করিতেন। পতিকে [তিনি একমাত্র ধ্যান ও জ্ঞানের বিষয় করিয়া- ১৭
ভারতীয় বিদুধী
ফিলেন। অগন্তা যদি কোন কারণে তাহার প্রতি বিরক্ত হইতেন লোপাদুদ্রা তাহাতে অসন্তোষ প্রকাশ করিতেন না, স্বামীর মনোরগ্রনের জগ্ত সঙ্গাই উদ্প্রীৰ থাকিতেন__স্বাণীর আজ্ঞা ব্যতিরেকে তিনি কোন কর্ধই করিতেন না । দেবতা, অতিথি ও গো-সেবায় তিনি কখন পরাম্থুখ ছিণেন না।
লোপামুদ্রা খণ্বেদেন্ধ প্রথম মলের ১৭৯ স্ক্তের গ্রথম ও দ্বিতীয় খকু সংকলন করেন।
রোমশা
ইনি ভাঁবয়ব্য নামে এক রাজার মহিবী ছিলেন। ইনি খগ্রেদ সংহিতাঁর প্রথম মণ্ডলের ১২৬ শুক্তের ৭ম খকৃটি প্রণয়ন করেন। ইহার পুত্রের নাম ছিল স্বনয়; স্বনয় একজন বিখ্যাত দাতা ছিলেন । ১৮
ভারতীয় বিদ্ষী ৷
উর্বশী
উব্বথা, অগ্মরা কন্তা। ইনি থণ্েদ সংহিতার দশম মণ্ডলের ৯৫ সক্ের সাতট খক্ প্রণয়ন করেন। এ সুক্তে উর্বশা ও পুরুরবার উপাখ্যান বর্ণিত হইয়াছে। পুরুরবা ও অপ্রা উর্বণা একত্রে কিছুকাণ বাস করিবার পর যখন পরম্পরের বিচ্ছেদ হইতেছে দেই সমরকাঁর” কথা ইহাতে বিবৃত হইয়াছে ।
পুরুরবা বলিতেছেন_পষ্কি! তুমি বড় নিব! এত *শাপ্ব*আমীকে ত্যাগ করিয়া যাইও ন1, তোমার সহিত প্রেমালাপ করিবার একটু অবসর দাঁও, মনের কথা যদি এখন স্ব্নতে না পারি “তবে চিরদিন অন্তাঁপ ভোগ
করিতে হইবে।” - উর্বশী উত্তর দিতেছেন--“পুরুরঝ ! আপন গৃহে ফিরিয়া যাও, আমি উষার মত ১৯
ভারতীয় বিছুষী
উমার কাছে আসিয়াছিলাম ; বাযুকে যেমন ধরা যায় না আমাকেও মনি ধাঁরতে পারিবে না--আমার সহিত গেনালাপ করিয় কি হইবে?”
পুরুরবা ।-ণতোমার বিরে আমার ওণীর হইতে বাণ বাহির হয় না, যুদ জয় করিয়| গাভী আনিতে পারি না, রে আমার খাঁর নাই, রাজ্যের শোভা গিরাছে, আমার সৈশ্তগণ আর ভঙ্ার দিয়া উঠে না ।”
পুরুরবার অসংখ্য কাঁতিরোক্তিতে উর্বশী যখন কর্ণপাঞ্ত করিলেন না তখন প্ুরুরবা বলিতেছেন__খ্তবে পুর্রবা* আজ পতিত হউক সে যেন আর কখন ন! উঠে_সে রন বহুদূরে দূর হইয়! যায়, সে যেন নিঃখতির অস্কে শয়ন করে, বলবান,বৃকগণ তাক যেন ভক্ষণ করে|”:
উর্বশী ।_“হে পুরুরব1! এরপে স্্য কামন। করিও না, উচ্ছিন্ন যাইও না, ছুর্দীস্ত
ও
ভারতীয় বিদ্ষী,
বৃকেণ তোমাকে যেন ভক্ষণ ন! করে। রমঠির প্রণয় স্থায়ী হয় না। নারীর হৃদয় আর বুকের হৃদয় ছুইই একপ্রকার হে ইলাপুত্র পুরুরবা দেবতাঁদকল তোমাকে আশীর্বাদ করিতেছেন তুমি মৃদ্তযুজরী হও ।”
পুরুরবা! ও উর্বশী মনবদ্ধে একটি পৌরাণিক শপ চলিত আছে ।
স্বর্ণের অগ্মরা উর্বশী বরদ্দশাপে মানবী হইয়া জন্মগ্রহণ 'করৈন এবং কালক্রমে পুরুরবার পত্রীত্ব স্বীকার করেন। পুরুরবা চন্দ্রতনঘ্ বুধের পুত্র। ইনি যেমন প্রিয়দর্শন, তেমনি শিদ্ধান্ ও ধার্শিক ছিলেন। তাহার ন্যায় ক্ষমাশীল ও সত্যপরায়ণ লোকও তৎকালে পৃথিবীতে কেহ ছিল না। বেদবিহিত ক্রিয়া- ক্লাণ্ডের অনুষ্ঠান দ্বার তিনি বিপুল যশোলাভ করিয়াছিলেন। উর্বশী পুরুরবার রূপগুণে মুগ্ধ হইয়। তাহাকে পতিত্বে বরণ করেন। কিন্তু বিবাহকালে পুরুরবাকে এইরূপ গ্রতিজ্ঞা-
, ভারতীয় বিছ্বী
ক] হইতে হয় যে, কদীচ তিনি বিবন্ত্রভাৰে তাহাকে দেখা দিবেন না--আত্মসংযম বিষয়েও তাহাকে বিশেষ কঠোরতা অবলম্বন করিতে হইবে__পড়ীর শম্যাপার্খে সর্বদা দুইটি মেষ বদ্ধ থাকিবে, আর দিবসে একবার মাত্র ঘুত পান করিয়া তাঁহাকে জীবনধারণ করিতে হইবে। এই নিয়মের কোনোরূপ ব্যতিক্রম হইলেই উর্ণা তীহাকে পরিতাগ করিয়া গন্ধর্বলোকে প্রস্থান কারধেন।
বলা বাভল্য, মহামতি পুরুরবা এই সকল কঠোর ব্রত পালন করিয়! উনষাট বৎসর কাল, সেই বিদ্ষী পরীর চহিত একান্ত সংঘমে বাঁস করিয়াছিলেন । এদিকে গন্ধরবশেষ্ট বিশ্বাবন্ধধ উর্ধশীকে শাপমুত্ত করিবার জন্য কৃতসংকল্প হইলেন। একদা রাত্রিকালে তিনি এ৯১ বমণীর শব্যাপার্খ হইতে মেষমুগলকে অপহরণ করেন। পত্রীর অনুরোধে পূরুরবা শব্যাত্যাগ, করিয়া বিবস্ত্র ভবস্থাতেই তাহাদের উদ্ধার- ২২
ভারতীয় বিদুষী,
সাধনে ধাবিত হন। এমন সময়, গন্র্র্পিণ কর্তৃক উৎপাদিত বিদ্যুতের আলোকে উর্বশী স্বামীকে ,বিব্সন অবস্থাপ্স দেখিতে পাইয়া মুহ্র্তমধোই তিরোহিত হন পুরুরবা পত্রীশোকে একান্ত কাতর হইয়া বনুস্থানে তাহার অন্সদ্ধান করেন। পরিশেষে কুরু- ক্ষত্রের প্রক্ষতীর্থে উভরের দেখা হয়। উর্ধণী, পুরুরবাকে প্রয়াগ তীর্থে যাইরা একটি যজ্ঞের অনুষ্ঠান ' করিতে বলেন, এবং সম্বংঘর পরে আর একদিনের মিলন হইবে, তাহাও বলেন। পুরুরবা াহার উপদেশ মতে যজ্ঞের *অনুষ্ঠণন ফরেন এবং ফলস্বরূপ 'গদ্ধর্বলৌক গমনের অধিকার প্রাপ্ত হন।
কথিত আছে, পুরুরবা প্রয়াগতীর্থঘে সপ্রতিষ্ঠানপুরীতে রাজ্ঞাস্কাপন করিয়াছিলেন এবং উর্ধশীর গে.তাহার ছয়টি পত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিল।
২৩
ভাঁরতীয় বিদুষী
প্রবহমান কালমোতের সহিত ভারতে হিন্দুসভ্যতার উন্নতির গতি বেগবতী হইয়া উঠিয়াছিল। যে স্রোতের প্রারস্তে আমর! রমণীকে বিছ্বী দেখিয়াছি, সেই আত যখন উচ্ছসময়ী, তরঙ্ময়ী তখনও সেই রমণী জ্ঞানে বুদ্ধিতে গরীয়দী হইয়া আমাদের সম্মুখীন হইতেছেন। ভারতবর্ষে হিন্দুরা যখন দার্শনিক পণ্ডিত হইয়া উঠিতেছিলেন, সেই পর্য্যায়ে আদরা জনকয়েক রমণীরও সন্ধান পাই! শক্তিমান পুরুব, অবলা শ্বীজাতিকে শিক্ষাসন্বদ্ধে এখানেও পরার্ত করিয়া উদ্ধাসন গ্রহ্থ্ণ করিতে পারেন নাই-__রমণীও পমাঁন আগ্রহে, সান উৎসাহে, সমভাবে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রসর হইতেছিলেন।,
৪
ভারতীয় বিদ্ধ
মৈত্রেয়ী
প্রথমে মৈত্রেয়ীর কথা বলি। মৈত্রেয়ী একজন বিখ্যাত বিছুধী ছিলেন । বুহদারণ্যক উপনিষদে উহার বিগ্াবার কথা জানিতে পারা যায়। ইনি মিত্রের কন্ঠা ছিলেন। মিত্র একজন পঙ্ডিত ছিলেন । অতি শৈশব হইতেই আপনার কন্ঠাটিকে তিনি শিক্ষিতা কারয়া তুঁলিরাছিলেন ; এবং মুনিশ্রেষ্ঠ যাজ্ঞবর্থের সহিত তাহার বিবাহ দেন। বৃহদারণ্যকের অন্যকে পৃষ্ঠা মৈত্রেয়ীর জ্ঞানজ্যোতিতে উজ্জল হইয়া আছে। মহ্ধি 'যাজ্ঞবন্ধ্ের সহিত একএকটা৷ জটিল তত্ব লইয়া তিনি যেরূপ পারদর্শিতার সহিভ তক -করিরাছিলেন তাহ! পাঠ করিলে বিশ্ময়ান্থিত হইতে হয়। মহধি যাজ্ঞবন্ধ্য সংসান্নাশ্রম ত্যাগ করিয়া ' বানপ্রস্থ-অবলন্বনের জন্ত যখন চেষ্টা করিতে- ২৫
_ ভারতীয় বিদুষী
ছিইসন, সেই সময় মৈত্রেয়ীর সহিত তাহার একট! তর্ক হয়। যাঁজ্ঞবন্ধ্যের ছুই স্ত্রী ছিলেন, তাহার যাহ| কিছু সম্পত্তি ছিল, হাহ! এই সময়ে তিনি তাহার ছুই পত্রীকে বিভাগ করিয়া লইতে বলেন । এই কথা হইতেই তকের উৎপত্তি হয়। তর্কে বিষয়সম্পতির অদারতার কথা মৈত্রেয়ী এমম সুন্দরভাবে ও সুযুক্ডির দ্বারা প্রকিত করেন যে, তা! পাঠ করিলে আজকালকার সভযজগতের শ্রে্ট দাশীনক পণ্ডিতকেও সন্ত্রমে মস্তক অবনত করিতে হয়। *এই ধরণী যদি ধনদ্বারা পরিপূর্ণ হইয়! আমার আয়ত্ত হস তাঁছাতেই কি আমি নির্ধাণ পদ লাভ করিব?” মৈত্রেঘীর এই" অমূল্য বাঁকা শাস্ত্রে অমর হইরা আছে। বলিলেন “না তাহা হইন্ছে না 1” মৈত্রেয়ী * তখন বলিয়া উঠিলেন প্থেনাহং নামৃতাস্তাম্ কিমহং তেন কুর্য্যাম্।” যাহা লইয়া .আমি
০
ভারতীয় বিদ্ষী
অমৃতা না হইব তাহা লইয়। আমি কি করিপু? কি গম্ভীর অমৃতমররী বাণী নারীকে উদ্বোধিত, হইয়াছিল! তার পর সে ব্রচ্গ- বাঁদিনী করজোড়ে উদ্ধমুখে এই শেষ্ঠ প্রার্থনা উচ্চারণ করিয়াছিলেন--“অসতোমা সদ্গমর, তমপোমা জ্যোতির্ময়, মুত্োোর্মামৃতং গময়, উাবরাবীম্মএধি, রুদ যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিতাম্।” হে সত্যর্ূপ তুমি আমকে সকল অসত্য হইতে "মুক্তি দিয়া তৌঁমার সত্যন্থরাপে লইয়া যাঁও, হে জান্ময় মোহ- অন্ধকার হইতে মাকে জ্ঞানের আলোকে লইম্বা বাও, নে আনন্দরূপ মুত হইতে আমাকে অমূতে লইয়া াঁও, হে স্বপ্রকাশ তুমি আমার নিকট প্রকাশিত হও, হে দুঃখরূপ তোমার “খে প্রসন্ন কল্যাণ তাহাদ্বারা সর্বস্থানে সর্বর- কালে আমাকে রক্ষা কর1--এই চিরন্তন নরচিত্তের ব্যাকুল প্রার্থনা রমণীর কগেই রমণীয়,বাণীলাভ করিয়াছিল, তাহ! যুগে যুগে ২৭
ভারতীয় বিদুষী
যখন কেহুই উঠিলেন ন! তখন মহর্ষি বাজ্ঞবন্ক্য ধঁ সহস্র গাভী গ্রহণ করিতে উদ্ভত হইলেন। জ্ঞানে বিদ্যায় তিনি যে সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিলেন, তাহ! সকসেই স্বীকার করিতেন, যাঁজ্ঞবন্ধ্য নিজেও সেজন/। বড়ই অভিমানী ছিলেন। খাজ্ববন্য্যের স্পদ্ধী৷ দেখিঝ় জনমণ্ডলী চঞ্চণ হইয়া উঠিলেনু, কিন্তু সাই কষিয়া কেহ কৌন আপনি উত্মাপন করিতে পারিলেন না। সেই সভার এক কোণে এক রমণা বসিয়া ছিলেন, যাজ্ঞবক্যের বুষ্টতা তাহার পক্ষে অসন্ধ বোধ হইল। আসন শরিক্যাগ কুরিয। তিনি উঠিয়! দাড়াইলেন, সকলের দৃষ্টি তাহার উপর, পড়িল, তিনি গাগা । যাজ্ঞবন্থ্যের দিকে চাহি সেই রমণী তেজোগর্বব ভাষার জিজ্ঞাসা করিলেন_প্্রাঙ্গণ ৃ , তুমিই কি এই জনারণোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা ্রহ্ধজ্ঞ ?” থাজ্ঞব্ধ্য দস্বরে উত্তর করিলেন
0০
ভারতীয় বিদুধী “ই 1” গা্গী বলিলেন, "আচ্ছা, শুধু কথায় হইবে না, তাহার পরিচয় চাই 1” তখন এক মহাতিকের ুচনা হইল, গার্গা যাঙ্ঞবন্কাকে *« পরীক্ষা করিতে লাগিলেন, ব্রহ্গস্বন্ধে কত শাস্ত্রার প্রশ্ন উত্থাপিত হইল। বাঙ্ষণকুমারী গার্গীর প্রশ্রবাণে বাজ্ঞব্ধ্যমুনি খুব্দ্ধ হইতে লাগিলেন । সভার পণ্ডিতমণ্ডলী সে তর্ক বিস্ময়ের সহিত শুনিতে লাগিণেন এবং মনে মনে গাগীর পাগ্ডত্যের ভূয়সী প্রশংসা করিয়া ধগ্ত ধন্য রবে তাহার গৌরব ঘোষণ! করিতে লাগিলেন।
দেবহুতি আর একজন রমণীর নাম দেবহুতি। ইনি রাঁজা স্বায়ন্তুব মন্ুর কন্তা ছিলেন, ইহার মৃতার নাম ছিল" শতরূপা। প্রিয়ব্ুত ও উত্বানপাদ নামে ছুই প্রসিদ্ধ রাজা দেবহুতির
৩১
ভারতীয় বিদুষী
ভ্রাতা ছিলেন। কর্দম নামে এক খঁ। ছিলেন, তিনি জ্ঞানে বিষ্তায় বুদ্ধিতে বিখ্যাত ছিলেন । দেবহুতি তীহাকে স্বামিত্বে বরণ করিতে অভিলাধিণী হন। জ্ঞান ও বিদ্যান্বা করিবার আকাঙ্জায় দেবহুতি রাজ্জকন্া হঃয়াও এই দরি্ খধিকে বরণ করিতে চাহিয়া হলেন,-- শিক্ষার প্রতি ত্বাহার অনুরাগ এনই গ্রবুঙ ছিল।
রাজা সবায়ন্তব বিবঠু গ্স্তাব লই কদিমের নিকট উপস্থিত হইলেন, কর্দম তন ব্রন্চর্য সমাপন করিয়া গৃহীশ্রমে প্রবেশের উদ্যোগ করিতেছেন, দেব্তির মত রমণীকে পাইয়া তিনি কৃতার্থ জ্ঞান করিলেন।
দেবহুতি পিতৃগৃহের শব্ধ ত্যাগ করিয়া গ্বানীর সহিত বনবাসিনী হইলেন। দিন দিন তাহার বিদ্বালাভের স্পৃহ! প্রব্ হইয়া উঠিতে লাগিল; তাহার স্বামী সৈ স্পৃহা চরিতার্থ করিতে কুন্ঠিত হইলেন না,তীহার জ্ঞানভাগারে
৩২
ভারতীয় বিদুষী
বাহ! কি? ছিল নিঃশেষ করিয়া পত্ীকে দান করিতে পাগিলেন। নিজ্জন অরণ্যে স্বামীর পাদমূলে বসির! দেবহুতি ব্রক্ষচারিণীর মত একাগ্রমনে প্রিঙ্ষালাভ করিতে লাগিলেন; শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তাহার মাঁনসনয়নাগ্রে জগতের কত সমন্তা, কত বৈচিত্র্য চিত্রিত হইয। উঠিল 7 চিন্তাশালা রমত্রী তাহার পূরণের জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। দেব্হতির গর্ভে নক কষন্য! জন্ম লাঁভ করেন তন্মবো অরুদ্ধতী ও অনস্থরা বিশেষ বিখাতি। অরুদ্ধতী বশিষ্ঠ খষির পত্রী ছিলেন; তাঁহার পাতিব্রত্া জগতে আদর্শন্বক্রপ ! বিবাহ মন্ত্রে উক্ত আছে ঘে বিবাহকালে কন্ঠ বপিবেন_- “অরুদ্ধতি! আমি তোমার স্যার স্বীর স্বামীতে অঞ্লরক্তা থাকি; এই আমার প্রার্থনা ।” অনসথর। অত্রি খষিকে বরণ করেন তিনিও ভগ্ী অকুদ্ধতীর স্তান্ব গুণুবতী ছিলেন। সাঙ্যদর্শনপ্রণেতা কপিলমুনিকেও এই
৩৩
ভারতীয় বিদুষী
দেবছুতি গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন। কপিলই দর্শনশান্্ের জন্মদাতী। তিনিই প্রথমে জ্ঞানের প্রদীপ শিখা লইয়া মানণের অন্ধকার- আচ্ছন্ন মনের নিগুঢ় তথ্য অনেধণ করেন, হুঙষ- দৃষ্টিতে মানবের অস্তর বিশ্লিষ্ট ক'রয়া দেখেন; তিনিই প্রথম আলোচনা করেন কোথার দুঃ ও শাগ্তির বীজ রহিয়াছে |, হিনিই প্রথমে ' আবিদার করেন কি করিয়। সেই ছুঃথের বীজ ধ্বংস করিতে খারা যায়কি উপায়ে - মানবের মুক্তি আসে।
কিন্তু এই কপিলের শিক্ষাণাভের মূলে বর্তমান কে? কে তাহার, ক্ুদ্ুষ্টি জগতের ব্াাপকতায় প্রসারিত করিয়া দেন- মানুষের, অন্তর-অন্ষেণের বৃত্তি কে তাহার মধ্যে জাগাইয়া দেন? তিনি তাহার জননী দেবহচ্ি। এমন জননী ন! পাইলে কগিলকে আমরা এভাবে দেখিতে পাইতাম কি না সনোহ। দেবহুতি আপনার পুত্রকে আপনি শিক্ষা- ৩৪
ভারতীয় বিদুযী
দান করিয়াছিলেন, কোন্ পথে কপিলের চিন্তাত্রোত প্রধাবিত হহবে তাহাও তিনি নিদেশ করিয়া দেন। যে দশনশাস্ত্রের অমূল্য বীজ দেবহুতি আরাধনায় লাভ করিয়াছিবেন, তাহা তিনি পুত্রের সাহাযো ফলফুলশোভিত বক্ষে পরিণত করিয়া তুলেন।
ম্দালম৷
দেবহুতির মত আর একাট রমণাকে আমরা দেখিতে পাই যিনি শিক্ষাদানে নিজের পুত্রকে মহৎ করিয়। জুলিয়াছিলেন। তাহার নাম 'মদ্বীলসা। তিনি গন্ধর্ববকন্তা ছিলেন, খতধ্বজ রাজার সহিত তাহার বিবাহ হয়। ম্দালসা বিছ্বধী, ভক্তিমতঁ ও জ্ঞানবতী রমণা ছিলেন। বিক্রাপ্ত, স্ুবাহু, শত্রুম্ূন ও* অলক নামে তাহার চার পুত্র ছিল। পুত্রগণকে [তিনি নিজে শিক্ষা দান করিতেন। তাহার নিকট
৩৫
ভারতীয় বিছুষী
হইতে উপদেশ লাভ করিয়া বিক্রান্ত, সুবছি ও শত্রমর্দন সংসারবিরাগী হইয়া সন্নযাসব্রত অবলম্বন করেন। পুত্রগণের চরিত্র তিনি কেমন করিয়। উন্নত করিয়া তুলিয়াছিলেন তাহার কিঞ্চিৎ আভাঁৰ দিতেছি ।
মদালসার জো্টপূত্র বিক্রান্ত একদিন কয়েকজন বালকের দ্বারা প্রহ্ৃত ইইয়া কাদিতে কাদিতে আসিয়া মাকে বলিলেন, -“মা, জনকতক বাঁসিক আমাকে প্রহার, করিগাছে। আমি রাজপুত্র আর উহার প্রজার সন্তান ; আমি এত সম্মানের পাত্র তবু, উহার! সাঁমান্ত শোক হইর আমাকে প্রহার করে-এত বড় স্দ্ধা! তুমি ইহার প্রতিবিধান কর”
মদালসা এই কথা , শুনিগ্না পুল্পকে বুঝাইলেন_ধ্বত্স1 তুমি শুদ্ধাত্মা। আত্মার ্রক্কতি নাম-দবারা কলুষিত হয় না, তোমার “বিক্রান্ত' নাম বা রাজপুত্র উপাধি প্রক্কৃত
৩৬
ভারতীয় বিদুষী
পদার্থ নহে,-কল্পিত মাত্র। অতএব রাজপুত্র বলিয়া অভিমান করা তোমার পক্ষে শোভা পায় না। তোমার এই দৃশ্তমান শরীর পাঞ্চভৌতিক, তুম এই দেহ নহ, তবে দেহের বিকারে ক্রন্দন করিতেছ কেন ?”
মহিধীর শিক্ষার গ্রভাবে তিনটি পুত্র সথন' সংসারত্যাগী হইল তথন রাজা খতধবজ চিন্তিত হইয়া ম্দালসাকে বলিলেন, ২মিদাললা ! তিনটি পুত্রকে তুমি ত বনবাসী করিরাছ এখন কনিষ্ঠ পুত্র বাহাতে তাহার ভ্রাতত্রয়ের পথান্ুসরণ না করে তাহার বিধান কর। সেবদি সন্্যাপী হয় তবে রাজ্যশাঁসন করিবে কে ?”
মদালসা স্বানীর আজ্ঞায় তখন কনিষ্ট পুত্র অলর্ককে রাজনীতিব্যিরক উপদেশ দিতে লাগিলেন। তাহার সেই উপদেশগুলি পাঠ করিলে তিনি যে বিচক্ষণ রাজনীতিজ্ঞ ছিলেন তাহা বেশ বুঝিতে পারা যার।
৩৭
ভারতীয় বিদুষী
মার্কণেয় পুরাণে খতধ্বজ ও মদালস! সম্বন্ধে একটি উপাখ্যান পাঁওয়া যাঁয়।
দৈতাদানবের উৎপাতে খষি গাঁলবের তপোবিদ্র জন্মিতেছে এই কথা শুনিয়া শত্রজিৎ রাজার পুত্র খতধবজ থষির তপোরক্ষার জন্য তদীয় আশ্রমে গমন করিলেন । একদিন গালব তপভ্রপে নিযুক্ত আছেন এমন সময় এক দানব বিপ্ল ঘটাইবার জন্য শৃকর-মু্ঠি ধারণ করিয়া সেই আশে আঁসিয় উপস্থিত হইল । : রাজকুমার ধাতধ্বজ তাহাকে দেখিয়া শরসন্ধান করিলেন এ্খং, নারাচের আঘাতে তাহাকে বিদ্ধ করিলেন। শূকর গ্রাণভয়ে পলায়ন করিতে লাগিল ; খতধবজ কুবলয় নাঁমক 'এক' অশ্বে আরোহণ করিয়া তাহার পশ্চাতধাবন করিলেন। শুকর ছুটিয়া ছুটিয়' সহঅ যোজন অতিক্রম করিয়া! গেল, রাজপুত্র অস্বপুষ্টে তখনও তাহার অনুগমন করিতে লাগিলেন । অবশেষে সেই শৃকররূপী দানব এক গর্দামধ্যে ৩৮
ভারতীয় বিছুষী
প্রবেশ করিয়া অস্তর্ধান করিল, খতধ্বজ সেখানেও তাহার অন্থুসরণ করিলেন। গর্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন; অনেকক্ষণ পর্যন্ত সেই অন্ধকার ভেদ করিয়া ধতধ্বজ অবশেষে আলোকে আসিয়া পড়িলেন; দ্েখিলেন ইন্্রপুরীর গ্তায় শত শত প্রাসাদশৌভিত ও প্রাকার পরিবোইত এক অপূর্ব পুরী! তিনি শৃকরের অন্থসন্ধান করিতে করিতে এক প্রাসাদের মধ্যে সধিগণপরিবেষ্টিত। হ্দীণাঙ্গী এক ললনাকে দেখিতে পাইলেন; সেই রমণী খতধবজকে দেখিবামাত্র মুচ্ছিতা হইয়া পড়িলেন। | , সখিগণের সেবায় সেই রমণীর মুচ্ছ! অপনোদন হইলে রাজপুত্র তাহার পরিচয় ক্ষিজ্ঞাসা করিলেন। একজন সখী বলিল-- “ইনি গন্ধর্বরাজ বিশ্বাবন্র কন্তা মদালস!। ইনি. একদিন উগ্চানে ভ্রমণ করিতেছিলেন, এমন সময় বজকেতু দানবের পুত্র পাঁতীলকেতু ৩
ভারতীয় বিদুষী
তমোমরী মায়া বিস্তাব করিয়া ইহাকে হরণ করে এবং বিবাহ করিবে বলিরা এই পুরীতে রাখিয়া দিয়াছে ।
সী গম্বর্ধকুমারীর পরিচয় প্রদান শেষ করিয়া রাঁজকুমারকে জিজ্ঞাসা করিল, _“আপনি কে এবং কেমন করিয়াই বা এই পাতালপূরীতে প্রবেশ করিলেন?” খতধধ্বজ আনুপুর্কিক সমস্ত বলিলে সখী পুনরার বলিল--প্তবে আপনি আমার সমী মদালসাকে এই গাতালপুরী ও দানব পাতালকেতুর হাত হইতে রঙ্গা করুন; উনি আপনার গ্রতি অনুরাগিণী হইর়াছন,--দেবকন্তারূপা মদাঁলসাঁকে পত্রীরূপে পাইলে কে না নিজেকে সৌভাগ্যবান জ্ঞান করিবেন? আর আঁপনার মত স্বামী আমার সথীরই উপযুক্।
খতধবজ মদাঁলসার পাণিগ্রভণ করিয়া পাঁতালপুরী হইতে বাহির হুইয়া আসিতেছেন, দৈত্যেরা পথে তীহাকে আক্রমণ করিল।
৪%
ভারতীয় বিদুষী
ঘোরতর যুদ্ধ বাধিযা৷ গেল। খতধবজ একা সমস্ত দৈত্যের প্রাণ সংহার করিলেন এবং জরলাভ করিয়া পত্রীসমভিধ্যাভারে নির্বিত্রে পিভরাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন। খতধবজের পিতা শক্রজিৎ এবং পুরবাসিগণ মদালসাকে
মহা আনন্দে বরণ করিয়া লইলেন ! কিছুকাল*পরে পিতার আদেশে খবিগণের তপোরক্ষার জন্ত খতধবজ পুনরার বাহির হইলেন; ভ্রমণ করিতে করিতে যমুনাতটে উপস্থিত হইলেন, তথায় পাতালকেতুর কনিষ্ঠ ভ্রাতা তালকেতু মায়াবলে . মুনিরূপ ধরিয়া আশ্রম নির্মাণ করিরী অবস্থান করিতে- শছিল। তালকেতু খতধবজকে দেখিয়া জাতৃ- বৈরি বলিরা চিনিতে পারিল, এবং প্রতিশোধ '্লইবার মানসে এক কৌশল অবলম্বন কবিল। মে খতধ্বদের নিকটে আসিয়া বলিল _্রাজকুমার ! আপনি খধিকুলের তপোঁ- রক্ষায় নিযুক্ত আছেন; আমি এক জ্ঞানুষ্টা- ৪৯
ক
“ভারতীয় বিদ্ষী
নের সংকল্প করিয়াছি, কিন্তু দক্ষিণা দিবাঁর ক্ষমতা নাই বলিয়া তাহা কার্যে পরিণত করিতে পারিতেছি না। আপনার 'কগের & মণিময় হার যদি আমাকে দান করেন তাহ হইলে আমার বাঁদনা পূর্ণ হয়। এই কথা পুনিয়া খতধবজ নিজ ক হইতে হার উন্মোচন করিয়া সেই ছন্পবেশী দানবকে প্রদান | করিলেন। হার পাইয়া তাঁলকেতু বলিল --”আমি এখন জলমধো প্রীবেশ করিয়া বরুণ - দেবের আরাধনা করিব, যে পর্য্যন্ত না ফিরিয়া আসি আপনি আমার আশ্রম রক্ষা করুন।” খতধবজ তাঁলকেতুর ঞ্থায় €কাঁন সন্দেহ না করিয়া সেই আশ্রমে অবস্থান করিতে' লাগিলেন। এদিকে তালকেতু সেই ভার লইয়া শত্রজিৎ রাজার রাজ্যে উপস্থিত হইল: এবং এ হার দেখাইয়া প্রচান্র করিয়। দিল যে _ দরানবদের সহিত যুদ্ধে খতধবজ নিহত হইয়া- ছেন। এই নিদারুণ সংবাদ শ্রবণ করিয়া মদ্লালসা ৪
ভারতীয় বিদুষী
আর প্রাণধারণ করিতে পারিলেন না, মৃষ্চিতা হইয়া পড়িলেন, আর উঠিলেন না।
তারুকেতু তখন যমুনাতটে ফিরিয়া আসিয়া কহিল-_্যুবরাজ! আমার যজ্ঞ শেষ হইয়াছে, আপনি এখন যাইতে পারেন। আপনি আমার বহুদিনের মনোরথ পূর্ণ করিলেন, আপনার মঙ্গল হউক ণ”
খাতধ্বজ রাজধানীতে ফিরিয়া আসিয়া সকল কথা শুনিপ্পেন মদালসা ইহসংসারে আর নাই-_তাহার মৃত্যু সংবাঁদ শুনিবামাত্রই দেহ ত্যাগ করিয়াছেন_এই শোকে তিনি মুহাযান হইয়া পড়িলৈন। এবং “মদালসা আমার মৃত্যু সংবাঁদ শুনিয়াই প্রাণত্যাগ করিলেন আর আমি তাহার বিরহে এখনও জীবিত রম্য়াছি* এইরূপ কাতিরধ্বনি করিতে লাঁগিলেন।
খধবজের এই অবস্থা দেখিয়া তাঁহার বন্ধু, নাগরাজতনয়গণ ইহার প্রতিকার মানসে বদ্ধ-
৪৩
ভারতীয় বিদ্রষী
পরিকর হইলেন। মদালসা ও খতধ্বজের যাহাতে পুনর্মিলন হয় তজ্ভ্য তাহার! স্বীর পিতা নাঁগরাজকে বিশেষ করিরা অন্টরোধ কারিতে লাগিলেন । নাগরাঁজ হিমাঁলয়ে গিয়া স্ুডুশচর তগপস্তাঁয় বসিলেন এবং তপত্তাদ্বারা সরস্বতী ও মহাঁদেবকে তুষ্ট করিয়া এই বরলাভ করিলেন যে মদালসা যে বরসে জন্মিয়াছেন সেই বয়স লইয়া! তাহার কন্ঠারূপে পুনরায় জন্ম গ্রহণ করিবেন।
মহাদেব ও সরন্বতীব বরে নদাঁলসা যেমনটি ছিলেন ঠিক তেমনি, হইয়া নাগরাজগৃহে ভূমি হইলেন। তাহার পর একদিন , নাগরাজ খতধ্বজকে নাগপুরীতে নিমন্ত্রণ করিয়া মদালসার সহিত তাহার মিলন ঘটাইয়। দিলেন।
৪৪
ভারতীন্ন বিদুষী
আত্রেয়ী
আত্রেগী প্রাচীন ভারতের অন্যতমা বিদৃষী রমণা। ইনি কোন গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছিলেন কিনা জানা যাগ নাই, কিন্তু জ্ঞানার্জন বিষয়ে ইহার যেরূপ গভীর অনুরাগ ও অদম্য অধ্য- বসায়ের পরিচয় পাওরা গিয়াছে, সেরপ দৃষ্াস্ত জগতে বিরল। প্রাচীন বেদাধ্যাপক মহাকবি বান্সীকিকে উপঘুন্ত' গুরু মনে করিয়া এই রমণী তীহার নিকট বেদবেদাঙ্গ ও উপনিষদাদি শিক্ষা করিতে গিয়াছিলেন, এবং কিছুকাল অক্রান্ত পরিশ্রমে: তথায় শাস্্রীভ্যাসও করিয়া- ছিলেন। কিন্তু ঘখন সীতাদেবীর বমজ তনয় লবকুশ উক্ত মহষধির নিকট পাঠ আর্ত করিলেন, তখন আত্রেয়ী দেবীকে কিছু অন্ুুবিধায় পড়িতে হইল। লবকুশের প্রতিভা এমন অদ্ভুত রকমের ছিল যে দ্বাদশ বসর ক্রম পূর্ণ হইবার পূর্বেই তীহারা বহুশান্ত
৪ ৫
তারতীক্গ বিদুধী
অধ্যরন করিয়া খক, যু, ও সামবেদে বিশেষ ব্যুৎপত্তি লাঁভ করিয়াছিলেন । সেই সুকুমার বাল্য বয়সেই যে তাহার! মহধি প্রণীত রামায়ণ নামক স্থবৃহৎ মহাকাব্যথানি একে- বারে কগস্থ করিতে পারিরাছিলেন, ইহা তাহাদের অগাণান্য : মেধাশক্তিরই পরিচায়ক । এই তীক্ষধী বালক দুটিকে শিষ্যুব্ূপে পাইয়া সম্তবত মহধিও তাহার অন্যান্ত শিষ্য ও শিব্যাদিগের শিক্ষাদান বিলরে কিয় পরিমাণে শিঁথলপ্রধন্ত হইয়া থাকবেন, সুতরাং আত্রেরী তখন বান্ীকির আশ্রমে তাহার জ্ঞানস্পৃহা চরিতার্থ কর: বিধুয়ে বিশেষ অন্তরায় দেখিতে পাইলেন। লবকুশের ধাপ্তপ্রতিভার নিকট তাহার নিজের মানসিক শক্তি নিতান্ত হীন বলিয়া বিবেচিত হইল-_তাহাদের সঙ্গে একযোগে পাঠাভ্যাস করিতে গিগ্পা তিনি সমভাবে তাহাদের সহিত অগ্রসর হইতে পারিলেন না, সুতরাং ভগ্পন্বদরে তিনি মহবির ৪৩
ভারতীয় বিদুষী
আশ্রম পরিত্যাগ করিলেন। উপযুক্ত গুরু পাইয়াও অনৃষ্ট দোষে তাহার উদ্দেশ্ত সিদ্ধ হইল না। যাহা হউক, তাহার জ্ঞানপিপাস! এমনি প্রবল ছিল যে, তিনি আর কাল-বিলম্ব না করিয়া উপধুক্ত গুরুর অনুদ্ধানে বাহির হইলেন। তৎকালে অনেক বেদজ্ঞ পণ্ডিত দক্ষিণ ভারতবর্ষকে অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে মহামুনি অগন্ত্যই সর্ঝপ্রধান। আত্রেসী উপনিষদাদি শিক্ষা করিবার জন্য তাঁহার নিকট গমন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। রমণীর পক্ষে তৎকাঁলে সেই বহুযোজন দুবনতী অগত্যা শ্রমে যাওয় বড় সৃহজ ব্যপার ছিল না। কিন্তু সেই ব্র্দচারিণীর উৎকট জ্ঞানস্পৃহা কোনে! বাধা বিদ্র বা ক্লেশকেই গ্রাহ করিল ন|। নিঃসহায়। রমণী একাকিণী প্রবাস যাত্রা করিলেন এবং কত জনপদ, নদ নদী অতিক্রম করিয়া! বিশীল দণ্ডকারণ্য অতিবাহ্নপূর্বক বহুদিন পরে পদব্রজে অগস্ত্যাশ্রমে উপস্থিত হইলেন।
৪৭
ভারতীয় বিদুষী
কথিত আছে, মহধি অগস্ত্য রমণীর এইব্প অস্তুত জ্ঞানাকাজ্ষা ও অদম্য অধ্যবসায় দেখিয়া একেবারে মুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং কন্তার ন্যায় স্্রেহে নিজ আশ্রমে রাখিয়া বহুযত্রে তাহাকে শিক্ষাদান করিয়াছিলেন। তাহার এই সাগ্রহ অধ্যাপনায় আত্রেরীও নিজের অভীষ্টলাভে সমর্থ ইয়াছিলেন ।
ভারতী
শষ্করাচার্ধ্য যখন বিশ্বগ্রাসী বৌদ্ধধর্মের কবল হুইতে হিন্দধর্মকে রক্ষ করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, সিদ্ু-উপকুল হইতে হিণালয় পধ্যন্ত কল দেশে শিষ্যসহ গমন করিয়া খন আপনার মত প্রতিঠিত করিতেছিলেন সেই বয় এই কার্যে এক রমণীও সাহাধ্য দীন করিয়াছিলেন, তিনি . মগ্ডনমিশ্রের স্ত্রী ভারতী দেবী। এই ভারতী এক মহাবিদুষী ছিলেন।
6৮
ভারতীর বিদধী
মণ্ডনমিশ্রের সহিত শঙ্করাচাধ্যের একসনর শাত্রীয় তর্ক হয়। এই তকের হুত্রপাতে শঙ্ষরাচার্যয *প্রৃতিজ্ঞা করেন, তিনি যদি তকে পরাজিত হন তাহা হইলে সন্যাসধন্খ ত্যাগ করিয়া তিনি মণগডনমিশরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিবেন; আর মৃণ্নমিশ্র প্রতিজ্ঞা করেন তিনি যদি পরাজিত হন তাহা হইলে সংসারধর্মম ত্যাগ করিয়া তিনি শঞ্চরাচাধোর শি গ্রহণ করিবেন। ছুই জনেই মহা পণ্ডিত ছিলেন, স্থুতরাং তাহাদের তর্ক সাঘান্ত হইবে না। দুইদলের দুই প্রধান পঞ্ডিতের তর্ক-_এ তের বিচার ধরে কে? এত বড় পাণ্ডিত্য কাহার?
বিচারকের সম্ধানে বেশি দূর যাইবার প্র্য়াজন হইল-না। মগ্ন মিশ্রের স্ত্রী ভারতী দেবী এই মহা সক্গানের কার্যযভার প্রাপ্ত হইলেন। এই ব্যাপার হইতেই বুঝা যায় ভারুতী কত বড় বিছুষী ছিলেন।
ভারতীয় বিদুষী
তর্ক চলিভে লাগিল, ভারতী জয়মাল্য হাতে করিয়া বসির! রহিলেন। সে মাল্য কাহার গলায় অর্পণ করিবেন, কে সেই মাল্য পাইবার উপযুন্ত, ধীরভাবে তাহার নিপ্পস্তি করিতে লাগিলেন। বোগ্যপাত্রেই বিচারের ভার পড়িয়াছিল। ভারতী দেবী পক্ষপাত শূন্য হইয়া বিচার করিতে লাগিলেন_তিনি যে গুরুভার পাইয়াছেন তাহার অবমানন| করিলেন না । দ্রেখিলেন স্বামী পরাজিত হইয়াছেন, 'অবুিশচিত্তে শঙ্করাচার্যের গলায় সেই জঙ্মমাল্য পরাইরা দিলেন ।
স্বামী পরাজিত হইয়াছেন দেখিয়া ভারতী বলিলেন,__*এখন আমার সহিত তর্কযুদ্ধে অগ্রসর হও, আমাকে যদি জয় করিতে পার তবেই তুমি যথার্থ .জয়ী হইবে 1” রমণীর মুখে এ স্পদ্দাবাক্যে শঙ্কর একটু চমকিত হইয়া উঠিলেন--শঙ্করাচার্য্যের সহিত এই রমণী তর্ক করিতে চাঁয়! ৫০
ভারতীয় বিদুষী
তর্ক আরন্ত হইল। ভারতী প্রশ্ন করিতে লাগিলেন শঙ্কর উত্তর দিতে লাগিলেন। আবার শঙ্কর, শান্মীয় সমন্তা উপস্থিত করিতে লাগিলেন ভারতী তাহা পূরণ করিতে লাগিলেন--এইরূপে দিন রাত্রি সপ্তাহ মাস ধরিয়া তর্ক চলিতে লাগিল। ভারতী কিছুতেই ্ান্ত হন না-ঙিনি শঙ্করাচাধ্যকে জর করি- বার জন্ত উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন! 'শঙ্করাচাধ্য তাহার পাণ্ডিত্য, ধৈধ্য, অধ্যবসায় দেখিয়া স্তন্তিত হইলেন ; মনে মনে ভাঁবিলেন অনেক পণ্ডিতের সহিত তবু করিয়াছি কিন্ত এমন তক কোর্থাও শুনি নাই | ভারতী দেবী কিছুতেই ছাড়েন না, এক শাস্ত্রের তর্ক শেষ হয় পর শাস্থ ধরেন, কিন্তু শঙ্করাচাধ্যকে কিছুতেই পরাঁজিত করিতেন্পারেন না। শেষে ভারতী রতি-শাস্ত্সত্বন্ধীয় প্রশ্ন আরত্ত করিলেন। তখন শঙ্কর হতাশ হইয়! বলিলেন,_“আমি সংসার- ত্যাগী, রতিশাস্ত্রে আমার কোন অভিজ্ঞতা নাই।” ৫১
ভারতায় বিছুধী
ভারতী দেবী জরগর্তবে উৎফুল্ল হইয়া উঠিলেন।
প্রতিজ্ঞামত মণডনমিশ্র শঙ্করাচাধ্যের শ্য্িত গ্রহণ করিয়া সংসারধর্ম ত্যাগ করিলেন। ভারতীদেবীও স্বামীর অনুবহ্িনী হইলেন। শঙ্করাচার্য তর্কে জয়লাভ করিয়। শুধু থে মণ্ডনমিশ্রকে লাভ করিলেন তাহা নহে, সঙ্গে সঙ্গে বিদুধী ভারতীকেও পাইলেন। শঙ্কর যে মহ!কাধ্ের ভার লইয়াছিলেন তাহা সম্পন্ন করিতে ভারতীর মত রমণীরও বিশেষ আবঠ্ক ছিল। ভারতী গপ্রাণমন ঢালিয়া শ্রাচার্যের কাধো সহায়তা করিতে লাগিলেন। |
ভারতীকে না পাইলে বোধ * হত শক্ষরাচার্যের অনেক কার্ধ্য অসম্পূর্ণ থাকিদ্না যাইত। আমরা শৃ্করাঁচারধ্যকে বতটা সম্মান দান করিয়া! থাকি তাহার কতক অংশ ভারতীর প্রাপ্য । ভারতী জীবনের শেষদিন পর্য্যন্ত শঙ্করাচার্য্ের কার্যে ব্যাপৃত়া! ছিলেন। ৫২
ভারতীয় বিছুষী
শঙ্গেরীতে শঙ্করাচার্যা তাহার জন্ত একটি মন্দির নির্মীণ করিয়া দেন, তিনি শেষজীবন সেইস্থানে অতিবাহিত করিয়াছিলেন।
লীলাঁবতী
জগত্স্দ্ধ লোক যাহার নাম জানেন এবার তীছার কথাই উল্লেখ করিব। তিনি লীলাবতী -২পণ্তিত ভাক্করাচার্দ্যের কনা । লীলাবতী “অল্নব্য়সে বিধবা হনণ ঞ্দীলাবতীর বিধবা হওয়া সন্বদ্ধে একটি কথ! চলিত আছে । _.. লীলাবভীর পিতা ভাস্করাচার্য্য জ্যোতিষ শান্ত পর্ডিত ছিলেন । * তিমি“কন্যার ভাগ্যফল গণনা করিয়া দেখিলেন যে, বিবাহের পর অন্নকালের মধ্যে কন্ঠা বিধবা হইবে। তিনি জেত্সতিধী পণ্ডিত, জ্যোতিষের নাড়ীনক্ষত্ সব জানেন, গণনা করিয়া এনন লগ্ন খু'জিতে লাগিলেন যে লগ্নে বিবাহ হইলে কন্তা কখন বিধবা হইতে পারে না। সেই শুভ লগ্নটি
৫৩
ভারতীয় বিদষী
কখন তাহা নিল করিয়া স্থির করিবার জন্ত একটি ছোট পাত্র ছিদ্র করিয়া জলের উপর ভাসাইয়৷ রাখ। হইল; ছিদ্রপথে জল প্রবেশ করিয়া যে মুহুর্তে পার্টিকে ডুবাইয়া দিবে সেই মুহুর্তটই শুভ লগ্ন! মানুষ বিধাতার লিপি কৌশলে ও বিগ্ঠাবুদ্ধির বলে নিক্ষল করিতে চাহিল কিন্তু সে চেষ্টা বিধাভার স্ুদর্শনচক্রে ছিন্ন হইয়া গেল ।
লীলাবৃতী বালিক'), কাজেই কৌতুহল- পরবশ ছিলেন । তিনি কৌতহলাক্রান্ত হইয়া পাত্র জলমগ্র হওয়ার ব্যাপার উদগ্রীব হইয়া দেখিতেছিলেন। . বিশাহ ১জ্জায় লীলাবতী তথন সঙ্জিতা ;মাথায় মুক্তার গৃহন] পরিয়াছেন। ঝুঁকিয়া পড়িয়া অদ্ধমগ্ন পাত্রটিকে যেমন দেখিতে বাইবেন জনি সকলের অজ্ঞাতসারে তাহার মাথা হইতে একটি ছোট মুক্তা পাত্রের মধ্যে পড়িয়। জলপ্রবেশের পথ বন্ধ করিয়া দিল। ৪
তারতীক়্ বিছৃবী
সকলেই অপেক্ধী করিতেছেন পাত্রটি কখন জলমগ্র হয় কিন্তু পাত্র আর ডোঁবে না! অসম্ভব বিনন্ব হইতেছে দেখিয়া অনুসন্ধান করা হইল,তখন কাশ পাইল বে, ছিদ্র বদ্ধ হইয়া ব(ওয়ায় পাত্রে জলপ্রবেশ করিতেছে না । যে সময় পাত্রটি জলমগ্র হওয়! উচিত নেই শুভলগ্ন কখন উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে ভাঙ্করাঁচা্য জানিতেও পারিলেন না। ভাক্ষরাচার্্য দেখিণেন বিধিলিপ্রি *খণ্ডান বাইবে নাঁ- বিধাতার বিধান শিরোধাধ্য করিয়া কন্ঠার বিবাহ দিলেন,__কন্যাও বিধবা হইলেন । পিতা তখন কন্যা শ্রাপনার কাছে রাখিয়া আপনার সব পাও্ডত্যটুকু দান করিতে লাগিলেন । লীলাবতীর বিদ্বার পরিচয় দিবার আবগ্তক করে না। কথিত আছে যে অঙ্ক কিয়া তিনি "গাছের পাতার সংখ্যা বলিয়। দিতে পারিতেন। "তিনি সমস্ত জীবন কেবল শিক্ষাকাধ্যেই কাটাইয়াছিলেন। €৫
ভারতীয় বিদুষী
ভাঁনুমতী
ভারতবর্ষে যে কোন্ বিদ্যার চর্চা হয় নাই তাহ! জানিনা । যাঁছুবিদ্যাও তখন একটা বিগ্ভার মধো ছিল। ভোজরাজ-মহিষী ভান্ু- মতী ইহার আবিষ্কার করেন। গ্রামে গ্রামে আজও তাহার নাম কগে কণ্ে উচ্চারিত হইয়া" থাকে। বাঁলক-বাঁলিকারা বিশ্ময়াদ্িত হইয়া আজও “ভান্থনতীর খেল্”,দেখিয়া থাকে।
থনা
তাহার পর ক্যোত্বিজ্ঞ খনার কথা । জ্যোতিবশান্ত্রে তাহার জ্ঞান অসীম ছিল, তিনি স্বয়ং অনেক বৈজ্ঞানিক তত্ব আবিষ্কার করিয়া- ছিলেন, তাহার মত এত-বড় জ্যোতিষীর নামু শুনিতে পাওয়া যায় না।
কেহ কেহ বলেন, খনা অনার্ধযদিগের নিকট হইতে এই জ্যোতিষ-বিদ্যা শিক্ষা করিয়া
৫৩
ভাঁরতীয় বিদুষী
আসেন, আধ্যের! তখন এবিছ্ভা জানতেন না। একথা তাহার পক্ষে বড়ই গৌরবের বিষয় । যাহা আমাদের মধ্যে ছিল না, তাহা আনিবার 'জন্ঠ খনা বদি কষ্ট স্বীকার করিয়া অনার্য্যের দ্বারস্থ হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহাকে শুধু আমরা তাহার বিদ্ধার জন্য গৌরব দান করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারি না,তাহাকে পুজাপাঁদের আসন দান করিতে হয়। এ" ক্ষেত্রে মনে হয়, খন্তা প্লরুধজাতিকে পরাজিত
করিরাছেন। খনার পদাঙ্কান্ুদরণ করিয়৷ আরও এক- জন জ্যোতিযশিক্ষার্থ, অন্মরধযদিগের গৃহে গমন করেন, তাহার নাম মিহির। ইনি মহারাজ বিক্রমাদিত্যের নবরত্বের মধ্যে অন্যতম রত্ব বরের পুত্র। রাক্ষদদিগের গৃহে এই খনা ও মিহির দিবারত্র অক্রান্তপরিশ্রমে একত্রে জ্যোতিষবিষ্ঠা অর্জন করিতেছিলেন, দুই- জনেরই সমান আগ্রহ, সমান উৎসাহ। ৫৭
ভারতীয় বিদুষী
কত অন্ধকাঁরসমাচ্ছন্ন অমানিশার শীর্দ,ল- রবমুখরিত অরণ্যমধো বসিয়া এই ছুটি বাঁলকবালিকা নক্ষত্রথচিত অসীম আকাশের রহস্তদ্ধার উদথাটিত করিবাঁর* জন্য কতই না চেষ্ট/ করিয়াছেন । কোথায় ভরণী, কোথায় কৃত্তিকা, কোথা মৃগশিরা, আরা, পুনর্ব তাহ। নির্ঁয়ের জন্য হয়ত কত নিশি তাহাদের জাগরনেই কাটিরাছে। কোন্ কেতু, কোন্ গ্রহ, কোন্ দিলে ছুটিতেছে ভাহার অন্ধু- সরণ করিতে করিতে কতবারই না তাহাদের চারিচক্ষু অনীম আকাশের মধ্যে মিলাইরা গিরাছে। গগনের “কোনু প্রান্তে বসিয়া মঙ্গণ, বুধ, বৃহস্পতি, শনি প্রসৃতি গ্রহগণ মানবের উপর নঞ্গল ও অমঙ্গলের ধার! বর্ষণ করিতেছে, সে তন্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে তীহাঁদিগকে কতুই না ব্যতিব্যস্ত হইতে হইয়াছে! |
ভারতবর্ষের জ্যোতিষের গৌরব আজ পর্যযস্তও লুপ্ত হয় নাই, পাশ্টাত্যজগৎ আজ ৫৮
ভারতীর বিদুধী
পর্যন্তও তাহার গুণগান করেন ;-এ সকল গৌরব খনার স্বৃতিনন্দিরে স্ত,গীরূত হইতেছে। শিক্ষ। সমাপ্ত হইলে পর, খনার সহিত মিহিবের বিধাহ হর । মিহির ও খনা ব্রাহের ঘরে আনিয়৷ বাম করিতে লাগিলেন । খন! জ্যোতিযশাস্ত্রে স্বামী অপেক্ষাও পার- দূর্শিনী ছিলেন । তাহার প্রমাঁণ,-ইইার! ঘখন শিক্ষাপমাপনাস্তে অনাধ্যাদিগের নিকট বিদায় গ্রহণ করেন, দেই ম্পমরকার একটি ঘটন। হইতে পাই । ক্যোতিবশিক্ষা! শেষ করিরা খন ও মিহির রাক্ষদধিগের নিকট হ্ই তে ফিরিভে- ছিলেন। অনেক দিন হারা! জনার্দিগের ,সহিভ বসবান করিতেছিনেন বলিয়া তীহা- দিগের প্রতি রাক্ষসদিগের মায়া পড়িয়। গরিয়াছিল। নেই মায়ার বন্ধন তাহাদিগকে বিদর-পথের অনেক দূর পধ্যন্ত আকর্ষণ করিয়া আনিয়াছিল। আবালবৃদ্ধবনিতা প্রার সকলেই এই ছুই জনকে শেষবিদায় দিবার
€৯
ভারতীয় বিচুষী
জন্য গ্রামপ্রান্তস্ব এক নদীতীর পর্্্ত আসিয়াছিল। সেইথানে এক আঁসনপ্রসবা গাভী দড়াইয়াছিল। গুরু মিহিরকে দিজ্ঞীসা করিলেন__শ্বৎস । যে প্রাণীটি অল্প- মুহুর্তে সংসাঁর-আলোঁকে আসিবে সেটি কোন রঙের হইবে বলিতে পার?” মিহির গণনা আরম্ভ করিলেন, কিন্তু হার গণনাফল ঠিক হইল না। গুরু তখন মিহিরের হাতে কতকগুলি পুথি দিয়া বপিলেন,_-"এখনও তুমি জোতিষের সৰ শিথিতে পার নাই, এইগুলি ল9, ইহার সাহায্যে তোমার শিক্ষা শেষ করিও ।”
মিহির পরীক্ষার কৃতকাধা হইলেন না, গুরু তাহার শিক্ষার বরাবরই সন্দিহান ছিলেন । কিন্ত খনার উপর তাহার অগাধ বিশ্বাস ছিল, খনার জ্যোতিষশিক্ষা যে সম্পূর্ণ হইয়াছে সে বিষয়ে তিনি কৃতনিশ্চয় ছিলেন।
মিহির গুরুর হস্ত হইতে পুঁথিগুলি, লই-
এ১০
ভারতীয় বিছ্ষা
লেন, কিন্তু তাঁহার মন তখন ঠিক ছিলনা, তাহার মনে ভইতেছিল এত দিনের এত পরিশ্রমে ঘদি ছোতিষবিগ্রা আন্ত করিতে না পাঁরিলাঁম, "দুর হউক এই সামান্য কথানা পু থিতে আমার কি হবে ! এই ভাবিয়া মিহির পুথিগুলি খরআোতা। নদীর গর্ভে ফেলিয়া দিলেন। থনা অদূরে দীড়াইরা তখনও পম্চাদবন্তী গ্রানের চিত্রখানি শেষবার দেখিয়া লইতেছিলেন। *হঠ,ৎ এই ঘটনা তীহার দৃষ্টিপথে পতিত হইল। তিনি মিহিরের নিকট ছুটিরা আসিয়া বলিলেন--কি করিলে !” তখন